ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিচনার দাবি জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছার কর্মীরা।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে এক জনসভার আয়োজন করে ইছার সমর্থকরা। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা।
সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিল, “৩১ দফা বাস্তবায়নে ধানের শীষের পক্ষে কর্মী সমাবেশ।” সভাটি আয়োজন করা হয় ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষের কর্মীবৃন্দের ব্যানারে।
সমাবেশের শুরু থেকেই শ্লোগান দেওয়া হয় এবং যেসব ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয় তাতে লেখা ছিল, “যোগ্য নেতা ইছা ভাই এমপি হিসেবে তাকে চাই”, “ রাজপথের ইছা ভাই আমরা তোমাকে ভুলিনাই”, “দুর্দিনে পাশে ছিলেন ভাই এমপি হোক ইছা ভাই।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদের। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক শহীদ পারভেজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল আনাম, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন, আলীয়াবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ খান,কানাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরকার,কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা, কৈজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হাওলাদার প্রমুখ। সমাবেশে ফরিদপুর সদরের ১২টি ইউপি ও ২৭টি পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ইছা ভাই গত ৪৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমাদের বিপদে আপদে সব সময় তাকে কাছে পেয়েছি। আমরা ইছা ভাইকে ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই। এরজন্য দলীয় মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনা করতে হবে। ইছা ভাইকে মনোনয়ন দিয়ে ধানের শীষ বাঁচান। ইছাকে দলীয় মনোনয়ন না দিলে ফরিদপুর-৩ আসনের জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, “যে দাবি এখানে তোলা হয়েছে, আমাকে ফরিদপুর-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে আপনারা দেখতে চান এবং যে দাবির জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এর জন্য আপনাদের অভিনন্দন। যে উদ্যম আপনারা প্রকাশ করেছেন, আমি যে আপনাদের মনোনীত ও আকাংখিত প্রার্থী এরজন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আরো বলেন, আমি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আপনাদের পাশে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আপনাদের এ প্রত্যাশার দাবি সাংবাদিকদের মাধ্যমে অবশ্যই বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছেবে। হাইকমান্ড দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত যে সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হযেছে এ আসনের বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে মহিলা দলের কেন্দ্রিয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফকে। গত ৩ নভেম্বর দলীয় এ মনোনয়ন ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই মনোনয়ন ঘোষণার ১৩দিন পর দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে ইছাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে সেখান থেকে নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে শহরের মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশের সময়: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ । ৭:১০ এএম