খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে লোক দেখানো নিয়োগ সম্পন্নের অভিযোগ!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে লোক দেখানো নিয়োগ সম্পন্নের অভিযোগ!

Faridpur Protidin

দেশের একমাত্র নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (নগই) ফরিদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে চতুর্থ শ্রেণির ১০টি পদে লোকবল নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
লোক দেখানো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নদী গবেষণার মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বঞ্চিত প্রার্থীরা। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে হয়েছে বলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি আজ বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন।
ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (নগই) সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের প্রথমদিকে চতুর্থ শ্রেণির ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে সরকারী নিয়োগে কোঠা সংস্কার হলে ওই বছরের ৩০ জুলাই ওইসব পদে পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে ভান্ডার রক্ষক, অডিট সহকারী, কংক্রিট টেকনেশিয়ান, টেলিফোন অপারেটর, মেকানিক, কাঠমিস্ত্রি, ডার্করুম সহকারী, গবেষণাগার বেয়ারার, অফিস সহায়ক পদে একজন করে এবং পাম্প চালক পদে দুইজন উল্লেখ করা হয়। সকল পদে সারাদেশ থেকে ২ হাজারের অধিক প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি ৭০ মার্কের লিখিত ও প্রিলি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পাম্প চালক পদে ১০ জন, গবেষণাগার বেয়ারার পদে ৬ জন, ডার্করুম সহকারী পদে ৪ জন, কাঠমিস্ত্রি পদে ১ জন এবং বাকি পদে ৫ জন করে মোট ৫১ জনকে সুপারিশকৃত প্রার্থী হিসেবে ফলাফল প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ২১ জানুয়ারি ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৫১ জনকে ডাকা হয় এবং তাঁদের সকাল ১০টায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ওইদিনই উপপরিচালক মো. আবুল এহছান মিয়া স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকল পদে আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে একটি সিন্ডিকেট এবং গোপনে পরীক্ষার পূর্বে নিয়োগ পাওয়াদের প্রশ্নপত্রসহ উত্তর জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই লোক দেখানো নিয়োগে তাঁদেরকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ। এছাড়া পূর্বেই প্রশ্নপত্রসহ উত্তর জানিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান।
অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আটচর নওপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিম লিংকন, ফরিদপুর জেলার রহিজ আহমেদ, রাজবাড়ীর মৃত্যুঞ্জয় এবং বরিশালের অনুপ হালদার। তারা প্রত্যেকেই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অফিস সহায়ক পদে সীমা মালো, পাম্প চালক পদে হামিদুর রহমান নবী, টেলিফোন অপারেটর পদে বন্যা বিশ্বাসের সাথে ওই দপ্তরের ও ব্ইারের একাধিক ব্যক্তি তাঁদের ডেকে নিয়ে গোপনে কথা বলা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় সকাল ১০টায় উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২ টায় সীমা মালো উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেন এবং তার সাথে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তি বারবার যোগাযোগ করেন। এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী সীমাকে বারবার বাইরে ডেকে নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়, যা অন্যান্য প্রার্থীদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, সীমা মালোর স্বামী সম্রাট সরকার গত ৬ বছর যাবত একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজেক্টে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে আসছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় কম মার্ক পেলেও তাকে মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত করা হয় বলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতিও জানান (রেকর্ড সংরক্ষিত)।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর/পরিদপ্তরে যা প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে মৌখিক পরীক্ষার প্রত্যেক প্রার্থীর সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা রাখা হয়। কিন্ত উক্ত মৌখিক পরীক্ষায় কোনো সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা রাখা হয়নি। কৌশলে পাম্পচালক পদের প্রার্থী হামিদুল ইসলাম নবী সত্যায়িত ছায়ালিপি ভবনে ফেলে রেখে যায়। তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রার্থীর সাথে এক ব্যক্তি এসে কৌশলে কাগজপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সাথে দেখা যায়।
এছাড়া টেলিফোন অপারেটর পদে সুপারিশকৃত প্রার্থী বন্যা বিশ্বাস মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর থেকে সম্পন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তির কথাবার্তা করতে দেখা যায়। যার প্রতিটি দৃশ্য ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বেরিয়ে আসবে বলে প্রার্থীরা জানান।
বঞ্চিত প্রার্থী ময়মনসিংহ জেলার ইব্রাহিম লিংকন বলেন, আমি ময়মনসিংহ জেলা থেকে ফরিদপুরে ছুটে গিয়েছিলাম অনেক আশা নিয়ে। আমার মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে এখানে। কিন্তু এই নিয়োগ ছিল সম্পন্ন সাজানো নাটক, আমাদের ধোকা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা জানান, এই নিয়োগের অবৈধ লেনদেনের কলকাঠি নেড়েছেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পিন্টু কানুনগোয়। যারা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি হয়েছে। সীমাকে উনি নিজে পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ও উত্তর পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে নদী গবেষণার পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পিন্টু কানুনগোয় বলেন, সম্পন্ন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। লিখিত পরীক্ষার একঘন্টা পূর্বে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছে। যা কোনোভাবেই প্রার্থীদের দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, একটি পদের বিপরীতে ৫জন করে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। নিয়োগে যারা বাদ পড়েছেন, তারা এখন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নগই) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম আবু হোরায়রা বলেন, অভিযোগকারীরা জিআরএসের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। যথাযথ নিয়ম মেনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) পিন্টু কানুনগোয়। তাঁর সাথে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক পোদ্দার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সহকারি সচিব মো. মাসুম রেজা, ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. হাশমত আলী খান ও প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক মো. আবুল এহছান মিঞা।

ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত
ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর গ্রামের গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মে দুপুরের দিকে ঈশান গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় ঈশান সরকারের জমিদার বাড়িতে ওই বাড়ির সদস্য, গ্রামবাসী ও আশ্রয় নেওয়া ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, আশুতোষ সরকার, যোগেশ চন্দ্র ঘোশ, গৌরগোপাল ঘোষ, বাবলু ঘোষ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফরিদপুর শহরের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য ওই সরকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর এ গণহত্যায় মদদ দিয়েছিল ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী হাদনাদার বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। ফরিদপুরে প্রবেশের পথে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে কীর্তনরত নয় সাধুকে হত্যা করে।  ২ মে ঈশান গোপালপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে এ হত্যাকান্ড ছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রথম পরিকল্পিত গণহত্যা।
হত্যাকান্ডের পর পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী সরকার বাড়ির পুকুর পাড়ে ২৮ জনের মৃতদেহ গণসমাধি দেয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা চিত্ত ঘোষ বলেন, ২০১০ সালের ২মে শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সেখানে ২৮ শহীদের নাম ফলক সহ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে সরকারের উদ্যোগে গণহত্যার শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
এ গণহত্যার স্মরণে শুক্রবার (০২ মে) সকাল ৯টায় সমাধী ফলকের কাছে স্থাপিত মন্দিরে গীতাপাঠ ও নারয়াণ পূজার আয়োজন করা হয়। গীতা পাঠ ও পূজা করেন দীপক ঠাকুর। পরে সম্বলিত সৌধে ফুল অর্পণ করে এবং মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের আত্মার সগতি কামনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পূজার প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ক্ষিতিশ বিশ্বাস, অভী ঘোষসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

তৃতীয় বিয়ে করায় ফরিদপুরে প্রথম স্বামীর হাতে নারী শ্রমিক হত্যার অভিযোগ 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৫:৪১ পিএম
তৃতীয় বিয়ে করায় ফরিদপুরে প্রথম স্বামীর হাতে নারী শ্রমিক হত্যার অভিযোগ 
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ময়না বেগম (৩৫) নামে জুট মিলের এক নারী শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে। বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মাঝিকান্দিপাড়ার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (০২ মে) দুপুরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ মে) বিকেলে উপজেলার মাঝিকান্দিপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ময়না বেগম ওই গ্রামের ইউনুস শেখের মেয়ে। ১৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বলিভদ্রদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। দুই মাস পরে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপরে দাদপুর ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের শামীম হোসেনের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দুই বছর আগে মারা যান শামীম।  এরপর গত রোববার চুয়াডাঙ্গার জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির সাথে ঘর জামাই থাকার শর্তে পারিবারিকভাবে তার তৃতীয় বিয়ে হয়।
নিহত ময়নার ভাই একরাম শেখ জানান, তৃতীয় বিয়ের খবর জানতে পেরে বুধবার সকালে ময়নাকে দলবল নিয়ে বাড়ি থেকে জোড় করে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায় শরিফুল। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম ফরিদপুর সফরের শতবর্ষ উদযাপন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৫:৩৭ পিএম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম ফরিদপুর সফরের শতবর্ষ উদযাপন
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে পালিত হলো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম ফরিদপুর সফরের শতবর্ষ উদযাপন।
পহেলা মে সন্ধ্যায় ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর এম এ সামাদ, সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেন, ফরিদপুর নজরুল বইয়ের সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, চলচিত্র পরিচালক তাপস কুমার দত্ত, বাচিক শিল্পি রেজাউল মৃধাসহ বিশিষ্ট জনেরা।
স্বাগত বক্তব্যে মফিজ ইমাম মিলন বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ফরিদপুরে প্রথম এসেছিলেন ঠিক একশো বছর আগে, আজকের দিনে, অর্থাৎ ১৯২৫ সালের ১ মে তারিখে বঙ্গীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে যোগ দিতে । সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহাত্মা গান্ধী , সরোজিনী নাইডু , হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ বহু নেতা । দুই অধিবেশনেই সভাপতিত্ব করেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। তবে তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন ২ মে । অনেক স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কবি জসীম উদদীন ।
তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে ফরিদপুরে সভা-সমিতি , সংবর্ধনা , রাজনৈতিক সভা ও নিজ নির্বাচনী কাজে মোট আটবার ফরিদপুর এসেছেন । তাঁর স্মৃতি জড়িত রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ , টাউন হল যা পরবর্তীতে অম্বিকা হল / ময়দান , মৃণাল সেনের বাড়ি , হুমায়ুন কবিরের বাড়ি , কবি জসীম উদদীন এর বাড়ি, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী লাল মিয়া সাহেবদের ‘ ময়েজ মঞ্জিলের পুকুর ঘাটলাসহ অনেক জায়গা থাকলেও নজরুলের নামে কোনো স্মৃতি ফলক বা একটা সাইনবোর্ডও নেই ফরিদপুরে ।
চলচিত্র পরিচালক তাপস কুমার দত্ত বলেন, নজরুল এমন একটি হীরা যা বাঙালির জন্য অমূল্য। নজরুলকে ধারণ করলে আমরা মহিমান্বিত হউ। আমাদের বেশি বেশি নজরুল চর্চা করা উচিৎ।
কবি রাজ্জাক রাজা বলেন, বাংলাদেশে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা বিশাল। তাঁকে দেয়া হয়েছে জাতীয় কবির মর্যাদা। এটি এক বিরল সম্মান।তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
প্রফেসর আলতাফ হোসেন বলেন , আামাদের বড় দূর্ভগ্য যে কবি নজরুল ফরিদপুরে ৮ বার এসছেন কিন্তু তার নামে কোন স্মৃতিফলক নাই। এমনকি একটি রাস্তার নামকরণও করা হয়নি। নজরুলকে নিয়ে আমরা দিধাবিভক্ত না হই। কবিকে যেন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে পারি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মজনু, চিত্রশিল্পী সজল বাড়ৈ, শুশিল কুমার সরকার, আমরা করবো জয়ের সাধারণ সম্পাদক শরীফ খান , কণ্ঠশিল্পী সোহান শরিফ প্রমুখ।