
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবী সৌখিন খান (২৬) হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ফরিদ হোসেন সানিকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর র্যাব-১০।
শুক্রবার (০৪ জুন) দুপুরে আসামিকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) দুপুরে জেলার মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদ হোসেন সানি মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ইস্রাফিল শেখের ছেলে। বোয়ালমারী থানা পুলিশ রাতেই র্যাব ক্যাম্প থেকে আসামিকে থানায় নিয়ে আসে।
গত ২৫ জুন বুধবার দিবাগত রাত আড়াটার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা এবং মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুমতী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রতিপক্ষ মৎস্যজীবী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সোলেমান মোল্যার ছেলে জব্বার মোল্যার (৩৭) হাতে থাকা বৈঠার আঘাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় মৎস্যজীবী সৌখিন খান। (২৬ জুন) বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবী সৌখিন খানের সন্ধান পায়না।
৩ কিলোমিটার ভাটিতে ৩০ ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে মহম্মদপুর উপজেলা চরপাচুড়িয়া খেয়াঘাট এলাকা সৌখিনের লাশ ভেসে উঠলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
নিখোঁজ মৎস্যজীবী শোখিন খান মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে। তার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী সৌখিন খানকে (২৬) হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা হয়। সৌখিন খানের বাবা সাত্তার খান বাদী হয়ে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সোলেমান মোল্যার ছেলে জব্বার মোল্যাকে (৩৭) প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে ৩ আসামিই পলাতক ছিল।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফরিদপুর র্যাবের একটি দল সৌখিন খান হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ফরিদ হোসেন সানিকে তার নিজ এলাকা মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার দুপুরে আসামিকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।