ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম নিয়ে হতাশ কৃষক

ফরিদপুরে মধুখালীর বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজ নিয়ে ভিড় করছেন পেঁয়াজ চাষীরা। এবার পাইকারি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। উপজেলার মধুখালী পৌরসদরের সবচেয়ে বড় বাজারটি বসে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার। এ হাটে উপজেলার বাগাট, নওপাড়া, কোরকদী, মেগচামী, জাহাপুর, রায়পুর, কামালদিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পেঁয়াজ নিয়ে বিক্রি করেন চাষীরা।
পেঁয়াজ মৌসুমে প্রতি হাটে মধুখালী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন আড়ৎদারের ঘর থেকে হাজার হাজার মণ পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া চাহিদা মেটাতে বরিশাল, খুলনা জেলার ব্যাপারীরাও খরিদ করে নিয়ে যান। প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত কিনছেন পাইকাররা। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
মধুখালী বাজারের আড়ৎদার মো. আতিয়ার মোল্যা বলেন, ঈদের আগে পেঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছে। এবারের পেঁয়াজের বাজারদর অন্য যে কোন বছরের থেকে অনেক কম বলে তিনি জানান।
বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা একাধিক কৃষক বলেন, মণ প্রতি খরচ হয়েছে পনেরশো টাকার উপরে। যে দামে বিক্রি করছি তাতে আমাদের কৃষি কাজ করে জীবন চালানো কষ্টকর। ঈদকে সামনে রেখে টাকার আশায় অনেকে নিরুপায় হয়ে এ দামেই বিক্রি করছি।
কামালদিয়া গ্রামের কৃষক মো. মুহিদ বলেন, প্রতি বছর পেঁয়াজ চাষ করি লাভের আশায় কিন্তু এ বছরেও দাম কম। তিনি জানান, প্রতি শতাক জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় দুই মণ। বাজারে বর্তমান দামে লোকসান না হলেও লাভ চোখে পড়ছে না।
উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মো. রাসেল আহমেদ বলেন, এ বছর এক একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। লাভ হবে আশা করেছিলাম। এখন বাজারের যা অবস্থা তাতে কী যে হবে তাই ভাবছি।
মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে মধুখালীতে মোট মুড়িকাটা, দানা এবং হালিসহ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর।
আপনার মতামত লিখুন
Array