
ফরিদপুরের সালথায় গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিহীন আকাশ। প্রচণ্ড গরমে কাটছে দিনরাত। সব সময়ই বইছে ভাবস্যা গরম হাওয়া। ওষ্ঠাগত মানুষসহ প্রাণিকুলের জীবন। গ্রীষ্মের দ্বিতীয় মাস জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি থেকে চলছে খরা। আষাঢ়ের খুব কাছাকাছি ৩১ জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত তা বর্তমান। এদিকে তীব্র গরমে উপজেলায় ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
তীব্র এ গরমে বিপদে পড়েছেন মাঠে কাজ করা কৃষক। অন্যদিকে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। রোদে বাইরে থাকা যায় না বেশিক্ষণ। আবার কাজ শেষ না করলেও সমস্যা। সেক্ষেত্রে কাজ রেখে বারবার বিশ্রাম নিতে হয়। তৃষ্ণা মেটাতে খেতে হচ্ছে পানি। এক্ষেত্রে তারা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারছেন না। পাশাপাশি তারা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায়।
অতিরিক্ত গরমে কর্মজীবী মানুষের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন ঐসব রোগে। এছাড়া সম্প্রতি করোনার বিস্তারে এতে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এই গরমে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা। বেশির ভাগই আউটডোরে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। কেউ হাসপাতালে থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, চলমান দাবদাহে নিজেকে রক্ষায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়াই ভালো। থাকতে হবে ছায়াযুক্ত স্থানে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। বার বার হাত, মুখ ধুতে হবে। অনেকেই স্যালাইন খেয়ে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ডায়রিয়া না হলে তা খাওয়ার দরকার নেই। এ দাবদাহে রয়েছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। রোদে কাজ করতে গিয়ে যদি কারো প্রচুর ঘাম ঝরে, অস্বস্তি লাগে। তাহলে দ্রুত তাকে ছায়াযুক্ত স্থানে যেতে হবে। যোগাযোগ করতে হবে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।