ফরিদপুরে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর বায়তুল আমান কলেজ গেটে থামল ট্রেন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশের সময়: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৬:৩৫ পিএম

অবশেষে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে থামল ট্রেন।

বুধবার (১০ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বাইতুল আমান কলেজ গেটে ট্রেন থামলে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে সাধারণ মানুষসহ ওই এলাকায় অধ্যায়নরত ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ট্রেন থামানোর আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেন অনু, কনজ্যুমার ভয়েস অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক রুমন চৌধুরী, প্রিন্সিপাল মো. লোকমান হোসেন, ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমানসহ এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে শুকরিয়া আদায় করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কমলাপুর রেলষ্টেশন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুজিবুর রহমান।

ফরিদপুর জেলার মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত বাইতুল আমান এলাকাটি। যেখানে রয়েছে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, জীবনের ঝুঁকি ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় যাতায়াতের জন্য ট্রেন থামানোর এই দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম এবং মানববন্ধন করেছেন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসলে ট্রেন থামানোর আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ আলাওল হোসেন তনুর নেতৃত্বে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সে সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজল হোসেন আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের এই দাবি যুক্তিসঙ্গত, আমরা অতি দ্রুতই তাদের এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

প্রিন্ট করুন