খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে ভূমি আইন লঙ্ঘন করে পুকুর খনন, কৃষি জমির সর্বনাশ

তন্ময় উদ্দৌলা, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৪ পিএম
ফরিদপুরে ভূমি আইন লঙ্ঘন করে পুকুর খনন, কৃষি জমির সর্বনাশ
‘ভূমির আকার পরিবর্তন করা যাবে না’- এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও ফরিদপুরের পৌর সদরে উর্বর ও ফসলি জমিকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।
দিনরাত বিরতিহীনভাবে পুকুর খনন করে সে মাটি আবার বিভিন্ন ইটভাটায় করা হচ্ছে বিক্রি। কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী পুকুর ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টায় পৌরসভার ৪ং ওয়ার্ডের মৃগি মৌজায় জমির মালিক হানিফ মোল্যা (৪৫)  সহিদ  (৩৮) নামের একজন পুকুর ব্যবসায়ীকে দিয়ে এভাবেই তা নিজ ফসলি জমি কাটছেন। জেলা প্রশাসকের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই এভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে এলাকার বিভিন্ন ভাটায় এসব মাটি  সরবরাহ করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারিদিকে বিস্তীর্ণ ফসলি ক্ষেত, কোথাও ধান ও গম আবার কোথাও সরিষা ক্ষেত। এরই মাঝে স্থানীয় এক জমির মালিক হানিফ মোল্যার  কৃষি জমিতে ভূমি আইনের তোয়াক্কা না করেই ভেকু দিয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করেছে। ভেকু দিয়ে উত্তোলন করা মাটি ট্রাকে করে যাচ্ছে আশপাশের ভাটাতে। মাঠের মধ্যের জমি হওয়ায় রাস্তা না থাকায় ব্যাবহার করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ক্ষেতের জমি।  এতে করে মাঠের অন্যান্য ক্ষেত মালিকরা তাদের ফসলি জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এর জন্য কৃষি জমি ধ্বংস হবার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে  গ্রামীণ রাস্তাঘাট  এমনটায় অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনকে বার বার অবগত করলেও মিলছে না কোন সমাধান।
পার্শ্ববর্তী জমির মালিক হাসান খান বলেন, আমাদের এলাকাই এই মাটটিই একমাত্র কৃষি জমি এবং এখানে আমরা ফসল উৎপাদন করি, এখন ধান লাগিয়েছি। আমার জমির পাশে এভাবে পুকুর খনন করার ফলে পরবর্তীতে  পুকুরের পাড় ধ্বসে যে কোন সময় আমার ক্ষেত নষ্ট হতে পারে। ভূমিখেকো হানিফ মোল্যাকে বার বার অবগত করলেও কাউকেই তিনি তোয়াক্কা করেন না।
পার্শ্ববর্তী জমির আরেক মালিক ফরহাদ হোসেন বলেন, হানিফ মোল্লা মূলত পতিত আওয়ামীলীগের দোসর, আওয়ামী সরকার  আমল থেকে তিনি এভাবে ফসলী জমির মাটির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে আমাদের এলাকার ফসলি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথচ এই কৃষি জমি থেকে আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। এ বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে তবে অদৃশ্য শক্তি বলে তিনি তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এর সঠিক প্রতিকার চাই।
মাটিকাটায় অভিযুক্ত জমির মালিক হানিফ মোল্লা বলেন, আমার পুরাতন পুকুর সংস্কারের জন্য ডিসি অফিস বরাবর একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি তবে এখনো কোনো অনুমতি পাইনি। আশা করছি অনুমতি পেয়ে যাবো। এদিকে অনুমতি ছাড়া মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ইটভাটায় মাটি দিচ্ছি না, বরং বিভিন্ন স্থান ভরাটের কাজে আমার কাছ থেকে অনেকেই মাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ফসলি জমির মাটি উত্তলনের বিষয়ে, ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াসির কবির বলেন, মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। স্থানীয় ইউএনওকে অবগত করা হবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নগরকান্দায় সড়কের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৫ পিএম
নগরকান্দায় সড়কের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ
সরকারি আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় পাকা সড়কের পাশের সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের শংকরপাশা-আটাইল পাকা সড়কের পাশে ১৬৬ নং শংকরপাশা মৌজার ৫৯১ নং দাগের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম এবং কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের মৃত দেলোয়ার সরদারের ছেলে আজিম সরদার ও টিপু সরদার শংকরপাশা গ্রামের পাকা সড়কের পাশের সরকারি জায়গা জোরপূর্বক দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ডাঙ্গী ইউনিয়ন ভুমি অফিস ও নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আজিম সরদার ও টিপু সরদার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে  নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত টিপু সরদার  বলেন, আমাদের জায়গার উপর দিয়ে পাকা সড়ক হয়েছে, তাই আমরা সড়কের পাশের জায়গায় ঘর তুলতেছি।
সরকারি জায়গায় অবৈধ দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করে ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, আজিম সরদার ও টিপু সরদারের জমির উপর দিয়ে পাকা সড়ক হওয়ায়, সরকারি সড়কের পাশের জায়গায় তারা ভবন নির্মাণ করতেছে। এটা বৈধ বা অবৈধ কিনা, এ ব্যাপারে প্রশাসন যথাযত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করলে ভালো হয়।
নগরকান্দা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবির বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কেউ নির্মাণ করলে সেই অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সালথায় লিফলেট বিতরণ

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২১ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে সালথায় লিফলেট বিতরণ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সংগঠনের আমির মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ এর নেতৃত্বে সালথা বাজারে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও সাধারণ জনগণের মাঝে তাদের দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে  লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলাম , উপজেলা নায়েবে আমির আজিজুর রহমান মজনু, রামকান্তপুর ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সালথা বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে  জামায়াতে ইসলামী ও তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।