সালথায় চলছে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব

faridpur protidin
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ । ৯:৩৭ এএম
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন স্হানে চলছে ভেকু দিয়ে মাটিকাটা, মাটি বিক্রি ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন। প্রশাসন কঠোর ভাবে ব্যবস্হা না নেওয়ায় থামছেনা মাটিকাটা, মাটি বিক্রি ও বালু উত্তোলন। তবে, প্রশাসন বলছে তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।
উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খালিশপট্টি হাজী বাড়ির পাশে, যদুনন্দি ইউনিয়নের বড় খারদিয়া শেখ পাড়া, সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া, বড় বাংরাইল, বল্লবদী ইউনিয়নেরর ফুলবাড়িয়া গ্রামের কুমার নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। আর এতে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এছাড়া গট্রি ইউনিয়নর জয়ঝাপ,  বটদিয়া বাজারের পাশে কুমার  নদ থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্র -ড্রেজার মেশিন- দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করায় নদীর দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক চরম হুমকির  মুখে পড়েছে। যে কোন সময় নদীর পাড় থেকে সড়কের কিছু অংশ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রশাসন দেখেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দৃশ্যমান কোন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের মতো তারাও নিশ্চুপ রয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসন অবগত করলে কোনো প্রতিকার মিলছে না। ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এসে দেখে যায় কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, মাত্র কয়েক দিন  আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদের দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। সেই সড়ক দুটি এখন চরম ঝুঁকিতে। এর আগে নদটি খনন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদ খননের পর দুই পাড় ধ্বংসের আশঙ্কায় রয়েছে এমনিতেই। এরমধ্যে আবার নতুন করে কয়েক দিন ধরে নদের ভিতর অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন একটি মহল।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

প্রিন্ট করুন