খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮ আশ্বিন, ১৪৩২

ভাঙ্গায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৫১ পিএম
ভাঙ্গায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে পিয়াস (১৬) নামের এক তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধা’র করেছে পুলিশ।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ভাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চন্ডিদাসদি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত পিয়াস শেখ ওই গ্রামের ফেরদাউস শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি পিয়াস। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয়রা পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সেখানে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহের পাশে একটি বাঁশের ধর্ণায় গামছা ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পাশে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারও পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চেয়ার ব্যবহার করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, পিয়াস মাদকে আসক্ত ছিল এবং মাঝে মাঝে ঘুমের ওষুধসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন করত।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত, কারণ জানালেন তাহসান

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত, কারণ জানালেন তাহসান

সংগীতশিল্পী তাহসান খান ২৫ বছরের সংগীত জীবনের বিশেষ মুহূর্ত উদ্‌যাপন করতে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন। সেখানকার পাঁচটি শহরে কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।

তেমন একটি আয়োজনে তাহসান জানান কনসার্ট থেকে সরে আসার কথা।

 

সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে তেমনটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেখানে তাহসানকে বলতে শোনা যায়, এটাই আমার লাস্ট কনসার্ট। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটাও গুটিয়ে ফেলবো।
মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন কি দাঁড়ি রেখে স্টেজে দাঁড়িয়ে এমন লাফালাফি করতে ভালো লাগে?

তিনি আরও বলেন, আমার সব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দিয়েছি।

হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত? হয়তো অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন। বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় তাহসানের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলানিউজকে এই গায়ক জানালেন, বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত।

এর আগে গত বছর তাহসান জানিয়েছিলেন, হেটেরোটোপিয়া নামের একটি রোগ বাসা বেঁধেছে তার কণ্ঠনালিতে। এই সমস্যায় গলার কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায়। কমে যায় গান গাওয়ার মনোবল। ২০১৮ সাল থেকে এই সমস্যার শুরু। সে কারণে আগের মতো এখন আর অনায়াসে গানও গাইতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে গান গাওয়া নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

ওই সময় তাহসান বলেছিলেন, যত দিন যাচ্ছে, আমার গান গাওয়ার সক্ষমতাও কমছে। ভক্তদের এ জন্য জানালাম, ধীরে ধীরে যদি কনসার্ট কমে যায় এবং লাইভে গান গাওয়াও কমে যায়, তাহলে আপনারা বুঝে নেবেন, আমার সমস্যা প্রকট হয়েছে।

তাহলে কী হেটেরোটোপিয়া রোগের কারণে কনসার্ট ছাড়ছেন? বিষয়টি তেমন নয়। মূলত ব্যক্তিগত কারণেই কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণটি ব্যক্তিগত হওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি তাহসান।

বলে রাখা যায়, গানের আগে অভিনয় থেকে ও সরে দাঁড়িয়েছেন তাহসান। গত বছর এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি ২০ বছর ধরে অভিনয়ে কাজ করছি। নিজেকেই নিজের বিরতি নিতে হয়। যারা আমাকে ভালোবাসে আমার কাজ ভালো লেগেছে বলেই ভালোবাসেন। যখন মনে হয় কাজ একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে, খুব একটা ভালো কাজ হচ্ছে না তখন নিজেকেই থামিয়ে দিতে হয়।

কথাসাহিত্যিক নির্জনের গল্পে নাটক সুইট প্রেমিক

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
কথাসাহিত্যিক নির্জনের গল্পে নাটক সুইট প্রেমিক

এ সময়ের জনপ্রিয়র কথা সাহিত্যেক ফরিদুল ইসলাম নির্জনের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সুইট প্রেমিক। ভিন্ন রকমের এই নাটকটি, অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক মিতুল খান।

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জাগো ইন্টারটেইনমেন্ট রিলিজ পাচ্ছে।

 

নাটকটি সম্পর্কে পরিচালক মিতুল খান বলেন, নির্জন ভাইয়ের লেখার সাথে আগে থেকেই পরিচিত। সেই সুবাধে নাটকের জন্য গল্প চাই। গল্পটি নিয়ে কাজ করতে নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়েছে। দর্শকরা নাটকটি দেখে বিনোদনের পাশাপাশি অনেককিছু  শিখবে।

নাটকটি সম্পর্কে সুইট প্রেমিকখ্যাত নীলয় আলমগীর বলেন,’মিতুল গল্পটি নিয়ে যখন প্রথম আমার কাছে আসে, সত্যিকারভাবে আমি করতেই চাইনি। ভেবেছি এই বয়সে, এমন চরিত্রের অভিনয়। ছয়জন নায়িকার সাথে প্রেম। তাদের মন যোগানো। কিন্তু পরবর্তীতে কাজ শেষ মনে হলো দারুণ কিছু হয়েছে। দশকরা ভালো কিছু দেখবে আশা করি। ‘

নাটকটি সম্পর্কে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ভিন্ন এক ক্যারেক্টর। অভিনয় করতে সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। দর্শক নাটকটি দেখে আনন্দিত হবে।

নাটকটির লেখক নির্জন বলেন, আমি সব সময় জনপ্রিয় ধারায় লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। জনপ্রিয়তার মাধ্যমে সমাজে কিছু বার্তা দিয়ে থাকি। সুইট প্রেমিক নাটকের ক্ষেত্রেও দর্শক তেমনটি পাবে।

এ ছাড়া নাটকটিতে অভিনয় থাকছেন বাশার মাসুম, মনিরা মিঠু, শান্তি রহমান, অর্পা, স্নেহা, অরিন,অনেষ্বাসহ আরও অনেকেই।

প্রথম সম্পর্ক ভাঙার পর আর বিয়ে করেননি তারা!

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
প্রথম সম্পর্ক ভাঙার পর আর বিয়ে করেননি তারা!

শোবিজ তারকারা প্রায়ই তাদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আলোচনায় থাকেন। আজ বলিউডের সেই সব অভিনেত্রীদের সম্পর্কে জানাব যারা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর আর কখনও বিয়ে করেননি।

 

২০০৩ সালে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর প্রয়াত ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ঘরে ২০০৫ সালে জন্মগ্রহণ নেয় কন্যা সামাইরা, এরপর ২০১১ সালে তাদের ঘরে আসে পুত্র সন্তান কিয়ান। তবে ২০১৬ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। বিবাহবিচ্ছেদের পর করিশমা আর কোনও বিয়ে করেননি।

বলিউড অভিনেত্রী রেখার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। রেখা ১৯৯০ সালে মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন। তবে, মুকেশ পরে আত্মহত্যা করে মারা যান। তার মৃত্যুর পর, রেখা আর কখনও বিয়ে করেননি এবং এই বিবাহ থেকে তার কোনও সন্তানও হয়নি।

অভিনেত্রী অমৃতা সিং ভালোবেসে অভিনেতা সাইফ আলি খানের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম। সারা এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সাইফের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের অমৃতা আর বিয়ে করেননি। দুই সন্তানকে ঘিরেই জীবন কাটছে তার। অন্যদিকে সাইফ অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

২০১২ সালে সম্রাট দাহালের সঙ্গে অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে মনীষা আর কোনও বিয়ে করেননি। তিনি তার কেরিয়ার এবং পরিবারের নিয়ে মনোযোগী।

২০১৩ সালে অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী স্বামী ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি আর কখনও বিয়ে করেননি।

১৯৯৪ সালে গুজরাটি বংশোদ্ভূত ফারহান ফার্নিচারওয়ালাকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী পূজা বেদী। ২০০৩ সালে বেদী এবং ফারহানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর আর অভিনেত্রী বিয়ে করেননি।

অভিনেত্রী জেনিফার উইঙ্গেট ২০১২ সালে করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে ২০১৪ সালের নভেম্বরে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে। করণ পরবর্তীতে বিপাশা বসুকে বিয়ে করেন, কিন্তু জেনিফার আর কখনও বিয়ে করেননি।