খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে নিরাপদ সবজি চাষে নতুন দিগন্ত

হাসানউজ্জামান, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:০১ পিএম
ফরিদপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে নিরাপদ সবজি চাষে নতুন দিগন্ত

পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তি ও এগ্রো ইকোলজিক্যাল চাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের কৃষকদের নিরাপদ সবজি উৎপাদন বেড়েছে। উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে এনে যথাসময়ে বাজারজাত করায় আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন স্থানীয় কৃষকরা রাসায়নিকনির্ভরতা কমিয়ে জৈব পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে দক্ষ হচ্ছেন, অন্যদিকে বাজারে নিরাপদ ও মানসম্মত সবজি সরবরাহ হচ্ছে।

জেলার সদর ও চরভদ্রাসন উপজেলার ডিক্রিরচর ও গাজীরটেক ইউনিয়ন। এ দুটি ইউনিয়নই মূলত পদ্মা নদীতীরবর্তী প্রাকৃতিক চরাঞ্চল। প্রতিবছর বন্যা, ভাঙন, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও নদীর গতি-প্রকৃতির পরিবর্তনে এখানকার কৃষিজমি ও মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা লেগেই থাকে। নদীর চরে গড়ে ওঠা এই এলাকাগুলোর কৃষকদের জীবিকা নির্ভর করে মূলত মৌসুমি ফসলের ওপর। কিন্তু অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা, দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ও বাজারজাতকরণ জ্ঞানের অভাব, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্বল্প ধারণা– সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ছিল অনেকাংশেই পশ্চাৎপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় ২০২৪ সালের জুনে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আমরা কাজ করি (একেকে), পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ইফাদ এবং ডানিডার সহযোগিতায় চরাঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে চালু করে ‘চরাঞ্চলে এগ্রো ইকোলজিক্যাল ফার্মিং পদ্ধতিতে মিশ্র ও আন্তঃফসল চাষের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপপ্রকল্প।

এটি শুধু একটি কৃষি উদ্যোগ নয়, বরং এটি একটি সমন্বিত সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মডেল। প্রকল্পের প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা যাচ্ছে কৃষকদের আয়, মাটির উর্বরতা, উৎপাদন ব্যয়, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বাজার সংযোগে। ফরিদপুরের চরাঞ্চল এখন একটি নতুন কৃষি সম্ভাবনার ক্ষেত্র, যেখানে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি দেশের বাজারে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
১৬ মাস আগে এক হাজার ১৫০ জন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের চাষিকে অন্তর্ভুক্ত করে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়। কৃষকদের জন্য বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে এগ্রো ইকোলজিক্যাল পদ্ধতি, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক প্রস্তুত, মিশ্র ও আন্তঃফসল চাষ পদ্ধতি, বাজারজাতকরণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১০০ কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে তাদের জমির জন্য উপযুক্ত ফসল নির্বাচন ও সার প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা হয়।

কৃষকদের জৈব সার উৎপাদনে উৎসাহিত করতে পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের ওই দুটি ইউনিয়নে ১৫টি কেঁচো সার প্লান্ট ও ছয়টি টাইকো কম্পোস্ট ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। সেচের জন্য ছয়টি সোলার প্যানেলচালিত সেচ ব্যবস্থা ও ৪০টি ডিজেলচালিত পাম্প বসানো হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি সবজি চারা উৎপাদনের জন্য নেট হাউস ও চারা উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে এখন অনেক কৃষকই জৈব ও এগ্রো ইকোলজিক্যাল পদ্ধতিতে কৃষি চর্চা করছেন।

গত ১০ নভেম্বর সরেজমিন দেখা যায়, ডিক্রিরচর ও গাজীরটেক ইউনিয়নের চরের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা মিশ্র ও আন্তঃফসল চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। কিষানি রাহেলা বেগম বলেন, আগে আমরা বুঝতাম না কোন সার বা কীটনাশক কতটুকু ব্যবহার করা দরকার। এখন প্রশিক্ষণ পেয়েছি, বাড়িতেই কেঁচো সার তৈরি করি, জৈব বালাইনাশক বানাই। এতে মাটি উর্বর থাকে, ফসলও ভালো হয়। আগে শুধু খরচ হতো, এখন আয় হচ্ছে।

কৃষক সাগর মিয়া বলেন, আমি এখন কোকোপিটে সবজি চারা উৎপাদন করি। এতে মানসম্মত চারা তৈরি হয়, যা অন্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করি। এতে নিজস্ব আয়ের পাশাপাশি অন্য কৃষকরাও ভালো ফল পাচ্ছেন। একসময় ভাবতাম চর থেকে কেউ ব্যবসা করতে পারে না, এখন পারছি।
প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ফুয়াদ হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের সরাসরি সহায়তায় চরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষকের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা এখন পরিমিত রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন এবং জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে দক্ষ হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ৪০ শতাংশ কৃষক ও উদ্যোক্তার সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে; উচ্চমূল্যের সবজি ও আগাম ফসল উৎপাদনে তারা দক্ষ হয়েছেন। উৎপাদন ব্যয় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে সোলার সেচ, কম খরচে ডিজেল ইঞ্জিন এবং জৈব সার ব্যবহারের কারণে। বাজারে নিরাপদ সবজি বিক্রয় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি আউটলেট ও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে জৈব সবজি বিক্রি হচ্ছে।

আমরা কাজ করির (এ.কে.কে) নির্বাহী পরিচালক এম এ জলিল বলেন, পিকেএসএফ, ইফাদ ও ডানিডার এই সহযোগিতায় চরের কৃষি ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকন্দ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এগ্রো ইকোলজিক্যাল ফার্মিং চর্চার মাধ্যমে কৃষকরা যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করছেন, তেমনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অবদান রাখছেন। এটি একটি টেকসই উন্নয়নের দৃষ্টান্ত, যা দেশের অন্যান্য চরাঞ্চলেও সম্প্রসারণযোগ্য।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।