
ফরিদপুরের সালথায় খাবারের সাথে চেতনানাশক খাওয়ায়ে এক বাড়িতে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতের যেকোন সময়ে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙারদিয়া মধ্যপাড়ায় মুক্তার মাতুব্বরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই পরিবারের দুজন পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, মুক্তার মাতুব্বর ও তার ছেলে বাড়িতে না থাকায়, বাড়িতে মোক্তার মাতুব্বরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৫), কন্যা গোলাপি আক্তার (৩৭) এবং নাতি রাসেল মোল্যা (১০) বসবাস করতেন। রবিবার দুপুরের আগে যেকোন সময় দুষ্কৃতকারীরা ওদের খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। দুপুরের স্কুল থেকে টিফিনে রাসেল ওই খাবার খেলে স্কুলে গেলে সেখানে সে ঘুমিয়ে পড়ে। স্কুল ছুটি হলে বাড়িতে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। ওই খাবার খেয়ে মোক্তারের স্ত্রী ও কন্যা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর রাতের কোন একসময়ে দুষ্কৃতকারীরা ঘরে থাকা, ধান, চাল, পেঁয়াজ সহ দামী মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী পারুল বেগমের বাড়িতে থেকে দুষ্কৃতকারীরা খোঁজ খবর নিয়ে রেখেছে এবং সুযোগ বুঝে তারা খাবারে ওষুধ মিশিয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন।
প্রতিবেশী মৃত দুলাল মাতুব্বরের স্ত্রী নারগিস বেগম বলেন, ওদের ফ্রিজে আমার মাছ রাখা ছিল। সকালে আমি মাছ আনতে গেলে দরজা খোলা ও সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেয়ে ওদের অনেক ডাকাডাকি করলেও ওরা ওঠে নাই। তারপর মাতুব্বর বাড়িতে খবর দেই। মাথায় পানি ঢালার পর সুস্থ না হলে ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনিতেই ওরা অনেক নিরীহ, এভাবে ওদের ক্ষতি করা ঠিক হয় নাই। এর বিচার হওয়া উচিত।
মোক্তার মাতুব্বরের নাতি জুবায়ের মোল্যা জানান, খবর পেয়ে আমি এসে দেখি নানী ও মা অচেতন হয়ে পড়ে আছে। মাথায় তেল পানি ঢাললেও তারা সুস্থ না হলে তাদের দ্রুত বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মায়ের জ্ঞান ফিরলেও নানু এখনও অচেতন হয়ে আছে। তাদের অচেতন করে পেঁয়াজ, ধান, চাল সহ ঘরের দামী মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। কি কি খোয়া গেছে নানু সুস্থ না হলে বলতে পারবো না।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।