খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত কোরবানির পশু

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
ফরিদপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি প্রস্তুত কোরবানির পশু
আসন্ন ঈদুল আজহায় ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় মোট চাহিদার চেয়ে কয়েক হাজার পশুর আমদানি বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। আর জেলার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি কোরবানী পশু দেশের অন্যান্য জেলায় বিক্রির জন্য নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন খামারী ও ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর দেশের বাইরে থেকে কোরবানীর পশু আমদানি না করায় দেশের খামারী ও ব্যবসায়ীরা এ বছর পশুতে ভাল দাম পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ০৮ হাজার ১১টি। এর মধ্যে পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৯১টি পশু। সেই হিসেবে প্রায় ৩ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হবে। খামারী ও পশু ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন। জেলার ৯টি উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ১৭৮টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। এসব খামারে গরু ৫১ হাজার ১৬৭, ছাগল ৫৪ হাজার ৯২৫, ভেড়া ৪ হাজার ৫৯৭ ও মহিষ ১০৫টিসহ অন্যান্য ৯৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য গরু-ছাগল পরিচর্যায় শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারী ও ব্যবসায়ীরা। এ জেলায় ৪০টি গরু-ছাগলের হাট-বাজারে ১৮টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন বাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে, জেলার মধ্যে সদর, সালথা, নগরকান্দা, সদরপুর ও বোয়ালমারী উপজেলায় খামারের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। খামারী ও ব্যবসায়ীরা কোরবানীর পশু পরিচর্যায় শেষ সময়ে ব্যস্ততা সময় পার করছেন। খামারে কেউ পশুকে খাবার দিচ্ছেন, আবার কেউ গোসল করাচ্ছেন। কোরবানী দেওয়ার জন্য অনেকেই খামার থেকে পশু দেখে যাচ্ছেন। তবে ক্রেতারা অনেক যাচাই বাছাই করে পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া জেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খা’র তীরের নর্থ চ্যানেল, ডিক্রীরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন ছাড়াও চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চরবাসীদের আয়ের অন্যতম মাধ্যম গবাদি পশু পালন। বছর জুড়েই সেই গবাদি পশু লালন পালন করে কোরবানীর হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা। এখানে প্রতিটা পরিবারের নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুরাও গবাদি পশু পালন কাজে ব্যস্ত সময় পার করে বছর জুড়ে।
ফরিদপুর শহরতলীর বিল মাহমুদপুর এলাকায় মাইশা ডেইরি ফার্মের মালিক রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমার ফার্মে একটি গরুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাদশা’। তার ওজন প্রায় ৩০ মন। বাদশার বয়স সাড়ে তিন বছর। গরুটি লম্বায় ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং উচ্চতায় ৯ ফুট ৫ ইঞ্চি। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে গরুটিকে দেখতে আসছেন ক্রেতারা। বাদশার দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার গরানিয়া গ্রামের রাজুর খামার দেখভালকারী আক্তার হোসেন জানান, আমরা কোরবানীর জন্য ১৫টি গরু প্রস্তত করেছি। গরু গুলোকে দুই বেলা গোসল করা হয়। কুড়া, ভুসি, ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয় এদের। দিন-রাত খামারে একজন মানুষ লেগেই থাকতে হয়। গরু কেনার জন্য অনেকেই এসেছেন। তবে এখনো গরু বিক্রি করতে পারিনি।
বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা গ্রামের ঈদগাহ এলাকার খামারী রাশিদা বেগম জানান, আমরা কাবু ও ছোট গরু কিনে লালন পালন করে প্রতিবছরই কোরবানীর জন্য প্রস্তত করি। কোরবানীর ৭-৮ মাস আগে গরু গুলো কেনা হয়। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে আমি এ কাজ করছি। স্বামী-সন্তানের পাশাপাশি বেশির ভাগ সময় আমিই গরুগুলো দেখাশুনা করি। কোরবানীর এক সপ্তাহ আগে কুমিল্লায় আমার স্বামী গরুগুলো বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাবেন। আশা করছি এবার পশুর ভাল দাম পাওয়া যাবে।
সদর উপজেলার চরধোলাই এলাকার ফিরোজ মোল্লা বলেন, আমি ২৬টি ভেড়া লালন পালন করছি। এবারের ঈদে ভেড়া গুলোকে ভালো দামে বিক্রি করে ভালো আয় রোজগার হবে। আশা করছি এই টাকা দিয়েই আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগামী বছরটি ভালোভাবে কাটাতে পারবো।
ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ফরিদপুরের খামারীরা আশা করছি এ বছর পশুর ভাল দাম পাবেন। যতটুকু জানতে পেরেছি দেশের বাইরে থেকে কোন পশু আমদানী হচ্ছে না এ বছর। কোরবানীর জন্য চাহিদার চেয়েও কয়েক হাজার পশু বেশি রয়েছে ফরিদপুর জেলায়। জেলার ৪০টি হাটে খামারী ও ব্যবসায়ীদের পশুর সুবিধার্থে ১৮টি চিকিৎসক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৯ পিএম
বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

ফরিদপুরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের কয়েকশ শিক্ষকরা ঘন্ট্যাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

ফরিদপুর প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম অহিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অপরেশ রায় অপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচির শুরুতেই উত্তরা ‌মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের ‌রুহের মাগফেরাত কামনায় ‌দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ‌মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান মোল্লা ‌প্রমূখ। ‌

‌বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও‌ কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোর ‌শিক্ষার্থীদের ‌বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু থাকবে অন্যদিকে ‌বেসরকারি বিদ্যালয় ‌‌ এবং কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা থেকে ‌বঞ্চিত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ‌

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিশুর ‌শিক্ষার অধিকার আছে, ‌বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার আছে। অথচ শুধুমাত্র ‌সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ থেকে বঞ্চিত রাখা হবে কেন? ‌

বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৫ পিএম
বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মর্ডান ল্যাবরেটরীর কিডনির ওপরে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে বিপাকে ফেলেছে একটি শিশুর পরিবারকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন লোকজন বলছে খারাপ এবং নষ্ট মেশিন দিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে ল্যাবরেটরিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে ভুয়া রিপোর্ট করে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের জাহিদুল বেগের আড়াই বছরের ছেলে জিহাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসে ৫ টাকার টিকিট কেটে হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনকে দেখান। তিনি দেখে প্রসাব ও কিডনি পরীক্ষা দেন। জাহিদুল বেগ তার বাচ্চাকে নিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে দেন। মর্ডান ল্যাবরেটরির লোকজন পরীক্ষার কাগজে লেখে তার কিডনি ড্যামেজ(নষ্ট) হয়ে গেছে। পরে ওই রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলেন। তারা ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে শিশুটিকে ডা. এসি পালকে দেখান। তিনি নতুন করে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষাগুলো ফরিদপুরে অবস্থিত ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা করেন। সেখানে সকল রিপোর্টগুলোই ভালো আসে। প্রসাবে সামান্য একটু সমস্যা পায়। যা ওষুধে ঠিক হয়ে যাবে বলে ডাক্তার জানান।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৩ জুলাই) ওই শিশু জিহাদের দাদি জবেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বোয়ালমারী হাসপাতালের সামনে মর্ডান ল্যাবরেটরী থেকে পরীক্ষা করানোর পর তাদের রিপোর্টে লেখা হয়েছে শিশুটির কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে সেই রিপোর্ট হাসপাতালে গিয়ে ডা. মফিজ উদ্দিনকে দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী বলেন বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে দ্রুত ফরিদপুরে নিয়ে যান। এ কথা শুনে পরিবারের সকলের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে রিপোর্ট করানো হয়। সেখানে রিপোর্টে আসছে কিডনিতে কোন সমস্যা নেই প্রসাবে একটু সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলানো ঠিক না।

জানতে চাইলে বোয়ালমারী মর্ডান ল্যাবরেটরির মালিক জিয়া বলেন, রিপোর্ট ভূয়া না। রিপোর্টে কমবেশি হতে পারে। আমি আলফাডাঙ্গায় আছি ফ্রি হয়ে পরে কল দিব বলে লাইনটি কেটে দেন।

বোয়ালমারী হাসপাতালের কর্মরত ডা. মফিজ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার মান যে বিষয়টা এটা আমরা সব সময় ভালো চাই তাহলে নির্ভুল চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয় না। আর যদি রিপোর্ট ভালো না হয় ওই রিপোর্টের ওপরেই আমাদের ডিসিশন নিতে হয়। আমরা চাই নিয়ম মেনে সঠিক রিপোর্ট দিক সকলে। যেহেতু রোগীর ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব আসে সেই জন্য ফরিদপুর এসি পাল স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদ বলেন, একই দিনে দুটি রিপোর্ট করা হয়েছে বোয়ালমারীর মর্ডান ল্যাবরেটরির রিপোর্টে আসছে ২.৩৫ আর ফরিদপুরের রিপোর্ট আসছে ০৩। একই তারিখে রিপোর্ট এত পার্থক্য হওয়া উচিত না। বোয়ালমারী ক্লিনিকদের দেখভাল করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত।

সদরপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০১ পিএম
সদরপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আব্দুল্লাহ মল্লিক (৮) ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের বিলভড়া গ্রামের মাসুদ মল্লিকের ছেলে। আব্দুল্লাহ স্থানীয় মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া নূরানী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশু আব্দুল্লাহ বুধবার সকাল ৮টার দিকে স্কুলে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাস্তা পারাপারের সময় কৃষ্ণপুর-সদরপুর গামি একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক তাকে চাপা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অবস্থায় আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ চক্রবর্তী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় বলেন, খবর পেয়ে থানা–পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল গেছে। কিন্তু নিহত শিশুদের পরিবার এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে রাজি হয়নি। জেলা প্রশাসক বরাবর পরিবারের আবেদন অনুযায়ী মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।