
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনির (৯) কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এসময় নিহত রাইসার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তারা।
শনিবার (০২ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বাজড়ায় রাইসার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিমান বাহিনীর সসদ্যরা। এসময় রাইসার পরিবারের শোকার্ত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।
বিমান বাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে স্কোয়াড্রন লীডার জিহাদুল ইসলাম ও ফ্লাইং অফিসার রুদাবা কামালের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের দলটি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাইসার কবর জিয়ারত করেন। এছাড়াও শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। পরে এতিমখানার শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
গত ২৫ জুলাই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া দক্ষিণপাড়া ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে বাজড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা গোরস্থানে মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহত রাইসার বাড়িতে এখনও চলছে শোকের মাতম। কান্না থামছে না পরিবারের সদস্যদের। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে নিখোঁজ ছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনি। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটির মুখমণ্ডলের অংশবিশেষ দেখে রাইসা হিসেবে দাবি করেন বাবা শাহাবুল শেখ। বাবার দাবির প্রেক্ষিতে সিএমএইচ থেকে মরদেহের ডিএনএ সংগ্রহ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডিএনএ রিপোর্টে রাইসার মরদেহ সনাক্ত হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। শাহাবুল শেখ ও মীম আক্তার দম্পত্তির মেয়ে রাইসা। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রাইসা ছিল মেজ সন্তান।