খুঁজুন
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯ পৌষ, ১৪৩২

ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফরিদপুরের মথুরাপুর দেউল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১০:১৮ এএম
ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফরিদপুরের মথুরাপুর দেউল

ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নে মোঘল আমলে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুরের মথুরাপুর দেউল।

ষোড়শ শতাব্দীর শেষার্ধে নির্মিত এই দেউলটি শুধু স্থাপত্য নয়, বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন হিসেবেও বিবেচিত। তবে কালের বিবর্তনে অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে স্থাপত্যটি।

এটি ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। ফরিদপুরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী বাজার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে মধুখালী-বালিয়াকান্দি আঞ্চলিক সড়কের পাশেই এর অবস্থান। রাস্তার বিপরীতে শান্তভাবে বয়ে চলেছে চন্দনা নদী। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই মনোমুগ্ধকর দেউলটি দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটক ও ইতিহাসপ্রেমীরা। অথচ, পর্যটকদের জন্য নেই কোনো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা। ফলে দর্শনার্থীদের মুখোমুখি হতে হয় নানারকম বিড়ম্বনার।

দেশের ইতিহাসে মোগল সাম্রাজ্যের যেসব স্মৃতি বিদ্যমান, তার মধ্যে এই দেউলটি অন্যতম। সরকারের উদাসীনতার কারণে দেউলটির ইতিহাস ধরে রাখতে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। কাগজে-কলমে ইতিহাসে থাকলেও বাস্তবিক অর্থে নেই কোনো সংরক্ষণের ব্যবস্থা।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গাজুড়ে বিস্তৃত প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতার দেউলটির গায়ে খচিত টেরাকোটার চিত্রকর্ম ও স্থাপত্য শৈলী চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রাচীন ইট ও চুন-সুরকির মিশ্রণে নির্মিত এই দেউলের দেয়ালে ফুটে উঠেছে হিন্দু পুরাণের রামায়ণ ও কৃষ্ণলীলা, গায়ক, নৃত্যশিল্পী, পবনপুত্র হনুমান ও যুদ্ধদৃশ্যের নিপুণ চিত্র। প্রতিটি কোণের মাঝে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্তিম মুখাবয়ব, যা সেই যুগের শিল্পভাবনার পরিচায়ক।

দেউলটির একমাত্র প্রবেশপথটি দক্ষিণমুখী এবং এটি বারো কোণা বিশিষ্ট, যা বাংলার স্থাপত্যধারায় বিরল। রেখা প্রকৃতির এই দেউল বাংলায় নির্মিত একমাত্র এরকম কাঠামো বলেই প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

দেউলটি নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত। এক সূত্রমতে, সংগ্রাম সিং নামক এক সেনাপতি এটি নির্মাণ করেন। ১৬৩৬ সালে ভূষণার জমিদার সত্রাজিতের মৃত্যুর পর সংগ্রাম সিং-কে এই অঞ্চলের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠার পর তিনি মথুরাপুরে বসবাস শুরু করেন এবং এক স্থানীয়
বৈদ্য পরিবারের কন্যাকে বিবাহ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারই উদ্যোগে এই দেউলটি নির্মিত হয়।

ফরিদপুর-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:২০ পিএম
ফরিদপুর-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে মনোনয়ন দিয়েছে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু জোটের ১১৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ফরিদপুর-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

চারবারের সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-১ আসনের একজন পরিচিত ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় পার্টি ও জেপির সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি আজীবন এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। ইনশাআল্লাহ, আগামীতেও তাঁদের সেবা করে যেতে চাই।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর এই মনোনয়ন ফরিদপুর-১ আসনের নির্বাচনী সমীকরণে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে অভিনন্দন মিছিল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে অভিনন্দন মিছিল

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী ২৫ ডিসেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে এক অভিনন্দন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। খায়রুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এ মিছিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতারা। বক্তব্যে তারা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও বেগবান হবে এবং বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমিরুল ইসলাম, মুন্সি আনোয়ার পাশা, সাইদুল ইসলাম সাঈদ ও সাজ্জাদ হোসেন সজল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সহ-সাধারণ সম্পাদক নীলয় চৌধুরী রেজা ও হাসান মীর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাদ খান এবং সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পাভেল আহমেদ।

এসময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দ্বীপ ও তাহসান অয়নসহ জেলা ছাত্রদলের নেতা রবিন, মেহেদী হাসান শাওন, দ্বীন, রাব্বি, আহাম্মেদ সায়েম অমি, সালমান এফ রহমান, শামিম খানসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে কৃষকদলের আনন্দ মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪০ পিএম
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে কৃষকদলের আনন্দ মিছিল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জেলা ও মহানগর কৃষক দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহা. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হোসেন, মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন, মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্করসহ জেলা ও মহানগর কৃষক দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে আগমন করবেন—এই খবরে দেশবাসীর মাঝে নতুন প্রত্যাশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মিছিল বের হয়ে আনন্দ মিছিলে যোগ দেয়। এ সময় তারেক রহমানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয় এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।

error: Content is protected !!