খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

মোবাইলে ১০০ টাকায় খরচ ১৪২ টাকা

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৮ এএম
মোবাইলে ১০০ টাকায় খরচ ১৪২ টাকা

বছর না ঘুরতেই আবারও বেড়েছে মোবাইল সেবার খরচ। মেবাইল ফোনে কথা বলা, মেসেজ আদান-প্রদান এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে খরচ বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মোবাইল সেবাদানকারী অপারেটররা।

 

রাজস্ব বাড়াতে সরকারের এই পদক্ষেপকে অবিবেচনা প্রসূত উল্লেখ করে তা অপারেটরদের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং সরকারের রাজস্ব কমবে জানিয়ে অপারেটররা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবিচেনার আহ্বান জানিয়েছেন।

মোবাইল সেবায় উচ্চ কর হার নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে এবং নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে বলে মনে করে মোবাইল গ্রাহকদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে অন্তর্বতী সরকার।

৯ জানুয়ারি রাতে এ সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অধ্যাদেশ দুটি হলো, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫।

এ অধ্যাদেশের ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়ে যাবে বলে বিভিন্নখাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

গত বাজেটের আগে ১শ টাকা ব্যবহার করলে ১৩৩ দশমিক ২৫ টাকা খরচ হতো। বাজেটে মোবাইলফোনের সেবার ওপর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। ৯ জানুয়ারি ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তা ২৩ শতাংশ করা হয়।
এই সিদ্ধান্ত টেকসই উন্নয়ন ও ডিজিটাল অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন মোবাইল অপারেটরের জোট এবং অপারেটররা।

দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেছেন, মোবাইল ব্যবহারের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার মূল্য আরও বাড়াতে, যা প্রান্তিক ও স্বল্প আয়ের মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করবে। এর ফলে অপারেটরদের আয় কমবে, যা এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের ওপরও নিম্নমুখী প্রভাব ফেলতে পারে।

‘আমরা চাই, অব্যহিতভাবে কর না বাড়িয়ে মোবাইল সেবাকে জরুরি ও মৌলিকখাত হিসেবে বিবেচনা করে করের হার যৌক্তিক পর্যায়ে এনে সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা করা হোক। আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে কর কাঠামো পুনর্বিবেচনা করবে। ’

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ এক বিবৃতিতে বলেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর হঠাৎ আরও তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় আমরা বিস্মিত। এমন পরিস্থিতিতে এটি বাড়ানো হলো যখন ধকল কাটিয়ে উঠছে অর্থনীতি, দেশে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে, দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই নিয়ে গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলো। ২০২৪ সালের জুনে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এখন আবারও তিন শতাংশ বাড়ানো হলো। সেক্ষেত্রে মাত্র সাত মাসের মাথায় গ্রাহকদের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা বাড়ল ৯ দশমিক ২ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। এখন থেকে গ্রাহকরা প্রতি ১শ টাকার সেবা নিলে দিতে হবে ১৪২ দশমিক ৪৫ টাকা (ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জসহ)। গত বাজেটের আগে যা ছিল ১৩৩ দশমিক ২৫ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সংকল্পবদ্ধ টেলিযোগাযোগ শিল্প। কিন্তু এমন পদক্ষেপ এই অগ্রগতি ব্যাহত করবে এবং ডিজিটাল বৈষম্য বাড়াবে। গ্রাহকদের স্বার্থে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গঠনের বৃহত্তর লক্ষ্যে আমরা সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, টেলিকম সেবা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি। এছাড়া ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে অপরিহার্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই খাত। মোবাইল ফোনের সেবার ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে গ্রাহকের খরচ বাড়বে। মাত্র কয়েক মাস আগে, গত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়, যা ইতোমধ্যে গ্রাহক ও টেলিকম খাতের জন্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ ডিজিটাল বৈষম্য বাড়ানোর পাশাপাশি এই খাতের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত এবং সরকারের রাজস্ব আয় কমবে। টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে আমরা সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাই।

মোবাইল অপারেটরদের মতো গ্রাহকদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনও সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নতুন করে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ওপর ১০ শতাংশ এসডি ও ভ্যাট আরোপ করেছে এনবিআর। আমরা মনে করি, এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই নিতে পারে যাদের ওপর বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পেতাত্মা ভর করে আছে। ইন্টারনেট সেবায় আমরা বিশ্বের মধ্যে তলানিতে আছি অন্যদিকে ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে। যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে সেখানে নতুন করে এই উচ্চ কর হার নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাজার হাজার প্রাণ দিয়েছিল জবাবদিহিতা গণতন্ত্র ও সেবামূলক কমবে বলে। কিন্তু বর্তমান সরকার এবং এনবিআর সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ যোগানোর জন্য জনগণের পকেট কাটার যে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অযৌক্তিক এবং ফ্যাসিবাদীমূলক আচরণ। এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসতে হবে।

মোবাইল সেবায় ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২২ পিএম
অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এবং ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ফাতিমা তাসনিম।

এদিকে রাতে নিজেদের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ওই পোস্টে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

এ ছাড়া ওসমান হাদির ফেসবুক পেজেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

আলফাডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১০ পিএম
আলফাডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত

“দক্ষতা নিয়ে যাবে বিদেশ রেমিট্যান্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও আলফাডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আয়োজনে এ বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অুনষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম রায়হানুর রহমান।

আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে ও টিটিসির প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এম এম মজিবুর রহমান।

এসময় বক্তব্য প্রদান করেন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি মো.ইকবাল হোসেন, প্রশিক্ষক আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে কম্পিউটার বিভাগের প্রশিক্ষক খালেদ আল আরাফাত ও ইজাজ আহম্মেদ রাজকে সেরা প্রশিক্ষক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন উপস্থিতি অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এখান থেকে স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এলাকার শত শত বেকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। অনেকে বিদেশ গিয়ে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে আছে।’

তিনি আরও জানান, এখন বিদেশে পাঠানোর নাম করে দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তিনি বিদেশ গামীদের ভিসা যাচাই-বাছাই করে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং দেশ থেকে বিভিন্ন কাজ শিখে নিজেকে দক্ষ করে বিদেশ গেলে কাউকে বসে থাকতে হবে না। তারা সহজেই তাদের ভাগ্য পাল্টাতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম।

ফরিদপুরে মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ পিএম
ফরিদপুরে মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় শাগীর শাহ্ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসায় চলমান পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে যোগ্য প্রার্থীদের উপেক্ষা করে অদক্ষ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে পরীক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন যে, বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের পরিপন্থী এবং এতে অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী রিয়াজুল, হাসিব খাঁন, আশিক মৃধা, আজিজুর রহমান ও নাঈম ইসলাম মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশ ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ নিয়োগ দানে চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, উপজেলার কাটাগড় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে রাকিব মোল্যাকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন করেছেন মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অন্যান্য নিয়োগ প্রত্যাশীরা। আবেদনের সাথে তারা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও বিজ্ঞপ্তির কপি সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসাটির সুপার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সকলের উপস্থিতিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া অর্থ লেনদেনের কোনো প্রশ্নই উঠে না। নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যে প্রথম হবে তাকেই নিয়োগ প্রদান করা হবে।

বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দীন বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আমি একজন সদস্য মাত্র। পরীক্ষা বন্ধ করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমার হাতে নিয়োগ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলে নিয়োগ বন্ধ করে দিতাম। তাছাড়া আমার স্ত্রী অসুস্থ এ কারনে নিয়োগ পরীক্ষায় আমি উপস্থিত থাকতে পারবোনা। আমার একজন প্রতিনিধি থাকবেন।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম রকিবুল হাসান বলেন, আমি নির্বাচনী ট্রেনিংয়ে গত দুই দিন ঢাকায় অবস্থান করছি। যার কারণে অভিযোগ সম্পর্কে জানা নেই। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে অবশ্যই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।