খুঁজুন
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৯ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরের কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২:১৮ পিএম
ফরিদপুরের কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে অন্তত ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের নাম-ঠিকানা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন বাচ্চু মোল্যার মার্কেটের নাসির দর্জির দোকান হতে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিটে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনে বাচ্চু মোল্যার মার্কেট, আজিজ মোল্যার মার্কেটসহ ৪টি মার্কেটের মনোহরি দোকান, ওষুধ, টেইলার্স, বীজ ভান্ডার, জুতার দোকান, রেস্টুরেন্টসহ অন্তত ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী, মধুখালী ও বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নির্বাপণ করতে সক্ষম হয়।

তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগুন লাগার এক ঘন্টা পর প্রথমে মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও পরে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘন্টাস্থলে আসে।

স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির হোসেন জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যাওয়ায় বাজারে পাহারাদার ছাড়া বেশি লোকজন ছিলো না। আগুনের শোরগোল শুনে বাড়ি থেকে দৌঁড়ে গিয়ে দেখি কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাশে আমারও কয়েকটি দোকান রয়েছে। তবে আমার দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হতে আল্লাহ রক্ষা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বুলবুল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে নাসির দর্জির দোকান হতে সর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খরব পাওয়ার পর প্রায় এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে। তারপরও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না আসলে হইতো বাজারের অনেকংশই পুড়ে যেত।

বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার খালেক শেখ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল। আমরা আসার পরে একযোগে দুই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আরো বিস্তারিত মধুখালী ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারবেন।

মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাশেদুল আলম বলেন, আগুনে তেরটি দোকান একেবারে পুড়ে গেছে। এক ঘন্টার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, তবে অভিযান সম্পূন্ন করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো পরে জানাতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

ফরিদপুরে কীর্তনগান শুনে বাড়ি ফেরা হলো না দুই ব্যবসায়ীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ এএম
ফরিদপুরে কীর্তনগান শুনে বাড়ি ফেরা হলো না দুই ব্যবসায়ীর

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কীর্তন গান শুনে অটোভ্যানে যোগে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক চাপায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি মাদ্রাসার সামনে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার সাতৈর ও শেলাহাটি এলাকার বাসিন্দা ও সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী মধু সাহা (৫০) ও নারায়ণ সাহা (৫৫)।

আহতরা হলেন, সঞ্জয় বণিক, নেপাল সাহা, সুজিত সাহা, টুকটুকি ও ভ্যানচালক সুমন। আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন মিলে কাদির এলাকা থেকে নাম কীর্তন গান শুনে অটোভ্যানে করে সাত জন মিলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি মাদ্রাসার সামনে ফরিদপুরগামী একটি বেপরোয়া গতিতে চলা একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যানকে চাপা দিলে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে দুই ব্যবসায়ী নিহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, কাদিরদি এলাকা থেকে কীর্তন গান শুনে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল আমিন বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

বাংলাদেশে সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক পরিচালিত খুন, গুম এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও প্ররোচণামূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদ বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যম পাঠানো
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী এবং মহাসচিব মুফতী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইসকনের নামে দেশে যে ধরনের গুম, খুন এবং উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’

নেতৃদ্বয় বলেন, “আমরা দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম সমাজকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে, দেশের সব মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের প্রতি আমাদের অনুরোধ— ‘আজকের জুমার খুতবায় যেন মুসল্লিদের সামনে ইসকন কর্তৃক পরিচালিত এই সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষ সত্যটি জানতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”

সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে—
“ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন একের পর এক উসকানিমূলক ও ঘৃণাবাদী জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম
রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

পারিবারিকভাবে হয় বিয়ে। ধুমধামে বরযাত্রী নিয়ে কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে নবদম্পতিকে পাঠানো হয় বাসরঘরে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সকালেই আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে ঘটে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বরের নাম মো. জামাল ফকির (২৮)। সে পিসনাইল গ্রামের মো রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সেজো। তবে বরের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

বরের পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পাশ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূঁইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন জামাল ফকির। বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন বর। রাতে নবদম্পতি বাসরঘরে শুয়ে ছিলেন।

শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় বর জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল, তাতে মনে হয় না সে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ২ থেকে আড়াই ফুট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।

 

নিহত বরের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি দরজার বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর লাশ জমির মধ্যে পড়ে আছে।

নিহতের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা করেনি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করেন। রাতে বাসর ঘরে নতুন বউকে তিনি শুয়ে ছিলেন। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।