খুঁজুন
শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

হৃদয় কাঁপাচ্ছে আয়নাঘর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫২ পিএম
হৃদয় কাঁপাচ্ছে আয়নাঘর

আয়নাঘর নিয়ে চলছে তোলপাড়। বেরিয়ে আসছে একের পর এক রোমহর্ষক কাহিনি। যে কাহিনি কাঁপাচ্ছে সবার হৃদয়।  স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিরোধিতাকারীদের ধরে নিয়ে আটকে রাখা হতো ছোট্ট এক ঘরে। লোহার খাঁচায় গুম হওয়া মানুষ আটকে রেখে করা হতো মধ্যযুগীয় নির্যাতন। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আয়নাঘরের নির্মম অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ভুক্তভোগীরা। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানান, তাঁকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল, সেই কক্ষে টয়লেট ছিল ছোট্ট বেসিনের মতো।

সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, তাঁর কক্ষটি ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। দিন-রাতের পার্থক্য বোঝার উপায় ছিল না। টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হতো চোখ বেঁধে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম আরমান বলেন, ‘আমি আট বছর বন্দি ছিলাম। দিনের বেলা চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে রাখত। রাতের বেলা হাতকড়া পরা অবস্থায় পিছমোড়া করে রাখা হতো।’ এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে নির্যাতিত ব্যক্তিরা তাঁদের ওপর নেমে আসা নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা ছিল না।

গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যখন যাকে মন চায় গুম করা হতো, নির্যাতন করা হতো, বন্দি করে রাখা হতো। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৈরি আয়নাঘর নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের বর্ণনায় বেরিয়ে আসছে একের পর এক রোমহর্ষক কাহিনি।

আয়নাঘর পরিদর্শনের পর তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করে ইন্টারোগেশন করা হয়েছে অনেক। যতক্ষণ রুমে থাকতাম, চোখ খোলা থাকত। হাতকড়া খুলে দিত। রুম থেকে বের করার সময় চোখ বাঁধত, হাতকড়া পরাত।’

তিনি জানান, আয়নাঘরগুলো আর আগের মতো নেই। তাঁকে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল ৫ আগস্টের পর কক্ষের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং রং করা হয়েছে। আসিফ ভূঁইয়া জানান, তাঁকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল সেই কক্ষের দেয়ালের ওপরের অংশের খোঁপগুলোতে অ্যাগজস্ট ফ্যান ছিল, এখন নেই।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, ‘আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গাড়িতে চোখ বেঁধে দেয়। অন্ধকার এক ঘরে নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখা হয়। আমি আট বছর সেখানে বন্দি থাকাবস্থায় পৃথিবীর কোনো আলো দেখিনি, আকাশ দেখিনি, সূর্য দেখিনি। প্রতি রাতেই ক্রসফায়ারের ভয়ে থাকতাম। তারা খুব দুর্ব্যবহার করত আমার সঙ্গে। তাদের নির্যাতনে রাতের পর রাত কেঁদে কেঁদে সময় কেটেছে। মাঝে মাঝে তারা চোখ এমনভাবে বাঁধত, মনে হচ্ছিল আমার চোখের মণি ফেটে যাবে। হাতকড়া পরা থাকতে থাকতে হাতে ঘা হয়ে যেত।’

ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম আরমান বলেন, ‘আমাকে আট বছর বন্দি করে রাখা হয়েছিল। নামাজের সময় পর্যন্ত দিত না। তারা আমার ওপর নারকীয় নির্যাতন চালিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা চোখ ও হাত বেঁধে বসিয়ে রাখত। উঠতে দিত না, দাঁড়াতে দিত না। কেন এমন করছেন, প্রশ্ন করলে তারা বলত, স্যার আসবেন। চোখ বাঁধা অবস্থায় দেয়ালের দিকে ফিরে বসে থাকতাম।’ ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট তাঁকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী আরেক যুবক বলেন, ‘২০২০ সালে হাতিরঝিল এলাকা থেকে আমাকে তুলে নেওয়া হয়। প্রথমে নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে একটা গুম সেলে রাখা হয়। পরদিন রাতে ঢাকায় নিয়ে এসে একটি গোয়েন্দা কার্যালয়ের টর্চার সেল বা আয়নাঘরে বন্দি করা হয়। বন্দি অবস্থায় বারবার আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে। চোখের সামনে ভাসে দুই শিশুসন্তানের মুখ। আমি বুঝতে পারছিলাম, আমাকে হয়তো এরা শেষ পর্যন্ত মেরেই ফেলবে।’

Source: Bd-pratidin

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে ফরিদপুরে ম্যারাথন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম
ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে ফরিদপুরে ম্যারাথন

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্বরণে ফরিদপুরে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ‌
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া অফিসের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত ‌ জাহান, জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণুপদ ঘোষাল, জেলা ক্রীড়া অফিসার ‌ আল আমিন খন্দকার, এন সি পির ১ নং যুগ্ন সমন্বয়ক এস এম জাহিদ।

ম্যারাথনটি ‌ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ‌শহর প্রদক্ষিণ করে ‌ রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

ম্যারাথনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাবেক খেলোয়াড় বৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

oppo_0

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মৌন মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপি’র ‌ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- ‌যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হোসেন মিঠু প্রমূখ।

জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ফরিদপুর থেকে নিহত ছয় জন শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। বক্তারা বলেন, দেশের এই অবস্থায় জরুরী নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দেশের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দল পরিচালিত হবে। আর তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান ‌।

এছাড়া দুপুরে ‌শহরের চকবাজার মসজিদে গণ অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদদের প্রতি দোয়া ও মোনাজাত‌ অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদপুরে হাসপাতালের লিফটের নিচে পড়েছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:১৮ পিএম
ফরিদপুরে হাসপাতালের লিফটের নিচে পড়েছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি লিফটের নিচ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ) মো. শামসুল আলম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায় তাদের লিফটের নিচে অর্ধগলিত মরদেহ রয়েছে। পরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সঙ্গে একটি মোবাইল এবং কিছু কাগজ পেয়েছি। মরদেহটির পরিচয় সনাক্তের কাজ চলছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, মরদেহের বিষয়ে রাত ১২টার দিকে আমার স্টাফরা আমাকে জানালে পুলিশকে জানাই। পুলিশ সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে।