অতিবৃষ্টিতে ফরিদপুরে ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতা, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা মরিচ ও সবজির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ । ৮:২৮ এএম

অতিবৃষ্টির কারণে ফরিদপুরের বিভিন্ন ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতায় ক্ষতির মুখে চাষিরা। দ্রুত ফসলের মাঠ থেকে পানি অপসারণ করতে না পাড়ায় শাক-সবজিসহ আমন ধানের আবাদে মারাত্মক লোকশানের দাবি কৃষকের। সম্প্রতি ঘন বৃষ্টির কারণে সবজি চাষিদের ক্ষতির কথা স্বীকার করে কৃষকের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ফরিদপুরে ফসলের মাঠগুলোতে পানি জমে গেছে। চাষীদের আবাদ করা মরিচ, বেগুন, করলা, ঝিঙা, পুঁইশাক, মূলাসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর, মৃগী, কৃষ্ণনগরসহ অনেক এলাকায় মাঠের ফসল ডুবে গেছে। আমন মৌসুমে জন্য প্রস্তুত করা জমিতে ধান রোপণ করতে পারছে না কৃষক।

ধান-পাটের পাশাপাশি নানা ধরনের সবজি আবাদ করেছে অনেক কৃষক। জেলার নয়টি উপজেলায় উঁচু জমির তুলনায় নীচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে বেশি। তাছাড়া অনেক মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। আবার কোথাও সরকারি খাল ভরাট করায় মাঠে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। যার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, দাবি কৃষকদের।

জেলার সদর উপজেলার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তেতুলতলা-সমেশপুর সংযোগ সড়কের দিকনগরে সরকারি খাল ভরাট করায় ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে মৃগী, শিরপোতলী ও দিকনগর গ্রামের প্রায় ১০০ একর জমির ফসলের আবাদ নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। খালের মুখ কেটে দিয়ে দ্রুত পানি অপসারণ করার দাবি চাষি ও স্থানীয়দের।

ওই এলাকার কৃষক সালাম শেখ এবং জিন্না মাতুব্বর আমন ধান আবাদ করার জন্য জমি প্রস্তুত করেছেন। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতার কারণে রোপণ করতে পারছেন না ধান। স্থানীয় কৃষক জিন্নাত আলী জমাদ্দার এবং মো রুবেল তাদের জমিতে বিপুল পরিমাণ শাক-সবজি রোপণ করেছেন, সঙ্গে রয়েছে মরিচ। সবই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে মরে গেছে। তারা সবাই অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাল ভরাট করে দখল করায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তাদের জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়।

ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নীচু জমির ফসল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মরিচ ও গ্রীষ্মকালীন সবজির মাঠে পানি বেশি দিন জমে থাকলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া যদি কোথাও সরকারি খাল ভরাটের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা চাষিদের পাশে থাকবেন বলে জানান।

জেলায় গত এক সপ্তাহে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

প্রিন্ট করুন