খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ়, ১৪৩২

এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান যেখানে

ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫৫ এএম
এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান যেখানে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও স্বীকৃত ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম টিউলিপ। বসন্তের সবচেয়ে সুন্দর ফুল বলা হয় একে।

বিভিন্ন ধরনের রঙে শোভিত এ ফুল সৌন্দর্যপ্রেমীদের আকর্ষণ করবেই। রংধনুর সব রঙেরই দেখা মেলে ফুলটিতে।

 

টিউলিপ শব্দের অর্থ ‘নিখুঁত প্রেম’। অনেক ফুলের মতো টিউলিপের বিভিন্ন রংও প্রায়শই তাদের নিজস্ব তাৎপর্য বহন করে। লাল টিউলিপ ভালোবাসার প্রতীক, বেগুনি টিউলিপ রাজকীয়তার প্রতীক। সাদা টিউলিপ দক্ষতার বার্তা পাঠাতে ব্যবহার করা হয়।

বিশ্বে বর্তমানে সৌন্দর্যমণ্ডিত এ ফুলের সাড়ে তিন হাজারের মতো প্রজাতি রয়েছে। ইউরোপসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপের চাষ হয়ে থাকে।

এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ ফুলের বাগানের নাম ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন, যার অবস্থান ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীরে। প্রায় ৭৫ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই বাগান। রাজধানী শ্রীনগর থেকে বাগানটির দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। শ্রীনগরের ডাললেক লাগোয়া এই বাগান।  কাশ্মীরের সৌন্দর্যকে আরও স্বর্গীয় করে তোলে এই বাগান। লন্ডনের ওয়ার্লড বুক অফ রেকর্ডসের খেতাবও রয়েছে এই বাগানের ঝুলিতে।

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ছাড়াও নানা দেশ থেকেই পর্যটকেরা আসেন এই দিগন্তজোড়া টিউলিপ বাগান দেখতে। পাহাড়ঘেরা এই বাগানের হাঁটাপথের দুই পাশে শুধু রঙ-বেরঙয়ের টিউলিপ। লাল, কমলা, হলুদ, গোলাপি, বেগুনি, সাদা, কালোসহ নানা রং ও জাতের টিউলিপ ফোটে সেখানে। বিশেষ করে এপ্রিল মাসের দিকে গেলে সবচেয়ে বেশি টিউলিপের দেখা মিলবে।  এই বাগানের ৬৮টি প্রজাতির ১৫ লাখ টিউলিপের বিস্ময়কর উদ্যান লক্ষাধিক পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

দর্শনার্থীরা যেন ফুল ছিঁড়তে না পারেন সেজন্য পুরো বাগান স্বচ্ছ নেট দিয়ে ঘেরা।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের দিকে কাশ্মীরে গড়ে তোলা হয় টিউলিপের এই বিশাল বাগান। মূলত শীত ও গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে পর্যটকের মনোযোগ কাড়তে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী আজাদের উদ্যোগে এই টিউলিপ বাগানের যাত্রা শুরু। সে সময় বাগানের নাম ছিল ‘সিরাজবাগ’। পরে নাম রাখা হয় ‘ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন’।

মার্চের শেষ সপ্তাহে পর্যটকদের জন্য বাগানটি খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান দেখতে যেতে হবে নেদারল্যান্ডসের লিসি শহরে। বাগানটির নাম ‘কেউকেনহোফ গার্ডেন’। অনেকের কাছে ‘ইউরোপের বাগান’ নামেও পরিচিত। ১৯৪৯ সালে একটি দাতব্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে এ বাগানের গোড়াপত্তন হয়।

টিউলিপ ঠান্ডা আবহাওয়া ভালোবাসে। তাই ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে টিউলিপ উৎপাদন বেশি হয়। তবে এখন আর টিউলিপ দর্শনে কাশ্মীর বা ইউরোপে যেতে হবে না! চাইলে দেশেই ঘুরতে যেতে পারবেন টিউলিপ রাজ্যে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেই এখন চাষ হয় টিউলিপের। ঢাকার অদূরেই দেখা মিলবে ফুলটির বাগানের। গাজীপুরে গেলেই এখন দেখা যাবে টিউলিপের বাগান। সেখানকার শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খণ্ডগ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে টিউলিপ রাজ্য।

ফরিদপুরে বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:১৯ পিএম
ফরিদপুরে বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০২ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে টায়ার জালিয়ে অবরোধ করা হয়। এসময় দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের দুই পাশে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে এবং যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন ।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে পরে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের কারণে আটকে পড়া বরিশালগামী একটি পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল আলম জানান, ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের মধ্যে বসে আছি। দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ভাঙ্গা পৌর বিএনপি‍‍`র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এম এ ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সহ আরো ১৩ জনকে সদস্য করে মোট ১৫ জনের কমিটি গঠন করে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই)সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফরিদপুর জেলা বিএনপি‍‍`র আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন স্বাক্ষরিত কমিটি ছড়িয়ে পড়ে। এই কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কমিটি নিয়ে একটি পক্ষ স্বাগত জানালেও আরেকটি পক্ষ পকেট কমিটি ও আওয়ামী লীগের লোকদের নিয়ে কমিটি হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানান।
নেতা কর্মীদের দাবি, ভাঙ্গা পৌর বিএনপির সম্মেলন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে পদ বঞ্চিতদের জায়গা হয় নাই। পকেট কমিটি করেছেন। আমরা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল চাই। অন্যথায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমিটি প্রত্যাহার করা না হলে পুনরায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মিজানুর রহমান মুন্সি, আলম মুন্সি (ছোট), ছোট্টো শিকদার, বিল্লাল কাজী, লাবলু মুন্সি, সজীব মাতুব্বর, সৈয়দ মেহেদী, মিসান আহসান, সুমন মুন্সি, আরিফ মুন্সি সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপি‍‍`র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এম এ ওয়াদুদ জানান, সারাজীবন দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি। শেষ বয়সে দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপি নেতা, মোঃ আলম মুন্সি জানান, এটি পকেট কমিটি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিগত ১৭টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের মতো ত্যাগী কোন নেতাকর্মীদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের অনুরোধ করে মহাসড়ক অবরোধ মুক্ত করা হয়। এ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এখন কোন যানজট নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কমিটির বিষয়ে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের লিখিতভাবে জানাতে পারে,কিন্তু সড়ক অবরোধ করে এ ধরনের কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য বা কাম্য নয়।

ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:০৬ পিএম
ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, মানববন্ধন

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আসরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধন করেন তারা। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি হলেন, প্রবাসী মো. আলমাছ খা (৪০)। গত শনিবার রাতে তাকে হত্যা করেন তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩)। ঘটনার পর পুলিশ হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার প্রেমিক আলী শেখকে (৫৫) এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ইতোমধ্যে নিহতের বাবা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মানববন্ধনে এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতা ও যুবকরা অংশ নেন। তাদের দাবি নিহত আলমাছ খা ছিলেন সহজ-সরল। এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহতের বাবা হাতেম খান ও স্থানীয় মির্জা প্রিন্স, হাজেরা বেগম, খালেদ হাসান মুরাদ, তাসলি বেগমসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, ‘আলমাছ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বিভিন্ন পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি আলমাছ জানার পরে তাকে নিষেধ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় মনোমালিন্য। আলমাছ বিদেশ থেকে বাড়িতে আসার পর থেকেই স্ত্রী তাকে পুনরায় বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আলমাছ বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিলে শুরু হয় নির্যাতন। ‌গত শনিবার রাতে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী হোসনেয়ারা।‌ পরের দিন রবিবার সকালে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।’

তারা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্ত্রীকে আটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অতিদ্রুত আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’ পরে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ফরিদপুরে পাটের জাগ ও দাম নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ৫:১০ পিএম
ফরিদপুরে পাটের জাগ ও দাম নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা

‘সোনালি আঁশে ভরপুর ভালোবাসি ফরিদপুর’—স্লোগানের মতোই ফরিদপুর জেলা পাট চাষের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। গতবারের চেয়ে এ বছর ফরিদপুরে পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্য উপযোগী। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাম্পার ফলনের আশা করলেও পাট জাগ দেওয়ার জন্য খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় চাষিরা শঙ্কিত। আবার খরচ বাড়লেও ভালো দাম না পেলে লোকসানের চিন্তা তো আছেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের সোনালি আঁশ শুধু জেলার পরিচিতিই নয়; কৃষকদের জীবন-জীবিকারও প্রতীক। সঠিক নীতি ও সহায়তা পেলে এ ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার গত বছরের তুলনায় পাটের আবাদ কিছুটা বেড়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৬ হাজার ৫৩১ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গতবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৬ হাজার ৫২৫ হেক্টর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার পাটের ফলন সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত সন্তোষজনক এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। তবে কিছু নিম্নাঞ্চলের জমিতে বৃষ্টির পানি দীর্ঘসময় জমে থাকায় পাটের আকার প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি পায়নি। যা সীমিত পরিসরে পাটের ক্ষতির কারণ হয়েছে। তবে এ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। যা কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।

চাষিদের দাবি, পাটের ন্যায্য দাম নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। বীজ, জৈব ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকদের মজুরির মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। যার কারণে তাদের লাভের সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছে। তারা সরকারের কাছে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।

সালথা উপজেলার গট্টি গ্রামের পাট চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এবার পাট চাষে প্রতি বিঘা জমিতে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি ১ শতাংশ জমিতে ১০ থেকে ১২ কেজি পাট উৎপাদন হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের ফরিদ মোল্লা ও পুরুরা গ্রামের সুদের বিশ্বাস বলেন, ‘বীজ সার, ওষুধ থেকে শুরু করে সবকিছুরই দাম বৃদ্ধি। শ্রমিকের মূল্য বেশি। অনাবৃষ্টির কারণে কয়েকবার মেশিন দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। এখন দুশ্চিন্তায় আছি। খালে-বিলে, নদী-নালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেবো কোথায়? ভালো পানি না হলে পাটের রং ভালো হবে না। আমাদের দাবি, পাটের দাম যেন ভালো দেওয়া হয়।’

পাটের আবাদ নিয়ে কথা হয় বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর গ্রামের সুইট মন্ডলের সাথে। তিনি বলেন, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা গেলে পাট চাষের সম্ভাবনা আরও বাড়বে। তবে সবকিছুর দাম বেশি। ফলে পাট আবাদের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশপাশের খাল-বিলে, পুকুরে পানি নেই। পাট জাগ দেবো কোথায়? এত কিছুর পরেও যদি কাঙ্ক্ষিত দাম না পাই, তাহলে ক্ষতিতে পড়তে হবে।’

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘ফরিদপুর জেলা পাট উৎপাদনে সব সময়ই শীর্ষে। এ বছর পাট আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।’