খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

বসন্তের নানা আয়োজনে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম
বসন্তের নানা আয়োজনে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকৃতির মাঝে বেজে উঠল বসন্তের সুর। বসন্তকে বরণ করে নিতে রাজধানীতে রয়েছে নানা আয়োজন।

এর অংশ হিসেবেই ভোরের আলো ফুটতেই সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা ভিড় জমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

বসন্তকে বরণ করে নিতে ভোর ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। বসন্ত উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ শেষ হয় দুপুর ১২টায়। সমবেত বাদ্যযন্ত্রের মধ্য দিয়ে উৎসবটি শুরু হয়।

পরে দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সঙ্গীতের দল, বরেণ্য শিল্পীদের একক গান, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনার সঙ্গে বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়সহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

বসন্ত-রঙিন শাড়ি, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে চারুকলায় আসেন তরুণীরা। তরুণেরা জড়ান পাঞ্জাবি।

বসন্তকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় বসন্তবন্দনা উৎসব। ‘পৃথিবীর নদ, বন  কিংবা পাহাড়, মানুষ মালিক নয়, বন্ধু তাহার’ এই আহ্বানে এবারের আয়োজনটি হয়েছে। বটতলায় গান, দলীয় নাচ, কবিতার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ঋতুরাজ বসন্তকে।

চারুকলার বকুলতলায় আসা শিল্পী সমর বড়ুয়া বলেন, দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত বসন্ত উৎসব। এ দেশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি আর ঋতু বৈচিত্র্যকে ধারণ করে এ উৎসব। বাঙালি জাতির জীবনে যেকোনো উৎসবের চেয়ে এ উৎসবের তাৎপর্য কোনো অংশে কম নয়।

অংশ নেন শিল্পী শ্যামলী বড়ুয়াও। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসব একটি মিলনমেলা। ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বসন্ত উৎসবের আনন্দ। জীবনের অনেকটা সময় ধরে আমরা নানা ঝামেলা নিয়ে থাকি। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে বসন্তের এই রঙিন মেলায় একত্রিত হই। এই রং আমাদের মনকে ভালো করে দেয়। এই যে এতগুলো মানুষের চোখেমুখে আনন্দ, এই আনন্দ জীবনের সব ক্লান্তি দূর করে দেয়।

বটতলায় বসন্তবন্দনায় সমগীত শ্রদ্ধার্ঘ্য নেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সমগীতের এই আয়োজনে গান পরিবেশন করেন শিল্পী কফিল আহমেদ, লীলা, কৃষ্ণকলি, সায়ান,  আদিবাসী ব্যান্ড রেরে, সুডোস অন আ রং রুট, অমৌলিক ও গঙ্গাফড়িং। এ ছাড়া নৃত্য পরিবেশন করেন আকরামুল হিজড়া ও সাচিং মং মারমা।

আয়োজন নিয়ে সমগীতের সভাপতি কমল আকাশ বলেন, দেশের সব সংস্কৃতির মিলনমেলা ঘটে আমাদের এই আয়োজনে। এ উৎসব আমাদের প্রকৃতির প্রাণ উপলব্ধি করতে শেখায়। আজকাল আমরা বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুকে অনুভব করতে ভুলে যাই। সবচেয়ে রঙিন ঋতু বসন্তকে উপলব্ধির মাধ্যমে আমাদের সেই সংকট কাটাতে চাই। প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হওয়ার এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।