খুঁজুন
বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০ কার্তিক, ১৪৩২

বন্ধুত্ব করতে চাইলে মাস্তানি বন্ধ করেন, ভারতকে মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
বন্ধুত্ব করতে চাইলে মাস্তানি বন্ধ করেন, ভারতকে মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে ভারতকে ‘বড় দাদাসুলভ ও মাস্তানির আচরণ’ বন্ধ করতে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ভারতকে পরিষ্কার করে বলতে চাই—আগেও বলেছি, এখনো বলছি।

বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেন। আমাদের সঙ্গে বড় দাদাসুলভ আর মাস্তানির আচরণ বন্ধ করেন। আমরা আমাদের পায়ের ওপরে দাঁড়াতে চাই। আমরা আমাদের হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে একটা বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, সে বন্ধুত্ব হবে সম্মানের সঙ্গে, আমার যে পাওনা আছে সে পাওনা বুঝে দেওয়ার সঙ্গে।

 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু তিস্তা নয়; ৫৪টি নদী আছে, যেগুলো ভারত থেকে আমাদের দেশে আসে। সব নদীর উজানে তারা বাঁধ দিয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি তুলে নিয়ে যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। আর আমাদের দেশের মানুষ এখানে ধান ফলাতে পারে না, ফসল ফলাতে পারে না। এখানে মানুষ জীবন-জীবিকা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের জেলে যারা মাছ ধরেন, তারা মাছ ধরতে পারেন না।

আওয়ামী লীগ ও ভারতের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রত্যেকটা মানুষকে আজ কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। আমরা লড়াই করেছি ১৫ বছর, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। সবার লড়াইয়ের মাধ্যমে (হাসিনা) পালিয়েছে। কোথায়? ওই ভারতে। একদিকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের যে শত্রু তাকে দিল্লিতে রাজার হালে বসিয়ে রেখেছে। সেখান থেকে আবার সে বিভিন্ন রকম হুকুম জারি করে।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আছে নাকি? পালিয়েছে। বন্ধুরা আজকের এই সংগ্রাম বাঁচা মরার সংগ্রাম, এই এলাকার মানুষের সংগ্রাম। এই সংগ্রামকে আমরা কখনো বন্ধ হতে দেব না।

অন্তর্বর্তী সরকারে উদ্দেশে বিএনপির বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কথায় কথায় আপনারা বলেন নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ কিন্তু এই জায়গায় থাকলে চলবে না। এই জায়গায় আপনাকে মুখ খুলতে হবে। ভারতকে বলতে হবে যে আমার পানির ন্যায্য হিস্যা আমি চাই। আর আপনি যে অন্তর্বর্তী সরকার তাড়াতাড়ি নির্বাচনটা দিন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেন।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। একই মঞ্চে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও নদীপাড়ের ভুক্তভোগী নুর বকস।

সমাবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

তিস্তা নদীর দুই পাড়ের পাঁচটি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলায় এজন্য হয়েছে মঞ্চ ও থাকার ব্যবস্থা। শিশু বৃদ্ধ নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠেছে তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই প্রতিটি পয়েন্ট কানায় কানায় ভরে ওঠে।

ফরিদপুরে ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিলেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৪৮ পিএম
ফরিদপুরে ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিলেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী

ফরিদপুর শহরের ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় ইব্রাহিম শেখ (৩১) নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ।

বুধবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকার রায়প্লাজার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

ইব্রাহীম শেখ শহরের হাড়োকান্দি এলাকার শাহ আলমের ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনি বিশ্বাস।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের মুজিব সড়ক, জনতা ব্যাংকের মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনি বিশ্বাস কয়েকজনকে রায়প্লাজার সামনে ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা তোলা দেখে ভিডিও করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তাঁরা। এ সময় মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ ওই ব্যক্তিকে আটকিয়ে জেরা করেন এবং কাছে থাকা একটি ব্যাগে নগদ ৪ হাজার টাকা দেখতে পান। তখন তাঁর সাথে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

মামলার বাদী জনি বিশ্বাস বলেন, মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানিদের সাথে কথা বলেন এবং চাঁদা তোলা হয় কি-না জানতে চান। তখনই ইব্রাহিম শেখ সহ কয়েকজনকে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা তুলতে থাকেন। প্রতিটি দোকান থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০/২০০ টাকা তোলা হচ্ছিল।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মোর্শেদুল ইসলাম আসিফের সাথে। তিনি আমেরিকান প্রবাসী ও থাকেন নিউইয়র্কে এবং ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাসিন্দা।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে- আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শহরকে চাঁদাবাজ মুক্ত করব। সেই প্রেক্ষিতে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম, তখনই ওই লোকটিকে টাকা তুলতে দেখা যায়। তাঁর কাছে জানতে চাইলে সে কোনো রশিদ বা কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। আমার একটাই হুশিয়ারি ফরিদপুর শহরে কোনো চাঁদাবাজী চলবে না, সে যেই হোক।

এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় রাতেই চাঁদাবাজির মামলা নেয়া হয়েছে এবং তাকে বুধবার আাদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তি তিতুমীর বাজার বণিক সমিতির লোক দাবি করলেও ফুটপাত থেকে তাঁর টাকা তোলার নিয়ম নেই, সরকারতো ফুটপাত ইজারা দেয়নি। এছাড়া এসপি স্যারের নির্দেশ আজ বুধবার থেকে ওই এলাকার ফুটপাতে কোনো দোকান বসতে পারবে না।

ফরিদপুরে ৩৬ বছর ধরে চলছে টিনের ঘরে পাঠদান, সরকারি হলেও জুটেনি ভবন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
ফরিদপুরে ৩৬ বছর ধরে চলছে টিনের ঘরে পাঠদান, সরকারি হলেও জুটেনি ভবন

ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাজনডাঙ্গা এলাকায় ১৯৮৯ সালে ৮২টি ঘর বসতি নিয়ে গঠিত হয় গুচ্ছগ্রাম। যে গুচ্ছগ্রামটি ১৯৯০ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই গুচ্ছগ্রামের অবহেলিত ও শিক্ষাবঞ্চিত কোমলমতি ছেলেমেয়েদের শিক্ষামুখী করতে ১৯৮৯ সালে গড়ে তোলা হয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার নাম রাখা হয় ‘ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এরপর এ বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। তবুও বিদ্যালয়টিতে মিলেনি ভবন, টিনের জরাজীর্ণ ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার মধ্যে গুচ্ছগ্রামের মানুষের জন্য একমাত্র বিদ্যাপীঠ ‘১১৯ নং ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’ ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই টিনের ঘর দিয়ে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো ওই ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন না থাকায় পূর্বের টিনের ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নেই, তাইতো কোমলমতি শিশুরা সবসময় আতঙ্ক আর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনগ্রসর গুচ্ছগ্রামের কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা মাথায় রেখে ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও টিনের জরাজীর্ণ ঘরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে পাঠদান। বৃষ্টি আসলে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। কখনো-বা ভাঙাচোরা জিনিসপত্র মাথায় এসে পড়ে শিক্ষার্থীদের। ভয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে চায়না স্কুলে। তাইতো কমে গেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত একমাত্র এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টিতে একসময় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও জরাজীর্ণ টিনের ঘর আর সাথে ভবন না থাকায় বর্তমানে মাত্র শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। নানা কারণে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে নিয়মিত।

অভিভাবক হানিফ হোসেন জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হচ্ছে। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কমে যাবে।’

ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চঞ্চলা রানী সরকার বলেন, ‘ভবন সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ব্যাহত হচ্ছে। ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কাজ হচ্ছে না। এ ছাড়া ২০২৪ সালে সরকার থেকে একটি ভবন বরাদ্দ হলেও অদৃশ্য কারণে সেটা বাতিল হয়ে গেছে। অতিশ্রীঘ্রই বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে গেছে।’

ফরিদপুর সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘ওই স্কুলের ভবন নিয়ে বারবার উপর মহলে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, এখনও ভবন হয়নি। তবে, এর আগে গত বছর ওই স্কুলের জন্য একটি ভবন পাশ হলেও ঠিকাদার কাজ না করায় ভবনটি অন্য জায়গায় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত এক মাস আগে ওই স্কুলের ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রচুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে, ওই স্কুলের ভবন এখনও না হওয়া দুঃখজনক। আমাদের পিডিপি-০৪ ফাইল আগামী ২০২৬ সালের জুলাইয়ে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। তখন আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই স্কুলের ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নিব।’

ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:২২ পিএম
ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে মিলি আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। মিলি আক্তার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আনোয়ার কাজীর স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও মেয়ের মা।

রেলওয়ে পুলিশের ভাঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. সাকিব আকন্দ বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে।’