ফরিদপুরে রতন শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লালবাগ থেকে গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৮:৫৪ পিএম

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় দায়ের করা রতন শেখ (৪৫) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শ্রাবণ (২৮)–কে রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০।

র‌্যাব-১০ সূত্র জানায়, সন্ত্রাস ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-২ শ্রীনগর এবং সিপিএসসি লালবাগ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই ২০২৫ রাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে রতন শেখের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরবর্তীতে লোকমুখে খবর পেয়ে ভিকটিমের স্ত্রী জানতে পারেন যে, ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর নমডাঙ্গীর ডকইয়ার্ড এলাকায় পদ্মা নদীতে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ ভাসছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি তার স্বামী রতন শেখের লাশ শনাক্ত করেন।

তদন্তে উঠে আসে, একই দিন রাত আনুমানিক ৪টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে কয়েকজন ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে রতন শেখকে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৫৮, তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৫, দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে এবং অভিযানে নামে।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ থানাধীন বেরীবাঁধ এলাকা থেকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শ্রাবণ (২৮)–কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শ্রাবণের পিতার নাম ফরহাদ শেখ। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন ফরিদাবাদ এলাকায়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন,
“রতন শেখ হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

র‌্যাব আরও জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হত্যা ও সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

প্রিন্ট করুন