খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

মিতব্যয় মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি করে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৪৬ এএম
মিতব্যয় মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি করে
মিতব্যয়িতা মানে ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংযম-সতর্কতা অবলম্বন করা বা ‘আয় বুঝে ব্যয় করা’। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করাকেও মিতব্যয়িতা বলা হয়।

ইসলাম মানুষকে অপব্যয়, অপচয় ও কৃপণতা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। মিতব্যয়ী হওয়া বিশেষ কোনো দিবসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বরং জীবনভরই মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করা ইসলামের বিধান। 

বাড়াবাড়ি বা সীমা লঙ্ঘন করা কোনোটিই ইসলামে অনুমোদিত নয়। মিতব্যয় মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি করে। অন্যকে সাহায্য করার পথ উন্মুক্ত করে। মিতব্যয়ীরা কখনোই নিঃস্ব হন না। ভারসাম্যপূর্ণ ও মধ্যমপন্থার জীবন দর্শন হচ্ছে ইসলাম। আর মিতব্যয়িতা ঈমানদারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

ইসলামে সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে কৃপণ হওয়া নিষিদ্ধ। আবার প্রাচুর্যের সময় অপচয় অপব্যয় করে সম্পদ নষ্ট করাও জায়েজ নেই।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আহার এবং পান করো, আর অপচয় করো না; তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত ৩২)

প্রাচুর্যের সময় খরচের উৎসবে মেতে না উঠে পরবর্তী সময়ে যেন হাত পাতার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়— এ বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি একেবারে ব্যয়কুণ্ঠ হয়ো না এবং একেবারে মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে। ’ (বনি ইসরাইল, আয়াত ২৯)

অর্থ সঞ্চয় করে রাখা ইসলামের শিক্ষা

অপচয় ও কৃপণতা—এই দুই প্রান্তিকতার মাঝখানে মধ্যমপন্থা হিসেবে মিতব্যয়ী হয়ে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখা ইসলামের শিক্ষা। যারা অপচয় এবং কৃপণতার পথ পরিহার করে মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করবে আল্লাহ তাদের নিজের বান্দা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘(রহমানের বান্দা তো তারাই) যারা অপব্যয় করে না আবার কৃপণতাও করে না। তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী। ’ (সুরা ফুরকান, আয়াত  ৬৭)

আল্লাহ তাআলার রীতি হলো, চেষ্টা ও উপায় অবলম্বনের ভিত্তিতে জীবিকা দান করা। তাই হালাল পন্থায় জীবিকা অর্জনের চেষ্টাকে ফরজ করা হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে  ‘হালাল উপার্জনের সন্ধান অন্যান্য ফরজের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। ’ (সুনানে কুবরা, বায়হাকি ৬১২৮)

সন্তানদের জন্য সঞ্চয় করতে ইসলামের আদেশ

অপব্যয় না করে সন্তানদের জন্য কিছু সঞ্চয় করাও ইসলামের শিক্ষা। সন্তানদের কারও মুখাপেক্ষী রেখে যাওয়া নবীজি (সা.) পছন্দ করেননি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার উত্তরাধিকারীদের মানুষের করুণার মুখাপেক্ষী রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদের সচ্ছল রেখে যাবে- এটাই উত্তম। ’ (বুখারি, হাদিস ১৪৩৫; মুসলিম, হাদিস ৩১২৫১)

ইসলাম সঞ্চয়কে কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছে তা আরও স্পষ্ট হয় রাসূলে কারিম (সা.)-এর হাদিস থেকে। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘উত্তম দান তাই, যা নিজ অভাবমুক্ততা রক্ষার সঙ্গে হয়। ’ (বুখারি, হাদিস ২১১২)

ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ভাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এক্সপ্রেসওয়ে মডেল মসজিদে সামনে বাসের ধাক্কায় বিল্লাল খাঁন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরো ২ আরোহী।

বুধবার (০৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে। সে ওই গ্রামের দেলোয়ার খানেঁর পুত্র ।

আহত হয়েছেন হাফিজুর রহমান (৩২) ও মাহবুব মিয়া (২৫) নামের দুই যুবক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দ্রুতগামী স্টার ডিলাক্স নামের একটি পরিবহন পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত ও দুই জন গুরুতর আহত হয়। আহত দুই জনকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্টার ডিলাক্স নামের একটি বাস ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মডেল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তিন হোন্ডা আরোহীকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন হোন্ডা চালক ও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এছাড়া বুধবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়া নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে উপর উল্টে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ড্রাইভার সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়।

সালথায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২২ পিএম
সালথায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ফরিদপুরের সালথায় ট্রলির চাপায় হুসাইন কারিকর (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুটি যদুনন্দী গ্রামের মৌলভীপাড়া এলাকার নাজমুল কারিকরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে একটি ট্রলি পুড়েপাড়া থেকে ইট নামিয়ে ফেরত আসার সময় মৌলভীপাড়া আজগরের বাড়ির সামনে শিশু হুসাইনকে চাপা দেয়। তৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ট্রলির চাপায় শিশু নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরদুয়াইর গ্রামে সাপের কামড়ে কালাম মাতুব্বর (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সে চরদুয়াইর গ্ৰামের মৃত্যু হারেজ মাতুব্বরের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পুকুরে পাট জাঁগ দিতে গেলে তাকে সাপে দংশন করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাঞ্চন মাতুব্বর জানায়, পাট জাঁগ দেওয়ার সময় তাকে সাপে দংশন করে। তারপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় ওঝা দিয়ে চিকিৎসা করান। সন্ধ্যায় বেশী অসুস্থ বোধ করলে তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসায় একটু সুস্থ বোধ করলে সকালে বাড়ি চলে আসেন। বুধবার সকালে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।