খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সদরপুরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

মো. রোকনুজ্জামান, সদরপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৭:০৯ পিএম
সদরপুরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল
রোজা শুরু হয়েছে। ভোজ্য তেল সয়াবিন সংকটে রয়েছে বাজার। এক দোকান থেকে আরেক দোকান ছুটছেন ক্রেতারা। তবুও মিলছে না সহজেই তেল। রোজায় ভোজ্য তেলের চাহিদা বেশী থাকায় ডিলারের কারসাজিতে সংকটে রয়েছে পুরো বাজার। যে কারনে ক্রেতার চাহিদাকে পুজি করে স্থানীয় ভোজ্য তেলের ডিলার বাজার সংকট তৈরি দাম হাঁকিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা এমন অভিযোগ করছেন ভোজ্য তেলের দোকানীরা। নিত্যদিনের খাবারের পাশাপাশি এখন রমযানে পিয়াজু,আলু,বেগুনসহ বিভিন্ন চপ তৈরিতে লাগছে সয়াবিন তেল।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদরপুর বাজারসহ প্রান্তিক হাট বাজারের মুদিদোকান থেকে এখন উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাজারের কয়েক দোকান ঘুরলেও মিলছে না এক লিটারের বোতল। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সব মিলে রমজানে বড় সংকট দেখা দিয়েছে এখন সয়াবিন তেলের বাজার। বাজার তদারকির জন্যও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো মনিটরিং থাকায় সুযোগে লুফে নিচ্ছেন মুনাফা অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের দোকানীদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রতি দোকানে সয়াবিন তেল থাকলেও প্রকাশ্যে না রেখে গোপনে রাখা হচ্ছে। কেহ খালি তেল বিক্রি করছে না। এক লিটার তেলের সাথে ক্রেতাদের নিতে হচ্ছে জোড় পূর্বক চাল,ডাল,ছোলাসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী। তা’নাহলে বিক্রি করা হচ্ছে না তেল।
সদরপুর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানীদের ভাষ্য, আমরা কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছ থেকে তেল চেয়েও পাচ্ছি না। ১২ পিচের এক লিটারের এক কাটন তেল চাইলে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে কোম্পানীর অন্য মালামাল নিতে। বাধ্য হয়ে তাদের নিকট থেকে আমাদের চাহিদা না থাকা পন্যও ক্রয় করতে হচ্ছে। এর জন্য আমরা অন্য মাল বিক্রি করতে পারছি না রমযানে। সয়াবিন তেল বিক্রিতে আমরা কিছুটা বেশী নিচ্ছি কারন আমাদের অন্য মাল দোকানে পড়ে থাকছে। তবে স্থানীয় ডিলাররা আমাদের তেল দিলে রমযানে বাজার সংকট দেখা দিতো না। তাদের দাবী ডিলাররা তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশী ফায়দা লুটছেন।
সদরপুর বাজারে আসা ক্রেতা মোঃ হান্নান মিয়ার অভিযোগ, এক লিটার তেল ১৫ থেকে ২০টাকা বিশ টাকা বেশি নিচ্ছে। বোতলের গায়ে লেখা আছে ১৭৫টাকা টাকা। কয়েক দোকান ঘোরার পর কোনো কোনো দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিলে তেল আছে,টাকা টাকা দিলে সাফ বলছে নাই। দেশটা তো মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। অকে সময় দোকানদার ক্রেতার মুখ দেখে হ্যা-না করে।
আরেক ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম ক্ষোভের স্বরে বলেন, প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তারা বাজার তদারকি করছে না। যে কারনে দোকানীরা যেভাবে পারছে সে ভাইবেই দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং করা হলে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে উধাও হতো না। ডিলারের সিন্ডিকেটে আমরা এখন জিম্মি। ওই ক্রেতার প্রশ্ন, এই সিন্ডিকেট ভাঙবে কে? তিনি আরও অভিযোগ, যেখানে সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল ৮৫০ টাকা হওয়ার কথা, সেখানে দোকানিরা দাম চাইছেন ৯২০ টাকা। বাজার ভেদে এই দাম কোথাও কোথাও বেশি। আবার এসব তেলের গায়ের নির্ধারিত দামও মুছে দেওয়া হচ্ছে।
সদরপুর উপজেলার অন্যান্য বাজার গুলো ঘুরেও দেখা যায়, কয়েক দোকার ঘুরেও খালি তেল মিলছে না। অনেক দোকানে পাওয়া গেলেও লিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশী। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে মূল্য লেখা নেই। বিক্রেতারা মুছে লিটার ১৯৫ টাকা চাইছেন। যার সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা। তবে এ বাজারগুলোয় খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। খোলা লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২শ টাকা করে। কিন্তু খোলা সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৫৭ টাকা।
সদরপুর বাজারের মুদি দোকানী সেকেন্দার বেপারীবলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডিলারের কাছে তেল চেয়েও পাচ্ছি না। রোজার আগে বাজারে মানুষের কেনাকাটা বেশী হয়ে থাকে। এ সময় কোম্পানিগুলো তেল দেওয়া বন্ধ করেছে। এতে বাজারে কোনো বোতলজাত তেল নেই। নতুন করে দাম বাড়াতেই কোম্পানিগুলো এমন করছে।
বাজার তদারকি প্রসঙ্গে দেখা যায়, রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলেরকোনো কর্মকর্তারা ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এর ও কোনো লোকজন বাজার তদারকিতে আসছে না। যে কারনে একি দকে সয়াবিন তেলের সংকট অন্যদিকে খোলা বাজারে যে সয়াবিন হিসেবে সুপার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে তাও কতটুকু পরিশুদ্ধ বা ভেজার সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর মিলছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার প্রতিনিধিরা বলেন, ‘তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি কয়েক মাস ধরে রয়েছে। এটা কাটতে শুরু হয়েছে। তেলের সংকট কৃত্রিম সংকট প্রসঙ্গে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নন।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী, বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারদের গোডাউন বা বাজারের মুদি ব্যবসায়ীদের দোকান ও গোডাউন তল্লাশি করলে অনেক কিছু বের হবে কৃত্রিম সংকটের।
এ প্রসঙ্গে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা জানান, রমযান শুরু হয়েছে। বাজারে তেলের দাম বেশী নেওয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পারছি। দ্রুত বাজার মনিটরিং করা হবে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় লিয়াকত আলী খান বুলু জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

বুধবার (৪ জুন) নগরকান্দা পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ঝিলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মহিদ বিল আল মাহিম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।