খুঁজুন
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২

প্রধান অতিথি হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ফরিদপুরে স্থগিত হলো বিএনপির কর্মী সম্মেলন 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৭:২২ এএম
প্রধান অতিথি হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ফরিদপুরে স্থগিত হলো বিএনপির কর্মী সম্মেলন 

ফরিদপুর জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে সাংগঠনিক ভাবে ৮টি উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন শেষ হলেও সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। তবে কি কারণে স্থগিত হয়েছে সে বিষয়টি কেউ সরাসরি মুখ খুলতে রাজি হননি।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে অতিথি করা নিয়ে স্থগিত হয়ে যায় সম্মেলনটি। যা জেলা জুড়ে সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

বিএনপির দলীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি কে হবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা না-কি ফরিদপুরের ৫ বারের সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এমন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে এ কর্মী সমাবেশ।

উল্লেখ্য, আগামী ক্রিয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা এবং সাবেক মন্ত্রী কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আশরাফ নান্নু, সদস্য হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহীদ পারভেজ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর লতিফ ও সদরের কৈজুরি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান।

এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একটি সভা আয়োজন করা হয় আহ্বায়কের অফিসে। ওই সভায় সদরের সমাবেশ স্থগিত করে ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির টিমের উপর ন্যস্ত করে।

ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির টিম প্রধান হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেযারম্যান আসাদুজ্জামান তপন। সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান ।

সদর উপজেলা কর্মী সম্মেলন স্থগিত হওয়ার ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি আলী আশরাফ বলেন, কে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হবেন বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় এ সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ফরিদপুরের সাবেক মন্ত্রী মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। ২০১৮ সালে তিনি ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে বাবার পাশাপাশি ডামি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কামাল ইউসুফের মনোনয়ন পত্র বৈধ হওয়ার পর নায়াব তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তিনি ফরিদপুর সদর বিএনপির কর্মী সম্মেলনের প্রধান অতিথি হতে চান। কিন্তু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অথচ এর আগে চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গার কর্মী সমাবেশে সৈয়দ মোদাররেছ আলীর জায়গায় প্রধান অতিথি হয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। ওই দুটি সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদাররেছ আলী ইছা উদ্বোধক ছিলেন। সেটা নাকি ছিল তার (মোদাররেছ) ব্যক্তিগত আর সদরের বিষয়টি রাজনৈতিক বিষয়!

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও সৈয়দ মোদাররেছ আলী যার যার অবস্থানে ছিলেন অনঢ়। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড়া দিতে রাজি না থাকায় এ সমাবেশের আয়োজন করা হলে মারপিট ও রক্তাক্ত সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা ছিল বিধায় সদরের কর্মী সমাবেশ স্থগিত হয়ে যায়।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন জানান, সদরের কর্মী সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। যার কারণে সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, কিছু জঠিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সদরের সমাবেশ স্থগিত করে কর্মী সম্মেলনের আয়োজনের জন্য ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান বলেন, এটা একটা মামুলি ব্যাপার। কোন জায়গায় কর্মী সমাবেশ আয়োজন ঘাটতি আছে, কিংবা সংঘাত হতে পারে বা কেউ অসুস্থ এ জাতীয় সমস্যা মনে হলে সমাবেশের সময় পিছিয়ে দেওয়া দোষনীয় নয়। এক্ষেত্রে হয়তো তাই হয়েছে।

তিনি বলেন, দলের সিনিয়র যদি কেউ অতিথি হতে চায়, সেই একই এলাকায় তার চেয়ে জুনিয়র যদি কেউ একই পর্যায়ে অতিথি হতে চায়, সেখানেও সমস্যা হতে পারে। বিএনপি একটা বড় দল, অনেক নেতাকর্মী নিয়ে চলাচল। তবে সংগঠন চলে দলীয় নীতিমালার আলোকে। তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন বিলম্ব হলেও ফরিদপুর সদরের কর্মী সম্মেলন সফল ভাবে সম্পূর্ণ হবে আশা করি।

তীব্র ভাঙন আতঙ্কে ফরিদপুরের পদ্মা পাড়ের দুই শতাধিক পরিবার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
তীব্র ভাঙন আতঙ্কে ফরিদপুরের পদ্মা পাড়ের দুই শতাধিক পরিবার

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। বছর জুড়ে নদীর ভয়াল তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার। এবারে নতুন করে শুরু হওয়া ভাঙনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী ও ছলেনামা গ্রাম এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামের পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই তিন এলাকার প্রায় ২’শ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক প্রামানিক বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা ভাঙনের শিকার হচ্ছি। এখন আবার নদী খেয়াল করেছে আমাদের ঘাড়ে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না।

শয়তানখালী ঘাটের চা বিক্রেতা মোতালেব বেপারী জানান, এই এলাকায় এবছর নদীতে প্রায় শতাধিক বিঘা জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি এবং জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে বলে তিনি দাবি করেন।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পদ্মার পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। আমরা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ করে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলেছি । নতুন করে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে সে বিষয়ে খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের জোর দাবি, ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও দ্রুত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে আগামী দিনে এই অঞ্চল থেকে বহু পরিবার স্থায়ীভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়বে।

ফরিদপুরে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরবাসীকে ফুল দিয়ে বরণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
ফরিদপুরে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরবাসীকে ফুল দিয়ে বরণ

ফরিদপুর বিভাগ ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হলে তার বিরোধীতা করে আন্দোলনে নামে মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার বাসিন্দারা। এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ফরিদপুরের মানুষের সাথে উতপ্ত বাক্য বিনিময় এই অঞ্চলে বেশ কয়েকদিন আলোচনায় ছিল।

মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার মানুষ ফরিদপুর বিভাগে থাকতে রাজি না হওয়ায় এই জেলায় আসা না আসা নিয়েও নানা কথা চলছিল। এরই মধ্যে শনিবার (২৫ অক্টোবর) খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। বৃহত্তর ফরিদপুরের জেলা হিসেবে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জের ভ্যেনু ছিল ফরিদপুর।

ফলে পরীক্ষার্থীয় অংশ নিতে ফরিদপুরে আসতে হয়েছে মাদারীপুর ও শরিয়তপুরবাসীদেরও। তাদের যেন ফরিদপুরে থাকা খাওয়ার কোন সমস্যা না হয় তার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস পোষ্ট করেন ফরিদপুরের ছাত্রনেতা খায়রুল ইসলাম রোমান।

খায়রুল ইসলাম রোমান বলেন, পোস্ট দেওয়ার পর ওই দুটি জেলার ৪০ জন পরীক্ষার্থী তার সাথে যোগাযোগ করেন। তারা একদিন আগে গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর চলে আসেন। তাদের হাতে লাল গোলাপ তুলে বরণ করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই ৪০ জনের আবাসন ও খাওয়ার ব্যবস্থা বিনামূল্যে করা হয়।

বেলা ১১টার দিকে এ নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে কেন্দ্রের সামনে “আমরা ফরিদপুরবাসী”র পক্ষ থেকে দূর দূরান্ত থেকে আগত অন্তত দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীদের হাতে খাবার পানি, জুস, ফুল দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শুরুর আগে তাদের মোবাইল ও ব্যাগ সংরক্ষণ করা হয় এবং পরীক্ষার পর তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন করে তরুণদের উদ্যেগে গঠিত ফরিদপুরের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর সমন্বয়ক ছিলেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবী খায়রুল ইসলাম রোমান।

শরীয়তপুরের পরীক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিভাবে সকালে রওনা দিয়ে পরীক্ষা দিতে আসবো। আবার একদিন আগে এসে কোন হোটেলে থাকবো। কিন্তু হঠাৎ ফেসবুকে এমন আন্তরিক পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ফরিদপুর শহর অনেক সুন্দর। একসময় আমরা একই জেলার মানুষ ছিলাম।

মাদারীপুর থেকে আসা পরীক্ষার্থী জহির উদ্দিন বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেখে ভেবেছিলাম কি না কি হয় সত্যি নাকি মিথ্যা বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু আসার পর ফরিদপুরের মানুষের আন্তরিকতা দেখে অবাক হলাম। দূর থেকে এসেও এক বারের জন্যও মনে হয়নি ভিন্ন কোন জায়গায় এসেছি। ফরিদপুরে পরীক্ষা দিতে এসে আন্তরিকতার যে ছোঁয়া পেয়ে গেলাম তার তুলনা নেই।

“আমরা ফরিদপুরবাসী”র ব্যানারে ছিলেন, আবরার ফাহাদ, কাজী রিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, নিলয় চৌধুরী, পারভেজ হাসান, বাহারুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, অমি চৌধুরী, ইয়াসীন মন্ডল, রবিউল ইসলাম, রাহুল ভান্ডারী প্রমুখ।

আবরার ফাহাদ বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ফরিদপুর সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন। আমরা আমাদের আচরণের মধ্যে দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যে ভাবে তারা আমাদের চিত্রিত করার চেষ্টা করছে সেটি সঠিক নয়। আমরা সকলেই বৃহত্তর ফরিদপুরের অধীবাসী। আমরা একই সংস্কৃতির মানুষ।

সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে জামায়াতের সংবর্ধনা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম
সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে জামায়াতের সংবর্ধনা

ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে দল মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা সোহরাব হোসেনের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরকান্দা উপজেলার তালমা বাজারে মাওলানা সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সকল সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা সোহরাব হোসেন নবনির্বাচিত সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানান এবং সমাজ উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ আশা প্রকাশ করেন, নতুন কমিটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সালথার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরাও জামায়াতের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সালথা উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সালথা উপজেলা সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন, মো. রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. মোশারফ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মো. লাভলু মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকাশ সাহা, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক নিজাম তালুকদার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. পারভেজ মিয়া, এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জাকির হোসেন, এমকিউ হোসাইন বুলবুল, মো শরিফুল হাসান, জামায়াতের নগরকান্দা উপজেলা সেক্রেটারি বিএম মাওলানা ফজলুর রহমান, তালমা ইউনিয়ন সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন, সালথা উপজেলা জামায়াত নেতা মো. ওয়ালিউজ্জামান, মো. লিয়াকত হোসেন মিয়া সহ সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।