খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

সদরপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের তিনদিন পরই ফের বহাল

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৬:১৩ পিএম
সদরপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের তিনদিন পরই ফের বহাল

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কাজী বদরুত জামান ও সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি বহাল রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে নতুন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে। এ ঘোষণায় সদরপুর বিএনপিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তবে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত বদল করে সর্বশেষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত আসছে বলে জেলা কিংবা সদরপুর উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দ্বিধাহীন চিত্তে তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে জেলা ও ওই উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

জন্মলগ্ন থেকে সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটির সাথে বিতর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট অনুমোদন দেয় বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন সদরপুর উপজেলা, আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর এবং ভাঙ্গা পৌর কমিটির অনুমোদন দেয়। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সদরপুর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি।

জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, ওই কমিটি চারটি গঠনের প্রক্রিয়া এবং যোগ্যব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করে ‘পকেট কমিটি’ করা হয়েছে মর্মে জেলা বিএনপির কায়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যসহ নয়জন এ অভিযোগ কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে লিখিতভাবে জানালে গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে সদরপুরসহ নব ঘোষিত চারটি কমিটির কাযক্রম স্থগিত করে কেন্দ্র। চলতি বছর ২০২৫ সালের ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্থগিত করা চারটি কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র সদরপুর উপজেলা কমিটির স্থগিতাদের প্রত্যাহার করেন।

এর মধ্যে গত ২ জুন এক চিঠিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে একটি চিঠি দিয়ে জানান, জেলার আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে গঠন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সম্মেলন আয়োজন করতে না পারলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে চলমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

এ প্রেক্ষাপটে গত ১৪ জুন জেলা বিএনপি আগে গঠন করা চারটি ইউনিট কমিটি বাদে জেলার বাকি ১০টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করে ১৬ জুন থেকে ২৫ জুনের মধ্যে কর্মী সভা করে সম্মেলন প্রস্তুত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। নতুন চারটি কমিটি ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে কেন্দ্রর সিদ্ধান্ত জানতে চায়। ওই দিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার চলমান অবস্থায় গত ২২ জুন ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএনপির পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক টিম প্রধান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ও ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে দেওয়া চিঠিতে জানান, ‘‘ইতিপূর্বে আলফাডাঙ্গা উপজেলা, আলফাডাঙ্গা পৌর, ভাঙ্গা পৌর এবং সদস্য স্থগিত প্রত্যাহারকৃত সদরপুর উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কর্মীসভার মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনে”-এর নির্দেশ দেয়।

এ চিঠি পাওয়ার পর জেলা বিএনপি যখন ওই কমিটিগুলি বিলুপ্ত করে কর্মীসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক সেই সময় গত ২৫ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফরিদপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক কমিটি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে এক চিঠি দিয়ে জানান, ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি বহাল থাকবে। এছাড়া অন্য উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।

ওই চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী জানান, ২৫ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ফরিদপুর বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

রুহুল কবিরের এ নির্দেশনামূলক চিঠিটি শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে জেলা ও সদরপুর উপজেলা বিএনপির হাতে এসে পৌঁছায়।

সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুত জামান বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এ নির্দেশনামূলক চিঠিটি গত শুক্রবার রাতে আমরা পেয়েছি। আমাদের কমিটি ভাঙ্গা হচ্ছে না এবং আমরা যথারীতি বহাল আছি। এটি আমাদের কাছে একটি আনন্দের সংবাদ। ঘোষিত চারটি কমিটির মধ্যে সদরপুর বহাল রেখে অন্য তিনটি ভেঙ্গে দেওয়ায় ‘এক যাত্রায় দুই ফল হল কেন’-জানতে চাইলে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুত জামান বলেন, কেন্দ্র যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সাথে আমাদের দ্বিমত পোষন করার সুযোগ নেই। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।

ফরিদপুরে পশু হাসপাতালে জনবল সংকট, ব্যাহত সেবা কার্যক্রম

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০৮ এএম
ফরিদপুরে পশু হাসপাতালে জনবল সংকট, ব্যাহত সেবা কার্যক্রম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের ১১টি পদের মধ্যে ছয়টি শূন্য। এর মধ্যে আবার তিনবছরের জন্য অন্যত্র প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। বর্তমানে এই কার্যালয়ে কাগজে-কলমে পাঁচজন থাকলেও বাস্তবে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। ফলে অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি পশু হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২১টি গ্রামের লাখো মানুষের ৫৮ হাজার ৭৭৬টি গবাদি পশু ও দুই লাখ ৯০ হাজার ৫০১টির বেশি হাঁস মুরগীসহ বিভিন্ন প্রাণি রয়েছে। তাই প্রতিদিন অনেক গবাদি পশু পালনকারী সেবা ও পরামর্শ নিতে আসেন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু ভেটোরিনারি সার্জনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে আসা লোকদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তেমনি হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে। ফলে খামার মালিকরা বিভিন্ন গবাদি পশুর অপারেশনের জন্য ছুটছেন বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে। এতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি উপজেলায় একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরোনারি সার্জন, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট (ইউএলএ), তিনজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (ডিএফএ), একজন কম্পাউন্ডার, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (এফএ/এআই), একজন অফিস সহকারী, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদ রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বর্তমানে একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক আছেন। অর্থাৎ ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারি আছেন। ছয়টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এদিকে এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আবার ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট তিন বছরের জন্য অন্যত্র প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফলে বর্তমানে এই কার্যালয়ে মাত্র চারজন কর্মরত আছেন।

দপ্তর থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পশুপাখিকে টিকাদান, চিকিৎসাদান, মাঠ পরিদর্শন, খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি বিতরণ, পশুপাখির সুস্থতার সনদ দেওয়া, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, খামার নিবন্ধন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি সেবাদানের কাজগুলো এই দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু জনবলসংকট থাকায় বাকিদেরই সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে পশু পালনকারীরা চাহিদামতো সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

উপজেলার জাটিগ্রামের কৃষক মাহাবুর মোল্যা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে একজন ডাক্তার দিয়ে চলছে এ হাসপাতাল। চিকিৎসার জন্য গবাদি পশু নিয়ে আসলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। হাসপাতালে অনেক ভিড় থাকে। এ হাসপাতালে আরেকজন ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন।’

উপজেলা ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, ‘হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে যথাসময়ে সেবা দিতে পারছে না। আমরা চাই দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করা হোক।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন বলেন, ‘ভেটেরিনারি সার্জনসহ ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক বিভিন্ন গবাদিপশু নিয়ে আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। আমাকে দৈনন্দিন অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে হয়। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে হয়। সরকারি বিভিন্ন সভায় যেতে হয়। প্রতিদিন আমাকে একাই সব সামলাতে হচ্ছে। জনবল সংকটের মধ্যেও সেবা প্রদানে কোনো ধরনের গাফিলতি হচ্ছে না। তবে কাজ করতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেলার মাসিক সভায় বারবার অবহিত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শূন্য পদে পদায়ন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অন্য যারা আছেন, তাদের সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেসব পদে লোক নেই, সেসব পদে লোকবল দেওয়া হলে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চরভদ্রাসন থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

থানাটির এস,আই রফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এসআই ফরহাদ হোসেন, এসআই মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য এজিএম বাদল আমীন, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক মৃধা, মো. কুদ্দুস আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সোলায়মান, সমাজ সেবক মো. মোস্তফা কবীর ও ছাত্রনেতা পিএম কামরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়া শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ফরিদপুরের চরভদ্রাসন শেষ সীমানা পাটপাশা সহ উপজেলার গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পুলিশ টহল জোরদারের পাশাপশি চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীপথে পুলিশ বোড দিয়ে টহলের জোর দাবী জানান।

এছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি বল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানানো হয়।

ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর সময় গরু ফেলে পালিয়ে যায় কসাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মাধবপুর গ্রামের এহসানুল হক কলি তার একটি গর্ভবতী গাভী গরু অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শওকত আলীকে জানান।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলা ১১ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি সিজার করে বাচ্চাটি বের করেন। বের করার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এহসানুল হক কলি মধুখালী উপজেলার এক কসাইয়ের নিকট ৩৫ হাজার টাকায় ওই অসুস্থ গরুটি বিক্রি করে দেন। কসাই গরু জবাই করে ছাড়ানোর সময় সাংবাদিক এসেছে এমন কথা শুনে গরু ফেলে পালিয়ে চলে যায়।

এহসানুল হক কলি বলেন, গরুটি ফুড পয়জন হয়েছিল তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

কসাইদের না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, গাভী গরুটি অসুস্থ ছিল যেহেতু তার পেটের বাচ্চা ৯ মাস বয়স হয়েছিল তাই সিজার করে বাচ্চাটি বের করা হয়েছিল। পরে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে তারা নিজেরা মাংস খেতে পারে। ওই মাংস বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে এহসানুল হক কলির বাড়িতে গিয়ে গরুটি দেখেশুনে বলে এসেছি মাংস যদি খেতে চান নিজেরা খেতে পারেন। এক টুকরা মাংস বাহিরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।