খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

পানির অভাবে বিলীনের পথে ৫০ নদী!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
পানির অভাবে বিলীনের পথে ৫০ নদী!

‘আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে/বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। /পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি/দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

’-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতার বাস্তব চিত্র মিলছে পঞ্চগড়ে।

সময়ের সাথে সাথে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে এক বিরূপ প্রভাব পড়েছে পঞ্চগড়ের ছোট-বড় প্রায় ৫০টি নদীর ওপর। পানির অভাবে বিলীনের পথে আজ নদীগুলো। জেলায় পানির স্তর কমে যাওয়ার পাশাপাশি নদীগুলোতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ কমে আসায় পঞ্চগড়ের করতোয়া, তালমা, মহানন্দাসহ সব কটি নদী শুকিয়ে এখন খালে পরিণত হয়েছে।

নদীগুলোতে পানি স্বল্পতার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নদীনির্ভর কৃষক ও শ্রমিকদের। একইসঙ্গে মাছসহ জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুগুলো। আর ভরাট নদীর চরকে কৃষি জমি হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয় নিম্নআয়ের মানুষরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ভরা বর্ষা মৌসুমে পঞ্চগড়ের অধিকাংশ নদীতে হাঁটুপানি থাকে। বর্তমানে নদীগুলো দেখে মনে হচ্ছে, শীর্ণকায় এক একটি খাল। জেলার অধিকাংশ নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতে হওয়ায়, ভারত তাদের অভ্যন্তরে দেওয়া বাঁধসহ নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে নদীর পানি নিজস্ব সেচ কাজে ব্যবহার করায় নদীগুলোতে ভরা মৌসুমে পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।

জেলা শহরের করতোয়া নদীর চরে ধান চাষ করা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, একসময় নদীতে প্রচুর পরিমাণ পানি দেখা যেত। তবে দিন যতই যাচ্ছে পানিশূন্য হয়ে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে নদী। তাই আবাদের নিজস্ব জমি না থাকায় পড়ে থাকা নদীর চরে ধান চাষ করে পরিবার চালাচ্ছি।

অন্যদিকে নদী থেকে নুড়ি পাথর সংগ্রহে আসা মোস্তফা বলেন, আমরা নদীতে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় বর্তমানে পাথর পাওয়া যায় না। এতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।

তালমা নদীতে মাছ ধরতে আসা বৃদ্ধ হোসেন আলী বলেন, জীবনের একটা বড় সময় নদীতে বিলিয়ে দিয়েছি। এই করতোয়া নদীতে একসময় প্রচুর মাছ শিকার করতাম। বর্তমানে উজানে বাঁধের কারণে আর নদীতে পানিও নেই, মাছও নেই। এই কাজ করে এখন আর সংসার চালানো যায় না।

এদিকে পরিবেশকর্মীরা বলছেন, ভারতের অভ্যন্তরে নদীর বাঁধ নির্মাণসহ খননে পরিকল্পনার অভাব থাকাসহ দখল-দূষণ, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বিলীন হচ্ছে নদীগুলো। এতে পরিবেশের ওপরেও নানা প্রভাব পড়ছে। তাই জেলার সব নদী রক্ষায় সরকারিভাবে স্থায়ী সমাধান বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রাণ, প্রকৃতি পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা এবং কারিগরের নির্বাহী পরিচালক সরকার হায়দার বলেন, নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে এলাকায় মরুকরণসহ কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।

এদিকে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন বলেন, জেলার অধিকাংশ নদী ভারত থেকে এসেছে। আর ভারতীয় উজান থেকে নদীর পানির সাথে আসা পলির কারণে নদীগুলো ভরাট হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভরাট নদী পুনঃ খননসহ নদীগুলোকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫০ টাকা ব্যয়ে জেলার ১৭৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পূর্ণ খনন করা হয়। এদিকে গত এক দশক ধরে এভাবে প্রবাহ কমতে থাকা নদীগুলো খননে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে নতুন করে জেলার ছয়টি নদীর দৈর্ঘ্যে ২০ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার খননের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলছে কর্তৃপক্ষ।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।