খুঁজুন
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুর এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ নেত্রীর মেয়ে

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৪:৫৬ পিএম
ফরিদপুর এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ নেত্রীর মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনসিপি’র মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আক্তার হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সৈয়দা নীলিমা দোলাকে ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের আপন ভাগ্নি।
চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের টিমকে বলা হয়েছে, উল্লেখিত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমিটির নিম্মোক্ত সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির প্রস্তাবনার নির্দেশনার প্রদান করা হল। এতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে। এছাড়া, ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দুইজন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা বলেন,  পারিবারিক ব্যকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার (সৈয়দা নীলিমা) মামা শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুঁড়েছে। তার মায়ের কর্মকান্ডও আমাদের জানা। সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তাকে দায়িত্ব দেয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেয়া হলে ভাল হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা নীলিমা দোলা জানান, আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করে আসতেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সকল আন্দোলনের আমি অতি পরিচিত মুখ। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলা ও একজন প্রতক্ষ্যদর্শী আমি। সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে, বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেছেন।

ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজা সহ মো. রমজান মোল্লা (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।

শুক্রবার (০৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভাঙ্গা টোল প্লাজার পশ্চিম পাশের এক্সপ্রেসওয়েতে চেকপোস্ট বসিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া রমজান মোল্লা নড়াইলের নড়াগাতীর
পাখিমারা এলাকার মো. মোস্তফা মোল্লার ছেলে।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মো. রমজান মোল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসের যাত্রী সেজে যাত্রীবাহী বাস ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অভিনব কায়দায় সরবরাহ করত। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২ টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ  

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২:১৬ পিএম
চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ  

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে একটি আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণের পাশাপাশি ১০টি চায়না দুয়ারী বিনষ্ট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) বিকেল হতে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার লোহারটেক কোলের সর্দার বাড়ি ব্রীজের সন্নিকটে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁধ ও চায়না দুয়ারী ধ্বংস করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা খাতুন।

অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব, ক্ষেত্র সহকারী শামিম আরেফিন ও পুলিশ সদস্য।

এ সময় আড়া আড়ি বাঁধটি অপসারণের পাশাপশি জব্দকৃত চায়না দুয়ারী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্দার বাড়ি ব্রীজের সন্নিকটে একটি আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছের অবাধ বিচরণ ও বংশবৃদ্ধি রোধ করা হচ্ছিল। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁধটি অপসারণের পাশাপাশি ১০টি চায়না দুয়ারী বিনষ্ট করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নদী ও কোলে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও।

সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০০ পিএম
সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীবরদী গ্রামের একমাত্র ফুটবল খেলার মাঠটি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই মাঠটি এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলার একমাত্র স্থান। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মাঠটিতে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অধিগ্রহণের পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাজ শেষ হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। প্রায় ১৭ বছর ধরে উত্তর চণ্ডীবরদী এবং আশপাশের গ্রামের ফুটবলপ্রেমীরা এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। জমির মূল মালিকরা সরকারের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পেয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে, পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাকি সরদার, তার ভাই মুকসুদপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির সরদার, বোন নিলুফা বেগম এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ সরদার এই মাঠ দখলের সঙ্গে জড়িত।

মাঠে খেলতে আসা খেলোয়াড় ও দর্শকরা খেলার মাঠটি দখলমুক্ত করাসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ আবুল ফজল বলেন, “স্থানীয়দের খেলাধুলার মাঠটি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সালথা থানার ওসি ও ইউএনও-কে জানিয়েছি। অন্যথায়, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে দখলদারদের প্রতিহত করা হবে।”

স্থানীয় সাংবাদিক আর. টি. হাসান জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “মাঠ দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধান করা হবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে দখলকৃত স্থানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।