খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

হারুন আনসারী, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম
আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদের সামনে থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন সহকারে মিছিলে যোগ দেন। প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী লম্বা এই মিছিল শহরের প্রধান সড়ক অতিক্রম করে শহরের কোর্ট চত্বরে পৌঁছে শেষ হয়।
এর আগে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ বদরউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. দেলোয়ার হুসাইন, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য সামসুল ইসলাম আল বরাটি, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ফরিদপুর-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নায়েবে আমীর আবু হারিস মোল্যা, সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর জসীমউদ্দিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এসএম আবুল বাশার, পৌর জামায়াতের আমীর ডা. এহসানুল মাহবুব রুবেল, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি হাফেজ ওবায়দুল্লাহ ও শহর শাখার সভাপতি আকমাল হোসাইন।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন- জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাজানো মামলায় ক্যাঙ্গারু আদালতে আজহারুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা থেকেই শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বানিয়ে একের পর এক ইসলামী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর তার এই ট্রাইব্যুনালও অবৈধ হয়ে গেছে।
তারা বলেন, অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে আজহারুল ইসলামকে আটক করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালানো হয়। তার বিরুদ্ধে যেই মামলা দায়ের করা হয়, তার কোন ভিত্তি নেই। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই পাতানো ট্রাইব্যুনালের ফরমায়েশি সাজায় কারাগারে অন্তরীণ মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি চাই।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে জামায়াতের নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করেছে। মিথ্যা অভিযোগ আজহারুল ইসলামকে এখনো বন্দি করে রেখেছে। তাকে ফাঁসির সেলের পাশে একটি কক্ষে অমানবিকভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নইলে জনগণের বিক্ষোভের মুখে এই সরকারকেও পালাতে হবে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।