খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

বোয়ালমারীতে ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা সেবা, ঘুরতে হচ্ছে অফিসের বারান্দায়

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৭:১০ পিএম
বোয়ালমারীতে ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা সেবা, ঘুরতে হচ্ছে অফিসের বারান্দায়

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছে না কোনো সেবা—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সেবাপ্রত্যাশীরা। অতিরিক্ত অর্থ না দিলে দিনের পর দিন অফিসের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে অনেককেই।

জমির নামজারি, খতিয়ান দেখানো, তদন্ত প্রতিবেদন কিংবা খাজনা আদায়—প্রতিটি ধাপে টাকা না দিলে কাজ হয় না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

তহসিল অফিসের চার পাশে রয়েছে সেলিম মুন্সি, পান্নু শেখ, জাহিদ ঠাকুর, সাইফার হোসেন, রবিউল ইসলামের কম্পিউটারের দোকানে ভূমি সংশ্লিষ্ট অনলাইনে কাজ সম্পন্ন করা হয় দোকানগুলোতে । এ সকল দোকান থেকেই মক্কেল ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তহসিলদারদের কাছে। যেখানে একটি মিউটেশনের সরকারি চার্জ ১১৭০ টাকা, অথচ সেবাগ্রহীতার কাজ থেকে নেওয়া হচ্ছে প্রকারভেদে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই দালালদের প্রধান পছন্দ থাকে প্রবাসীদের।

মঙ্গলবার ও বুধবার এই তহসিল অফিসের সামনে কথা হয়, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আহসান হাবিব , চতুল নিচে বাইখীর গ্রামের নিয়ামুল হক ফয়সাল, বাইখীর চৌরাস্তার মিলন শেখের সাথে। এরা সকলেই জানান, ভূমি অফিসের অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া কোন ফাইল এসিল্যান্ড অফিসে যায় না, তাদের কোন মিউটেশন ৪/৫ হাজার টাকার কমে কাজ সম্পন্ন হয়নি।

ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদার জহিরুল হকের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু চতুল তহসিল অফিস নয় এমন চিত্র পুরো বোয়ালমারি ইউনিয়ন ভূমি অফিস জুড়ে।

চতুল ইউপির সেবাগ্রহীতাদের দাবি,জহিরুল হক নিজের নিয়ন্ত্রণে কয়েকজন দালাল রেখে সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলান। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি নিজেই অফিসের খরচের কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ নেন।

এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ইতালি প্রবাসী শামিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, জুলাই ১০ তারিখে আমার ফ্লাইট রয়েছে ইটালিতে যাওয়ার। যে কারণে চতুল ইউনিয়নের একটি জমির মিউটেশন খুবই জরুরি ছিল।

ভেবেছিলাম ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন হয়েছে, আমার কাজটি ভোগান্তি ছাড়া দ্রুতই হয়ে যাবে। বাইরের দোকান থেকে অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় সব কাজপত্র নিয়ে আমি ভূমি অফিসে যাই। সমস্যা হয় সেখানেই। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া তারা ফাইল ফরওয়ার্ড দেয় না এসিল্যান্ড অফিসে। পরে নিজের ভাইকে দিয়ে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে কাজটি করতে হয়েছে।

একই রকম কথা বলেন প্রয়াত আশরাফুজ্জামান সাইফার মিয়ার ছেলে এহরামুজ্জামান। তিনি বলেন, বাবা মারা গেছে বেশ কিছুদিন হল। বাবার নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তি নামজারি করার জন্য গিয়েছিলাম চতুল ভূমি অফিসে। ওই অফিসে ৩-৪ কার্যদিবস যাওয়ার পর তহসিলদার সাহেব বললেন অফিস খরচ না দিলে কিভাবে ফরওয়ার্ডিং হবে। বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকা দিয়ে আমার কাজটা আমি করেছি। তারপরও খুশি আমার কাজতো হলো।

গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা থেকে মিউটেশন করতে এসেছেন নাজমুল হোসেন। তিনি সৌদি প্রবাসি, ৮ শতাংশ জমির নিউটেশন করতে সরকারি জমা টাকার বাইরে ১০ হাজার টাকা দিয়েন। তাকে বলা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে কাজটি করে দেয়া হবে।

চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার ইউনিয়নের অনেকের কাছ থেকেই উনার (তহসিলদার) সম্পর্কে বিভিন্ন রকম খবর পেয়েছি, তবে আমি নিজে কখনো যাইনি।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন হওয়ার পরেও মানুষের ভোগান্তি বা প্রতারনা মুক্ত কেন হয়নি এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির টিআইবির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, কেন্দ্র সরকার যেভাবে সংস্কারের মাধ্যমে মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে চান, তৃণমূল পর্যায়ে আসলে সেই মেসেজটি এখনো সেভাবে পৌঁছায়নি। যে কারণেই শত চেষ্টার ফলেও ভূমি ব্যবস্থাপনায় সেবাগ্রহীতার হয়রানি রোধ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনেরও সদয় আন্তরিকতা ও কঠোর তদারকি দরকার। তবেই হয়তো আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবো।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় ফরিদপুরের বৈষ্ণম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার সাথে। তিনি জানান, বতর্মান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সেবা দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তারপরেও এ কাজে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো।

ভূমি (তহসিল) অফিসের দুর্নীতি ও হয়রানির প্রসঙ্গে ফরিদপুর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান বলেন, ২৪ এর আন্দোলন একটি পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, সেখানে যারা প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে তাদেরকে অবশ্যই আইনে আওতায় আনা উচিত এবং প্রশাসনের যে পর্যায় গুলোতে দুর্নীতির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেখানে তদারকি হওয়া দরকার। আর এক্ষেত্রে স্থানীয় জনসাধারণেরও সক্রিয় হওয়া উচিত, সরকারের যেসব দপ্তরের দুর্নীতিবাজ লোক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হইতে হবে সকলকেই ।

বোয়ালমারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় অনলাইন সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমেছে, তবে অনেকই এই বিষয়টি ভালোভাবে না বুঝতে পারায় দালালের খপ্পরে পড়ে। তখন তাদের অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হয়। আমরা বলবো সরাসরি এসি ল্যান্ড অফিসে আসুন, মিডিল ম্যানের কাছে না গিয়ে।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।