খুঁজুন
সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১৮ কার্তিক, ১৪৩২

আমি বেঁচে থাকতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না: ইশরাক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
আমি বেঁচে থাকতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না: ইশরাক

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিও এমন।

তবে বিএনপি চায়, আগে জাতীয় নির্বাচন। তারপরই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

 

এদিকে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানিয়েছে তারা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক রিপোর্টে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।

এবার এ বিষয় নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ঘোষণা দেন, তিনি বেঁচে থাকতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

তার দৃষ্টিতে, মার্কাবিহীন এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।

ইশরাক হোসেনের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে। হতে পারে এর মাধ্যমে ছোট দল, নতুন দল তাদের পাল্লা ভারী করার একটা সুপ্ত প্রয়াস চালাবে।

অন্য কোনো পক্ষেরও এজেন্ডা থাকতে পারে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে মার্কাবিহীন এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উথান ঘটবে। সেই সংক্রান্ত আলামত ও কিছু আনাগোনা শুনতে পাচ্ছি।

আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছেই এ ব্যপারে। এর বাইরে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী হিসেবে অথবা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে অথবা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে, যেভাবেই বিবেচনা করা হোক আমাকে।

বই পড়তে শেখার আগে ঢাকার রাজনীতি শিখতে শুরু করেছি। জন্ম থেকে এগুলো দেখছি, বিদেশে কেবল উচ্চশিক্ষার জন্যে কয়েক বছর কাটিয়েছি। ঢাকার অলি গলির রাজনীতি কীভাবে হয় এবং হয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় তা নতুন করে বয়ান দেওয়ার দরকার নেই। ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে একটি চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে।

হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কেমনে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে ওইটা আমাদের মুখস্ত। জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার-ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে। এ সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নেই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।

পদত্যাগ করেছেন ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০৪ এএম
পদত্যাগ করেছেন ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিন

পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুরের জেলা শাখার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন।

রোববার (০২ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্টাটাস দিয়ে তিনি পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন।

পদত্যাগপত্রে জেবা তাহসিন লিখেছেন, ‘আমি কাজী জেবা তাহসিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্বরত ছিলাম এবং এই পথচলাটা আমার জীবনের এক মূল্যবান অধ্যায়। তবে কিছু মাস আগে বৈছআ সারাদেশের কমিটি স্থগিত করা হয় কিন্তু আজকে পুনরায় আবার এ কমিটি সচল করার পর আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে বৈছাআ ফরিদপুর জেলা এর মুখপাত্র পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই পদ থেকে সরে গেলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আমার ভালোবাসা, বিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা আগের মতোই অটুট থাকবে। আমি সবসময় এই আন্দোলনের পথে থাকবো — হয়তো ভিন্ন ভূমিকায়, কিন্তু একই লক্ষ্য নিয়ে — বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্নে।’

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩১ পিএম
ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও শালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (০২ নভেম্বর) বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গুপিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা সায়মন শেখ (৫০) গ্রুপ ও কুদ্দুস মুন্সি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট হামিরদির মোতালেব মাতুব্বরের দোকানে এসে সায়মন শেখ কুদ্দুস মুন্সির লোকজনের সামনে কুদ্দুস মুন্সিকে নিয়ে গালিগালাজ করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গুপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সায়মন শেখ গ্রুপ শালিশ বৈঠক প্রত্যাখান করে। পরে এ নিয়ে এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন।

স্থানীয় ছোট হামিরদী গ্রামের বাসিন্দা সাহাদাৎ ফকির বলেন, দুই পক্ষের শালিশ বৈঠক ছিল। একপক্ষ শালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হলে পরে উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল-সরকি,দা-বটি নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি সবুজ শেখ বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আজ একটি বিষয় নিয়ে শালিশ বৈঠকে সায়মন পক্ষের লোকজন হাজির না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।

এ ব্যপারে কুদ্দুস মুন্সি বলেন, সায়মন শেখের লোকজন শালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজন ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার পক্ষের লোকজনের প্রায় ২০ টি বাড়ি তিনটি দোকান ভাংচুর-লুটপাট করা হয়। এতে আমার পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সায়মন শেখের সঙ্গে মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিম বলেন, সংঘর্ষে গুরুতর আহত চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরো রোগী আসতেছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত

মাহবুব হোসেন পিয়াল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:০৬ পিএম
ফরিদপুরে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত

জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের আয়োজনে রবিবার (০২ নভেম্বর ) সকাল ১০টায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রথমে বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি সিভিল সার্জন অফিস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন।

এসময় সন্ধ্যানী ফরিদপুর ডোনার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক অধ্যাপক এম.এ সামাদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন সরোয়ার সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তারা বলেন, রক্তদান একটি মানবিক ও মহৎ কাজ, যা অন্যের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। সবাইকে সঠিক ও সরকারি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ও দক্ষ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে ব্লাড স্ক্যানিং করানোর আহ্বান জানান তারা।

এছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানের গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, চক্ষুদান একটি পবিত্র ও মহৎ কাজ। যে মানুষটি জীবদ্দশায় পৃথিবীর আলো দেখতে পারেননি, তাকে মৃত্যুর পর নিজের চোখ দান করে আলো দেখার সুযোগ করে দেওয়া সবচেয়ে বড় মানবিক অবদান।