খুঁজুন
শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮ ভাদ্র, ১৪৩২

‘যেভাবে আসা বাংলানিউজে’

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২:২৯ পিএম
‘যেভাবে আসা বাংলানিউজে’

সময় বহমান। তাইতো সে থেমে থাকেনা কখনোই। এই সময়ের বহতায় কত স্মৃতিই-না জড়িয়ে থাকে। জড়িয়ে থাকে নানা অভিজ্ঞতা, নানা শিক্ষা। যা কখনোই ভুলা যায়না।

এমনই করে নানা অভিজ্ঞতা আর স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রিয় প্রতিষ্ঠান বাংলানিউজ২৪-এর সাথে।

২০১০ সালের ১লা জুলাই বাংলানিউজের আত্মপ্রকাশ হলেও আমার পথচলা শুরু হয় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এখানকার সহকর্মীদের আন্তরিকতা আর সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব সত্যিই বিমোহিত। এছাড়া অফিসের নিউজ বিভাগের সাথে জড়িয়ে থাকা দক্ষ সাব-এডিটরগণ আমাদের পাঠানো নিউজ নিপুণভাবে নির্ভূল সংবাদ পরিবেশনে ভূমিকা রাখার বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।

২০১২ সাল থেকে আমার মফস্বলের সংবাদকর্মী হিসেবে পথচলা। তখন নানা স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইনে কাজ করতে থাকি। তখন বাংলানিউজের নাম সব সাংবাদিকদের মুখে মুখে শোনা যেত। ওই সময়টায় ফরিদপুরে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করতেন রেজাউল করিম বিপুল। যিনি সংবাদকর্মী হিসেবে ছিলেন দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তাকে দেখতাম যেকোনো ঘটনা সবার আগে বাংলানিউজে পাঠাতেন। এমনও দেখেছি কোনো একটি ঘটনার ৮-১০ পর্ব ফলোআপ নিউজ করতে। এসময় মনে মনে ভাবতাম যদি বাংলানিউজে কাজ করার একদিন সুযোগ পেতাম।

এভাবে অপেক্ষার পালা শেষ হয় ২০২১ সালে। কারণ, এসময় রেজাউল করিম বিপুল বাংলানিউজ ছেড়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪-এ যোগদান করেন। ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টের পদ শূন্য হলেও চলে জেলার অভিজ্ঞ অন্তত ৮-১০ জন সংবাদকর্মীর সাথে আমার প্রতিযোগিতা। পাঁচ মাস নিউজ পাঠানোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পর অতঃপর আমার কাজ করার পুরোপুরি সুযোগ হয় বাংলানিউজে।

এরপর চলে যেকোনো নিউজ ফরিদপুর জেলা থেকে সবার আগে পাঠানোর প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পেরেছি সেটা পাঠকরাই বলতে পারবেন। তবে, চেষ্টা করেছি অবিরত।

গ্রামের মাঠে-ঘাটে ও প্রত্যন্ত এলাকায় নিউজের জন্য যখন যাই তখন বাংলানিউজের কথা বললে মানুষ খুব আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখান। তথ্য দিয়েও খুব সহযোগিতা করেন। অপেক্ষায় থাকেন নতুন কিছুর। নতুন কোনো ঘটে যাওয়া নিউজের।

আজ ১লা জুলাই ২০২৫। বাংলানিউজ২৪.কম ১৫ পেরিয়ে ১৬ বছরে পা রাখলো। এই শুভদিনে বাংলানিউজের জন্য শুভকামনা রইলো। বাংলানিউজ তার সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে এগিয়ে যাক দূর থেকে বহুদূর এই কামনা সবসময়।

 

 

লেখক: হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর, বাংলানিউজ২৪

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুর রহমান (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই কিশোরীর বড় ভাই ইলিয়াস মল্লিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরপরই ওই রাতেই আসামী মফিজুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের একটি গ্রামে মসজিদের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আসামী মফিজুর রহমান সাতৈর ইউনিয়নের কেরশাইল গ্রামের বাসিন্দা ও তিনি স্থানীয় কেরশাইল জামে মসজিদে ইমামতি করতেন বলে জানা গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় ওই দোকানের পাশের বাড়ির মফিজ মল্লিক (৪২) টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে পাশের মসজিদের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীর বড় ভাই মসজিদের বাথরুমে প্রস্রাব করিতে গেলে কান্নার শব্দ শুনে দরজা খুলে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে ওই কিশোরীকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় ভাই ইলিয়াস মল্লিক বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৩০। মামলার এ ঘন্টার মধ্যে আসামী মফিজুর রহমানকে নিজবাড়ি থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে মামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই আসামি মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে শনিবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙ্গায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
ভাঙ্গায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সামিয়া আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সে গজারিয়া গ্রামের জালাল শেখের কন্যা এবং কাউলীবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামের মুরাদ বেপারীর স্ত্রী। তাদের রাইসা মনি নামের ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

তবে ছামিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে পল্লীবেড়া গ্রামে মুরাদের সাথে পারিবারিকভাবে সামিয়াকে বিবাহ দেয়া হয়। এরপর থেকে স্বামী মুরাদের সাথে স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছে। শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তারপর সকলের অজান্তে সামিয়া ঘরে গিয়ে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে
নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানান ওসি।

ফরিদপুরের লোকালয়ে হনুমান, মানুষের সঙ্গে গড়ছে সখ্যতা

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪১ এএম
ফরিদপুরের লোকালয়ে হনুমান, মানুষের সঙ্গে গড়ছে সখ্যতা

প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাবের ফলে বন্য প্রাণীরা এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাইতো এবার খাদ্যের সন্ধ্যানে লোকালয়ে দেখা গেলো দলছুট মুখপোড়া এক হনুমানকে। বন-জঙ্গলের পরিসর সীমিত হয়ে আসায় এসব প্রাণীরা খাদ্যের সন্ধ্যানে চলে আসছে লোকালয়ে।

বেশ কিছু দিন ধরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল, নওয়াপাড়া, শ্রীরামপুর গ্রামে ও সদর বাজারের এলাকাতে একেবারে কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে দুইটি হনুমান। সাধারণ মানুষের সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে তুলেছে হনুমানটি। এটি এক নজর দেখার জন্য গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও কৌতুহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

হনুমানটিকে দেখতে আসা বাকাইল গ্রামের ভ্যান চালক আইয়ুব বিশ্বাস জানান, আমি সকাল বেলা হনুমান দুটিকে আলফাডাঙ্গা- গোপালপুর সড়কের বাঁকাইল গ্রামের একটি বাড়ির বাউন্ডারির দেওয়ালের ওপর দেখতে পাই। তখন বিস্কুট ও কলা খেতে দিয়েছি।

হনুমানকে খাবার দিতে আসা একই গ্রামের কিরণ বালা জানান, আলফাডাঙ্গাতে সাধারণত হনুমান দেখা যায় না। মূলত খাবারের সন্ধানে তারা মানুষের কাছে ছুঁটে এসেছে। ঝুঁকি নিয়ে গাছের ডালে, ঘরের চালে অথবা বাড়ির ছাদে অবস্থান করছে। এখনো পর্যন্ত হনুমান করো ওপর আক্রমণ করেনি। এ সময় তিনি উৎসুক সকলকে হনুমানটিকে বিরক্ত করতে নিষেধ করেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা বন কর্মকর্তা শেখ লিটন জানান, যেহেতু হনুমান দুুটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে এসেছে, এটিকে কেউ বিরক্ত না করলে আপনা-আপনি সে তাঁর আবাসস্থলে ফিরে যাবে।