খুঁজুন
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

বিলুপ্তির পথে ফরিদপুরের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধানের গোলা

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৭:৫১ এএম
বিলুপ্তির পথে ফরিদপুরের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধানের গোলা

বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ফরিদপুরের ধানের গোলা। একসময় গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের বাড়িতে এরকম ধানের গোলার প্রচলন ছিল। গোলাভরা ধান ও পুকুর ভরা মাছ ছিল। জমিদারি প্রথা ও কৃষক পরিবারের বিভিন্ন ঐতিহ্যের মধ্যে ছিল এই ধানের গোলা।

 

এখন মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেত থাকলেও কৃষকের বাড়িতে নেই ধান মজুদ করার জন্য বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা। অথচ একসময় সমাজে মানুষের আভিজাত্য নির্ভর করতো কার কয়টি ধানের গোলা আছে এ হিসাব কষে। শুধু তাই নয়, কন্যা পাত্রস্থ করতেও বরপক্ষের লোকজন আগে দেখতো ধানের গোলা। নতুন প্রজন্মের কাছে এটা একটা ইতিহাস। শুধু রূপকথার গল্পের মতো। প্রবীণ ও পুরোনোদের কাছে এটি শুধু হারিয়ে যাওয়া একটি ঐতিহ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামবাংলার কৃষক পরিবারের সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা এখন আর ফরিদপুরে কোথাও চোখে পড়ে না। তবে পুরো জেলার মধ্যে একটি মাত্র ধানের গোলা এখনও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে কৃষক অধীর কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে এটি রয়েছে। তার মাঠের সব ধান এই গোলায়ই তিনি সংরক্ষণ করেন। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাড়ির উঠানে এখনো তিনি এই ধানের গোলাটি যত্ন করে রেখেছেন। আগেকার দিনের মতো ব্যবহার করছেন।

অধীর কুমার বিশ্বাস বলেন, একসময় এ রকমের ধানের গোলা কৃষক ও সাধারণ পরিবারে ছিল। কিন্তু এখন আর কোথাও দেখা যায় না। ফরিদপুর জেলার মধ্যে আমার বাড়িতে একটি মাত্র ধানের গোলা আছে। এখন এর বয়স হয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর। গোলাটিতে একশত মণেরও বেশি ধান রাখা যায়। আমার নিজের জমির যতো ধান হয়, রাখার উপযোগী করে তা এ গোলায়ই রাখি।বাপ-দাদার আমল থেকে দেখে এসেছি। অনেক যত্ন করে ব্যবহার করা হয় এবং মাঝে মাঝে সংস্কার করে পুরোনো ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছি। ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে গোলায় রাখা হয়। প্রয়োজনের সময় গোলা থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়।

অধীর কুমার বলেন, আগেরকার সময় নামকরা গৃহস্থ বলতে মাঠভরা বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ আর কৃষকের গোলা ভরা ধানকেই বোঝাত। এখন আর আগের মতো কেউ এভাবে ধান রাখে না। বস্তায় করে গোডাউন অথবা ঘরের মধ্যে রেখে দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে বাঁশ-কঞ্চি দিয়ে গোল আকৃতির কাঠামো তৈরি করা হয়। এঁটেল মাটির কাদা তৈরি করে ভেতরে ও বাইরে আস্তরণ লাগিয়ে উপরে টিনের চালা দিয়ে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা এই ধানের গোলা। প্রবেশপথ বেশ উপরে, যেন চোর বা ডাকাত সহজে ধান নিতে না পারে। এ ধরনের ধানের গোলায় ইঁদুর ঢুকেও ক্ষতি করতে পারে না। গোলায় শুকানো ভেজা ধানের চাল শক্ত হয়। তখনকার কৃষকদের কাছে এটিই ছিল ধান রাখার আদর্শ পদ্ধতি।

উপজেলা সদরের সদরদি গ্রামের বাসিন্দা মো. সজীব মোল্লা। তিনি ফরিদপুর সিটি পেজের মডারেটর হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করেন। কিন্তু এর আগে কখনো তিনি ধানের গোলা দেখেননি। তিনি বলেন, আমার গ্রামের পাশেই কৃষ্ণনগর গ্রামে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী একটি মাত্র ধানের গোলা আছে। কিন্তু এর আগে এটি সম্পর্কে জানিনি।

মধুখালী উপজেলার মেকচামী ইউনিয়নের বামুন্দী গ্রামের বাসিন্দা ও প্রবীণ শিক্ষক প্রভাষ মণ্ডল জানান, এখন আর গোলার প্রচলন বা কদর কোনোটাই নেই। এখন এটি চোখেও পড়ে না। ড্রাম কিংবা বস্তায়ই ধান রাখা হয়।

বোয়ালমারী উপজেলা সদর এলাকার বাসিন্দা, সাংস্কৃতিক কর্মী আমীর চারু, সুমন খানসহ অনেকেই জানান, এখন আর এসব চোখে পড়ে না। একেবারেই বিলুপ্তির পথে। গোলা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় আগে দক্ষ শ্রমিক ছিল। এখন এই পেশাটিও হরিয়ে গেছে।

কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী হাসান ফিরোজ ও সমর চক্রবর্তী বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে দেখেছি ও শুনেছি গোলায় ধান রাখা কৃষকের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু এগুলো আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে। অন্য জেলায় কিছু কিছু দেখা গেলেও আমার জানা মতে ফরিদপুরে নেই। গোলাগুলো একসময় আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য বহন করতো।

সালথা উপজেলা যদুনন্দীর গোপীনাথপুর গ্রামের নরেন্দ্র নাথ মজুমদার ও সদরপুর, নগরকান্দা, ভাঙ্গা এলাকার প্রবীণরা জানান, আগেরকার দিনে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এ ধরনের ধানের গোলা থাকত। নাতি-নাতনিদের কাছে বললে তারা এখন বিশ্বাসও করতে চায় না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধানের গোলা।বর্তমানে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আধুনিক কালের কলের নাঙলে ওলট-পালট করে দিয়েছে গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সেসব চালচ্চিত্র। শুধু ধানের গোলা নয়, ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতি।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, কালের বিবর্তনে আজ বিলুপ্ত। আশির দশকের দিকে ওইসব ধানের গোলা কৃষক ও সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতো। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য উপকরণে।ফলে ঐতিহ্যবাহী এসব ধানের গোলার জায়গা দখল করে নিয়েছে পাটের বস্তা। এগুলো তৈরি ঝামেলামুক্ত ও সহজে বাজারে পাওয়া যায় বলে মানুষ বাঁশের গোলার পরিবর্তে এসব আধুনিক উপকরণ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে গেছে বাঁশের গোলার কদর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তালিকায় এর অবস্থান শূন্য বলে তিনি জানান।

ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ 

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ 

ফরিদপুরে মো. রুবেল মিয়া (হৃদয়) নামের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা পদত্যাগ করেছেন। তিনি এনসিপির ফরিদপুর জেলা কমিটির সদস্য।

সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রুবেল মিয়া (হৃদয়) পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পদত্যাগপত্রে রুবেল মিয়া হৃদয় উল্লেখ করেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দলের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ, দলের কার্যক্রম সিদ্ধান্ত এবং অবস্থানগুলো জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় এবং দলটির বর্তমান পথচলা আমার ব্যক্তিগত আদর্শ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, আমি গভীরভাবে হতাশ ও বিচলিত।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি আর দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারছি না। তাই আমি বিনীতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি, ফরিদপুর জেলা-এর সকল কার্যক্রম ও পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করছি।’

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রুবেল মিয়া (হৃদয়) বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর থেকে আমি যেমনটা ভেবেছিলাম তার সাথে বর্তমান কার্যক্রমের কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছিনা। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দলের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ, দলের কার্যক্রম সিদ্ধান্ত এবং অবস্থানগুলো জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় আমি পদত্যাগ করেছি।’

ফরিদপুর জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘রাজনীতি দীর্ঘ দিনের পথচলা। সেখানে অনেকে হতাশ হয়ে যান। এমনটা রুবেল মিয়া হৃদয়ের মধ্যেও রয়েছে। সে হতাশ। তাই পদত্যাগ করেছেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘তাকে অনুরোধ করার পরও পদত্যাগ থেকে পিছপা হননি। তাই তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।’

 

জন্মনিবন্ধন সনদ পেল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা, কাটল স্কুলে ভর্তির জটিলতা 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০৪ পিএম
জন্মনিবন্ধন সনদ পেল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা, কাটল স্কুলে ভর্তির জটিলতা 

এক সময় তারা পরিচয় দিতে পারতো না, স্কুলে ভর্তি হতে পারতো না! সেই অবহেলিত ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এসব শিশুদের মাঝে দেওয়া শুরু হয়েছে জন্মনিবন্ধন সনদ। বঞ্চিত এসব শিশুরা এখন থেকে যেতে পারবে স্কুলে, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজকর্মে পড়তে হবে না কোনো জটিলতায়।

গত শনিবার (০৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার হলরুমে শাপলা মহিলা সংস্থার আয়োজনে প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুইটি যৌনপল্লীর ৩৫ জন শিশু ও যৌনকর্মীকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে।

সনদ বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে যৌনপল্লীর বঞ্চিত শিশুরা। এসব শিশুদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি বক্তব্যকালে উল্লেখ করেন।

শাপলা মহিলা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা সদরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুইটি যৌনপল্লীতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। এসব যৌনকর্মীদের শিশু সন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। বিষয়টি নিয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না যৌনপল্লীর শিশুরা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যৌনকর্মীর সন্তানদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়ালেখার সুবিধা দিয়ে আসছে ‘শাপলা মহিলা’ নামে একটি বেসরকারী সংস্থা। এসব শিশুদের আবাসনের জন্য শহরতলীর গেরদায় গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ জন মেয়ে ও ৩৫ জন ছেলে রয়েছে। দি ফ্রিডম ফান্ডে’র সহযোগিতায় এসব শিশু ও যৌনকর্মীদের জন্মসনদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় বাবার নাম পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

জন্মসনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্যা ফ্রিডম ফান্ডে’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার ও শাপলা মহিলা সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমূখ।

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামী রয়েল মণ্ডলকে (৪৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

পরে পুলিশ পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মলিনা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধূকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেন রয়েল মণ্ডল।

মলিনা একই উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। ঘটনার একদিন পর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন তার বাবা।