খুঁজুন
সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১৮ কার্তিক, ১৪৩২

কর্মস্থল থেকে উধাও, ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ৪:৫৮ পিএম
কর্মস্থল থেকে উধাও, ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভেঙে পড়ে পুলিশ বাহিনী। অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করে কয়েকদিন পর উধাও হয়ে যান। অনেকে ছুটি নিয়েও অনুপস্থিত অনেকে আবার ছুটি না নিয়েও উধাও হয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া এমন ঊর্ধ্বতন ১৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

 

রোববার (২৯ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে ১৩টি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। গত ২৬ জুন প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন উপসচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

 

পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন

এটিইউয়ের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিনা অনুমতিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

পুলিশ সুপার শাহজাহান

রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মো. শাহজাহান গত ১৬ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল

নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত গোলাম মোস্তফা রাসেল গত ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হাছান

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর হাছান গত বছরের ৩ অক্টোবর হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে ১৫ দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়। তিনি ৮ অক্টোবর কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ১৫ দিনের ছুটি শেষে গত ২৩ অক্টোবর কর্মস্থলে যোগদানের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি ২৩ অক্টোবর সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসারত অতিরিক্ত আরও ৬০ দিনের ছুটি বৃদ্ধির জন্য ই-মেইলে আবেদন করেন। তার আবেদন মঞ্জুর হয়। এরপরও কর্মস্থলে হাজির হওয়ার জন্য তার স্থায়ী ঠিকানায় দুইবার নোটিশ জারি করা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদান না করে বিদেশে অবস্থান করছেন।

সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় এস এম জাহাঙ্গীর হাছানকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম আখতারুল ইসলাম

রমনা বিভাগের সাবেক এডিসি বর্তমানে সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম গত ২৬ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শামীম

ডিএমপির সাবেক এডিসি এস এম শামীম গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম

ডিএমপির সাবেক এডিসি বর্তমানে কক্সবাজার এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস

ডিএমপি ডিবির সাবেক এডিসি বর্তমানে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস গত বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা

রাঙ্গামাটি এপিবিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান

তেজগাঁও বিভাগের সাবেক এডিসি বর্তমানে সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান গত ২৯ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান

বরিশাল র‍্যাব-৮ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এএসপি মাহমুদুল হাসান

রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাহমুদুল হাসান গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এএসপি ইমরুল

কক্সবাজার উখিয়া এপিবিনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ইমরুল গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

পদত্যাগ করেছেন ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০৪ এএম
পদত্যাগ করেছেন ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিন

পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুরের জেলা শাখার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন।

রোববার (০২ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্টাটাস দিয়ে তিনি পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন।

পদত্যাগপত্রে জেবা তাহসিন লিখেছেন, ‘আমি কাজী জেবা তাহসিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্বরত ছিলাম এবং এই পথচলাটা আমার জীবনের এক মূল্যবান অধ্যায়। তবে কিছু মাস আগে বৈছআ সারাদেশের কমিটি স্থগিত করা হয় কিন্তু আজকে পুনরায় আবার এ কমিটি সচল করার পর আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে বৈছাআ ফরিদপুর জেলা এর মুখপাত্র পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই পদ থেকে সরে গেলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আমার ভালোবাসা, বিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা আগের মতোই অটুট থাকবে। আমি সবসময় এই আন্দোলনের পথে থাকবো — হয়তো ভিন্ন ভূমিকায়, কিন্তু একই লক্ষ্য নিয়ে — বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্নে।’

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩১ পিএম
ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও শালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (০২ নভেম্বর) বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গুপিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা সায়মন শেখ (৫০) গ্রুপ ও কুদ্দুস মুন্সি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট হামিরদির মোতালেব মাতুব্বরের দোকানে এসে সায়মন শেখ কুদ্দুস মুন্সির লোকজনের সামনে কুদ্দুস মুন্সিকে নিয়ে গালিগালাজ করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গুপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সায়মন শেখ গ্রুপ শালিশ বৈঠক প্রত্যাখান করে। পরে এ নিয়ে এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন।

স্থানীয় ছোট হামিরদী গ্রামের বাসিন্দা সাহাদাৎ ফকির বলেন, দুই পক্ষের শালিশ বৈঠক ছিল। একপক্ষ শালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হলে পরে উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল-সরকি,দা-বটি নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি সবুজ শেখ বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আজ একটি বিষয় নিয়ে শালিশ বৈঠকে সায়মন পক্ষের লোকজন হাজির না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।

এ ব্যপারে কুদ্দুস মুন্সি বলেন, সায়মন শেখের লোকজন শালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজন ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার পক্ষের লোকজনের প্রায় ২০ টি বাড়ি তিনটি দোকান ভাংচুর-লুটপাট করা হয়। এতে আমার পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সায়মন শেখের সঙ্গে মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিম বলেন, সংঘর্ষে গুরুতর আহত চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরো রোগী আসতেছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত

মাহবুব হোসেন পিয়াল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:০৬ পিএম
ফরিদপুরে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত

জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের আয়োজনে রবিবার (০২ নভেম্বর ) সকাল ১০টায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রথমে বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি সিভিল সার্জন অফিস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন।

এসময় সন্ধ্যানী ফরিদপুর ডোনার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক অধ্যাপক এম.এ সামাদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন সরোয়ার সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তারা বলেন, রক্তদান একটি মানবিক ও মহৎ কাজ, যা অন্যের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। সবাইকে সঠিক ও সরকারি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ও দক্ষ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে ব্লাড স্ক্যানিং করানোর আহ্বান জানান তারা।

এছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানের গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, চক্ষুদান একটি পবিত্র ও মহৎ কাজ। যে মানুষটি জীবদ্দশায় পৃথিবীর আলো দেখতে পারেননি, তাকে মৃত্যুর পর নিজের চোখ দান করে আলো দেখার সুযোগ করে দেওয়া সবচেয়ে বড় মানবিক অবদান।