
ফরিদপুরের সালথায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল ইতি ইসলাম (১৩) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ।
পরে বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইতি উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন সিংহপ্রতাপ গ্রামের মো. সিদ্দিক আলীর মেয়ে ও স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, একটি ধর্ষণ মামলা তুলতে ইতিকে মোবাইল ফোনে বারবার চাপ দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে বাড়ির সবাই কাজে গেলে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুল দেন ইতি। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘরের আড়া থেকে নামালে ডাক্তার এসে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, বিয়ের প্রলোভনে ইতিকে কয়েবার ধর্ষণ করে ফরিদপুর সদরের প্রতাবপুর এলাকার সোহেল (২২) নামের এক বখাটে। এ ঘটনায় সম্প্রতি সালথা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা সোহেলের বিরুদ্ধে। অতঃপর গত ১৪ মার্চ র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে সোহেলকে। এ ঘটনার পর থেকে মামলা তুলতে বারবার ইতি ও তার পরিবারকে বারবার চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল সোহেলের পরিবার। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে।
তবে এব্যাপারে সোহেলের পরিবার পলাতক থাকায় তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।