খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

প্রেমের কথা যার কাছে প্রথম বলেছিলেন কাজল!

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৪ এএম
প্রেমের কথা যার কাছে প্রথম বলেছিলেন কাজল!

অভিনেত্রী কাজল আর অভিনেতা অজয় দেবগণ প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন। এখনও বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল তারা।

কিন্তু কীভাবে বাড়িতে প্রেমের কথা জানিয়েছিলেন কাজল? মায়ের কাছে গিয়ে কী বলেছিলেন? সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল সেই কথাই।

 

এ কথা মঞ্চে এসে বলেছেন কাজলের মা তনুজা নিজেই। কাজল নাকি প্রেমে পড়ার পরে প্রথম এসে জানিয়েছিলেন তাকেই।

কাজল নাকি সরাসরি তার মা তনুজাকে এসে বলেছিলেন, ‘মা আমি প্রেমে পড়েছি। ’ তখন তনুজা তার কাছে প্রথমেই জানতে চেয়েছিলেন, কার প্রেমে পড়েছেন কাজল? সেই উত্তর না দিয়ে কাজল বলেন, ‘তোমার খালি ওর চোখটা দেখা উচিত মা…। ’

মেয়ের এমন উত্তরে তনুজা অধৈর্য্য হয়েই বলেন, ‘কার চোখ দেখব?’ উত্তরে কাজল বলেন, ‘ওর নাম অজয়। ’ তনুজা তখন বলেন, ‘কে অজয়?’ কাজল উত্তর দেন, ‘অজয় দেবগণ। ’

তখন তনুজা চিনতে পারেন অজয়কে। এরপর বলেন, ‘ও বীরুজীর ছেলে। বীরুজী তো ভীষণ ভালো অভিনেতা। ভীষণ সুদর্শন, সুপুরুষ। আর ওর ছেলেও ভীষণ সুদর্শন, সুপুরুষ। বীরুজীর থেকেও। ’

এর আগে কাজল জানান, একটি সিনেমার শুটিং সেটে অজয় দেবগণের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয়েছিল তার। তাদের সম্পর্কের মধ্য়ে যে বন্ধুত্বই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একথাও জানান অভিনেত্রী।

পাশাপাশি নিজের বিবাহিত সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে কাজল বলেন, প্রতিটি বিয়েতে উঠাপড়া থাকে। প্রতিদিন নিজেকে নতুন ভাবে জানতে চিনতে সাহায্য় করবে আপনার পার্টনার। প্রতিনিয়ত একে অপরের থেকে কিছু না কিছু শিখতে পারবেন।

অজয়ের প্রথম সিনেমা ছিল ‘ফুল অউর কাঁটে’। এই সিনেমা মুক্তির আগেই নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন অজয়। তার আসল নাম ছিল বিশাল দেবগণ। কিন্তু তার সিনেমা মুক্তির একই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার কথা ছিল মনোজ কুমারের পুত্রের। তার নামও ছিল বিশাল। নিজের অনন্যতা বজায় রাখার জন্যই নিজের নাম বদলে অজয় করে নেন অভিনেতা। এরপর ২০০৯ সালে নিজের পদবির বানানও বদলে নেন অজয়।

একবার কাজল বলেছিলেন, অজয়কে বিয়ে করার জন্য একটি শর্ত রেখেছিলেন তিনি। কাজল বই পড়তে খুব ভালোবাসেন। তাই অভিনেত্রীর দাবি ছিল, বাড়িতে একটি লাইব্রেরি বানিয়ে দিতে হবে কাজলকে। সেই কথা রেখেছিলেন অজয়। মধুচন্দ্রিমার উপহার হিসেবে কাজলকে অজয় উপহার দিয়েছিলেন বাড়ির লাইব্রেরি।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।