খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে ১৭ মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞী বিন্দু মাসি গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ফরিদপুরে ১৭ মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞী বিন্দু মাসি গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী ১৭টি মাদক মামলার আসামি রেবেকা বেগম ওরফে বিন্দু মাসিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান। এর আগে রবিবার দিবাগত গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে পৌরসভার ছোলনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা গ্রামের মাদক সম্রাজ্ঞী রেবেকা বেগম ওরফে বিন্দু মাসি ও তার স্বামী আব্দুল কাইয়ুম মোল্যা বোয়ালমারীর মাদক সিন্ডিকেটের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘদিন যাবত পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছে তারা। বিন্দু মাসি ও তার স্বামীকে অর্ধশতাধিক বার মাদকসহ আটক করে পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এর মধ্যে একটি মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রেবেকা ওরফে বিন্দু মাসি। সে জামিনে বাইরে এসে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুনরায় মাদক কারবার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আব্দুল কাইয়ুুমের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৩৪টি ও বিন্দু মাসির বিরুদ্ধে ১৭টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত ) আল আমিন জানান, বিন্দু মাসির বিরুদ্ধে ১৭টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া বিন্দু মাসির স্বামী আব্দুল কাইয়ুম মোল্যার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মারামারি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ৩৪টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিন্দু মাসিকে সোমবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সালথায় আমগাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৩:৩৯ পিএম
সালথায় আমগাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
ফরিদপুরের সালথায় হাফিজুল রহমান মোল্লা (৩০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামে একটি আম গাছের ডাল থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সালথা থানা পুলিশ। হাফিজুল ওই গ্রামের ওমর আলী মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর পরিবারের অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয় হাফিজুল। রাতভর তাকে খোঁজাখুঁজির পরও পায়নি তার পরিবার। মঙ্গলবার সকালে মুরাটিয়া গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বরের পরিত্যক্ত বাগানের আম গাছের ডালের সাথে হাফিজুল রহমানের মরদেহ দেখতে পায় এক কৃষক। পরে সংবাদ পেয়ে সালথা থানা পুলিশ হাফিজুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত হাফিজুল মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানান তারা।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে হাফিজুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদপুরে তীব্র খরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়, লোকসানে চাষিরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ২:৪২ পিএম
ফরিদপুরে তীব্র খরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়, লোকসানে চাষিরা
ফরিদপুরে এবার লিচুর ফলন বিপর্যয় ফরিদপুরের মধুখালীতে এবার লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে।
ফরিদপুরের মধুখালীতে এবার লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলন মোটেও ভালো হয়নি। মূলত অনাবৃষ্টি ও টানা তাপপ্রবাহের কারণে এ ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) মধুখালী এলাকার উল্লেখিত এলাকা ঘুরে চাষিদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য উঠে আসে।
চাষিরা জানান, লিচুর ফুল ও মুকুল ঝরে পড়ায় আশানুরূপ ফল আসেনি। আকার ছোট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এবছর ফরিদপুরের লিচু বাগান মালিক ও মৌসুমি লিচু ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হচ্ছে। গতবার যে বাগানে সাত লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে, এবার একই বাগানে তিন লাখ টাকার লিচু বিক্রি হবে কি-না আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জাহাপুর গ্রামটি লিচুর জন্য বিখ্যাত। অনেকের কাছে এটি ‘লিচু গ্রাম’ নামেও পরিচিত। জাহাপুর গ্রামের প্রায় মানুষেরই লিচুর বাগান রয়েছে। অন্য ফসল উৎপাদন ছেড়ে দিয়ে এ গ্রামের সবাই লিচু চাষে ঝুঁকেছেন। লিচুগাছ-বাগান নেই, এমন একটিও বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রতিটি বাড়ি কিংবা জমিতে রোপণ করা হয়েছে লিচুগাছ। গত ২৫ বছরে এ ইউনিয়নে লিচু চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে।
চাষিরা জানান, দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লিচু চাষ। কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় প্রতি বছরই কৃষকরা ঝুঁকছেন এই চাষাবাদের দিকে। তবে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের জাহাপুর, দোস্তরদিয়া, টেংরাকান্দি, মনোহরদিয়া, চর মনোহরদিয়া, খাড়াকান্দি ও মির্জাকান্দি গ্রামে ব্যাপকভাবে লিচুর চাষ হয়। মোজাফফরি জাতের পাশাপাশি গুটি, বোম্বাই এবং চায়না-থ্রি জাতের লিচুর চাষ বেশি হয় এসব এলাকায়। তবে এবার চরম ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, মধুখালী উপজেলার প্রায় শতাধিক বাগানে এবছর ৯৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে, যার মধ্যে শুধু জাহাপুরেই ৪০ হেক্টর। চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে গড় ফলন হয়েছে ৪ দশমিক ১ টন। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি ১০ শতাংশ জমিতে গড়ে ৫-৭টি পূর্ণবয়স্ক লিচুগাছ থেকে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করা সম্ভব।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব এলাহী বলেন, জাহাপুরের লিচু ফরিদপুর ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পুরোদমে লিচু সংগ্রহ শুরু হয় এবং জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে থাকে। এবার অনাবৃষ্টিতে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। ফলনও বেশ কম হয়েছে। তবে প্রযুক্তিনির্ভর পরিচর্যা এবং সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

ফরিদপুরে পদ্মার বিশ কেজি ওজনের কাতলা মাছ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি

মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, চরভদ্রাসন (ফরিদপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ২:৩৪ পিএম
ফরিদপুরে পদ্মার বিশ কেজি ওজনের কাতলা মাছ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বিশ কেজি ওজনের পদ্মা নদীর একটি কাতলা মাছ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে এক মাছ ব্যাবসায়ী।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে উপজেলার সদর মাছ বাজারে সামচু ব্যাপারীর (৫৭) মাছের ডালায় মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
মাছ ব্যাবসায়ী সামচু ব্যাপারী জানায়, মঙ্গলবার ভোরে পদ্মার ওপাড়ে মৈনুট ঘাটে ফকির মৃধার মাছের আড়ত থেকে পনেরো হাজার টাকা দিয়ে তিনি মাছটি কিনে আনেন। সকালে চরভদ্রাসন সদর বাজারে মাছটি এনে পঁচিশ হাজার টাকা দাম হাকান তিনি। পরে কয়েকজন ক্রেতার নিকট ভাগা করে বিশ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন এই ব্যবসায়ী।
নদীতে জেলের জালে বড় বড় মাছ ধরা পরার বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব বলেন, এই মৌসুমে মাঝে মধ্যেই নদীতে জেলের জালে বড় সাইজের মাছ ধরা পরার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পদ্মা নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে অনেক মাছের পেটে ডিম রয়েছে তাই মৎস্যজীবিরা নিষিদ্ধ জাল ব্যাবহার না করে সতর্কতার সাথে মাছ শিকার করলে ভবিষ্যতে আরও বড় বড় মাছের দেখা মিলবে মলে মনে করেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।