খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ইউনিয়ন পরিষদ দখলের পায়তারা

রেজাউল করিম বিপুল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৬ পিএম
ফরিদপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ইউনিয়ন পরিষদ দখলের পায়তারা

faridpur protidin

ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
পঙ্কজ ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরে তাদের নিয়ে পঙ্কজ নেতৃত্ব দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন এবং প্যানেল চেয়ারম্যান দেওয়ার দাবি জানান।
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু অভিযোগ করেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই সে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। ৫ ই আগস্টের পর  পঙ্কজ  ইউনিয়ন পরিষদ দখলে নিতে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
জোরপূর্বক ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার চেষ্টা করছে।  সেখান থেকে ফিরেই মেম্বাররা বিষয়টি আমাকে জানান। তার প্রেক্ষিতে তারা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করে ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
দশজন মেম্বার স্বাক্ষরিত অভিযোগে দেখা যায়, তারা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মজনুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন।  এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসককে পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ওই মেম্বারদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ। ৩ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের বরাবর চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকা ও নানাবিধ অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। পরের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি ওই মেম্বাররা ফের পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ তুলেন।
মজনু অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসকের কাছে প্রথম দিন অভিযোগ দেয়ার সময় পঙ্কজ নিজে নেতৃত্ব দেন। অথচ সে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের কেউ নন। শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে পংকজ ও রঞ্জন আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। টাকা না দিলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দেবে না। সবশেষ ৩ লাখ টাকার কথা বলছে এই টাকা দিলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দিবেন। তিনি ইউনিয়নের কেউ না হয়েও  সকল কার্মকান্ডে নাকগলিয়ে মেম্বারদের স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে দিচ্ছেন না। তার ভাই রঞ্জনও হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোসলেম উদ্দিন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান পঙ্কজ বিএনপি নেতা। বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না তাই তার ভয়ভীতিতে আমি স্বাক্ষর করেছি। আমার এলাকায় চলাচল করতে হয় তারা বলছে তাদের সাথে না গেলে আমি এলাকায় চলাচল করতে পারবো না। তাই স্বাক্ষর করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না। জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (১,২ ও ৩) হাছিনা বেগম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান পঙ্কজ গন্যমান্য ব্যক্তি সে বললো দেখা করতে। তখন তার সাথে দেখা করতে যায়। তারপর সে জোর করে স্বাক্ষর নেন। আমাকে লেখাটা পড়তেও দেয়নি। এমনভাবে কয়েকজনের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন পঙ্কজ । তিনি প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু মেম্বারদের মধ্যেও দলাদলি আছে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করে থাকতে পারে তবে অধিকাংশ মেম্বারদের জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ বলেন, ৩০ বছর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। সবসময় জনগনের সাথেই ছিলাম। কখন ভয়ভীতির রাজনীতি করি নাই্। বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা তিনি পলাতক থাকায় সাধারন মানুষের বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেহেতু চেয়ারম্যান পলাতক তাই প্যানেল চেয়ারম্যান কে দিয়ে যাতে কাজ করানো যায় সে ব্যাপারে মেম্বাররা আমার সাহায্য চাইলে আমি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমার প্রতিপক্ষ মজনু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ও ষড়যন্ত্র করছে।

বোয়ালমারীতে বালুমহল ইজারা বাণিজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
বোয়ালমারীতে বালুমহল ইজারা বাণিজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-৩

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বালুমহল ইজারা বাণিজ্যের (নিকো) টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন আহত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলাধীন মধুমতী নদীর বালুমহল ইজারা দরপত্র বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এ সংঘর্ষ হয় ।

প্রতি বছরের ন্যায় ১৪৩২ সালের ১ বছরের জন্য উপজেলাধীন লঙ্কারচর বালুমহল ইজারার দরপত্র আহ্বান করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়।
এতে প্রায় ১৫ টি দরপত্র বিক্রয় হলেও দরপত্রদাতাদের মাঝে সমঝোতার ভিত্তিতে গোপন নিলাম ডাকের মাধ্যমে ক্রয়বিক্রয় সম্পাদিত হয়। সমঝোতার ভিত্তিতে দরপত্রদাতাদের মাঝে টাকা ভাগাভাগির কথা থাকলেও নিকো-বোর্ড দরপত্র দাতা জুয়েল বিশ্বাসকে পাওনা টাকা না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ নিয়ে বুধবার রাতে বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের সামনে মা ফার্মাসি মার্কেট চত্বরে এক শালিশ বৈঠক বসে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, বিএনপি নেতা মহসিন আলম চান, মিরাজ মৃধাসহ স্থানীয়রা। শালিশ বৈঠক শুনানির সময় দরপত্র দাতা আঁধারকোঠা গ্রামের মঈনুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে জামায়াতে কর্মী জুয়েল বিশ্বাসের কোমরে থাকা একটি দেশীয় অস্ত্র দেখে ফেলে লোকজন। এসময় অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে জুয়েল বিশ্বাসের সাথে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয়দের। পরে জুয়েলের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মা ফার্মাসিতে আক্রমণ চালায়। এতে বোয়ালমারী সরকারি কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রবিন মোল্যা ও মা ফার্মাসির কর্ণধার রিয়াজ মৃধা মারাত্মক আহত হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে কাঠের বাটাম ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঁধারকোঠা গ্রামের একদল যুবক আক্রমণ চালায়। এসময় মা ফার্মাসিতে আশ্রয় নেওয়া রাসেল আহমেদের ছোট ভাই কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রবিন মোল্যার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে আক্রমণ কারিরা। আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন রিয়াজ মৃধা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রিয়াজ মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিলেও রবিন মোল্যা বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জুয়েল বিশ্বাস জানান- বালুমহলের নিকোর ৪৫ হাজার টাকা জমা ছিলো রাসেল আহমেদ ও মিরাজ মৃধার নিকট, সে টাকা চাওয়ায় আমাকে মা ফার্মাসিতে ডেকে নেয় রাসেল আহমেদ। সেখানে গেলে তারা টাকা না দিয়ে টালবাহানার আশ্রয় নেয় ও আমার উপর আক্রমণ চালায়। খবর পেয়ে আমার গ্রামের ভাইব্রাদার আমাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে। সেখানে রাসেল আহমেদের ভাই রবিনকে পেয়ে তাকে মারধর করে।

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ বলেন – জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডার জুয়েল বিশ্বাস আমার নিকট চাঁদা দাবি করে । এ বিষয়ে জানতে মহসিন আলম চান ও মিরাজ মৃধা তাকে ডাকলে সে পরিকল্পনা করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রস্তুত রেখে কোমরে অস্ত্র নিয়ে আসে। লোকজন তা দেখে কেড়ে নিলে আগে থেকে ওতপেতে থাকা তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়, জীবন রক্ষার্থে আমি পালিয়ে গেলেও আমার ছোট ভাই মা ফার্মাসিতে আশ্রয় নেয়। সেখানে ঢুকে সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে।

বিএনপি নেতা মিরাজ মৃধা বলেন – রাসেলের সাথে জুয়েল বিশ্বাসের দেনাপাওনা নিয়ে ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়, পরে সমঝোতার জন্য আমার ফার্মাসিতে আসে জুয়েল। কথা বলার সময় তার কোমরে একটি ধারলো অস্ত্র দেখে লোকজন তা কেড়ে নেয়। এসময় সে পালিয়ে গিয়ে কিছু সময় পর ২৫/৩০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল নিয়ে আমার ফার্মাসিতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার বড় ভাই ও ছাত্রদলের কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি রবিন মোল্যার উপর হামলা চালায় এতে মারাত্মক আহত দু’জন । আক্রমণকারীরা ফার্মাসিতে ভাঙচুর ও লুটপাটও চালায় । এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

‘ফরিদপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে বৃদ্ধ খুন’ থানায় হত্যা মামলা, তিনজন আটক

ফরিদপুর ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫২ এএম
‘ফরিদপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে বৃদ্ধ খুন’ থানায় হত্যা মামলা, তিনজন আটক
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) নামে এক বৃদ্ধের জিহ্বা কর্তনের ঘটন্য়া দুইদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র মেয়ে রিনা বেগম (৩৭) বাদি হয়ে বুধবার সকালে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ আব্দুল হালিম মোল্যা মারা যান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি পাড়াগ্রামের মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে। নিহত ব্যক্তির একটি মাত্র মেয়ে রিনা বেগমের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এবং স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) তার মা তছিরণ নেছা ওরফে ছুটু বিবিকে (৭৫) নিজের ধার দেওয়া টাকা আদায়ের কথা বলে গত ১২ এপ্রিল বিকেলে আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাড়াগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে বের হন। পরেরদিন ১৩ এপ্রিল সকালে পাড়াগ্রামের লাল্টুর পরিত্যক্ত জমিতে ওই গ্রামের নুর ইসলাম (৫৮) নামে এক ব্যক্তি আব্দুল হালিম মোল্যাকে জিব্বা কাটাসহ জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হালিম মোল্যাকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাবলুর সহায়তায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আলফাডাঙ্গা হাসপাতাল থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালের দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের একমাত্র মেয়ে রিনা বেগম (৩৭) বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০৯। মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার দিন আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন জানান, বৃদ্ধ আব্দুল হালিম মোল্যাকে জিব্বা কাটা অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি গুরুতর জখম ছিলেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়েই ওইদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল হালিম মোল্যার মেয়ে রিনা বেগম বাদি হয়ে থানায় আজ হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। বাদি কারো নাম উল্লেখ করেননি। মামলার পর ঘটনাস্থল এলাকার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হত্যার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই প্রকৃত আসামিদের আমরা গ্রেপ্তার করতে পারবো।

ফরিদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
ফরিদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান
নানা অনিয়মের অভিযোগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল।
অভিযানকালে সিটিজেন চার্টার না থাকাসহ নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়। সেগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-সহকারি পরিচালক মো. কামরুল হাসান জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সিটিজেন চার্টার পাওয়া যায়নি। এছাড়া অনিয়মের কিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে।