ফরিদপুরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর জিলা স্কুল আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করছে গৌরবময় ১৮৫তম বর্ষ উদযাপন ও পুনর্মিলনী। দুইদিনব্যাপী এই উৎসব শিক্ষার্থীদের জন্য হবে স্মরণীয়, বিনোদনমূলক এবং বর্ণাঢ্য।
প্রথমদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর অনুষ্ঠিত হবে শপথবাক্য পাঠ, ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো আনন্দ শোভাযাত্রা, যা ঘোড়ারগাড়িসহ শহর প্রদক্ষিণ করবে। দুপুরে স্কুল উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা এবং স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে আরও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় আতশবাজি ও স্কুলের ইতিহাস তুলে ধরা তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে দিনটি শেষ হবে।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হবে মিনি ম্যারাথন, শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং সংগীতানুষ্ঠান। বিকেলে আরও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় র্যাফেল ড্র, এবং রাত সাড়ে ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুনর্মিলনী সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী উৎসবের সমাপ্তি হবে।
ফরিদপুর জিলা স্কুল ১৮৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কালের পরিক্রমায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আন্দোলন ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আজও এটি জেলা ও দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যতম সেরা বিদ্যালয় হিসেবে স্বকীয় ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে।
উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, “আমাদের প্রাণের বিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা এবং শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করানোই এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।”
সদস্য সচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি যোগ করেন, “এ আয়োজনে আমরা কোনও প্রধান বা বিশেষ অতিথি রাখিনি। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাই প্রধান অতিথি।”
উৎসবের সফল আয়োজনের জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। এছাড়া ১৮টি উপকমিটি বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করবে।
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উৎসব শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনক্ষেত্র হিসেবে সামনে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর:
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৫:৩৯ পিএম