ফরিদপুরে ধান-সবজির জমি এখন তামাকের দখলে!
বি কে সিকদার সজল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩৬ পিএম

ফরিদপুরে গত পাঁচ বছরে তামাকের চাষি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। কৃষকরা বলছেন, ঝুঁকি কম, লাভ বেশি হওয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছেন তারা। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, তামাকের হাত থেকে বাঁচাতে অন্য ফসল আবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে চাষিদের।
যে জমিতে এক সময় ধান-শাক সবজি আবাদ হতো, সেই জমি এখন তামাকের দখলে। বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামসহ ফরিদপুর জেলাজুড়েই দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। কৃষকরা জানান, অন্য ফসল চাষের তুলনায় ঝুঁকি ও খরচ কম, লাভ বেশি; তাই তারা ঝুঁকছেন তামাক চাষে।
ক্ষেত থেকে তামাক পাতা কেটে নিজেদের বাড়িতে তৈরি করা চুল্লিতে ৪৮ ঘণ্টা পাতা শুকানোর পর সংরক্ষণ করেন চাষিরা। পরে সিগারেট কোম্পানির প্রতিনিধি এসে তা নিয়ে যান। প্রতিকেজির বর্তমান মূল্য ২৬০ টাকা। চাষাবাদের শুরু থেকেই কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া হয় বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও নগদ অর্থ।
তামাক চাষিরা বলছেন, তামাষ চাষে সুযোগ-সুবিধা বেশি মিলছে। এতে স্থানীয় চাষিদের মধ্যে তামাক চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তামাক চাষের কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, তামাক চাষে উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। এছাড়া শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সবাই।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, তামাক চাষে সংশিষ্ট ও আশপাশের মানুষ শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
বাস্তবতা আমলে নিয়ে অন্য ফসল আবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে তাদের সঙ্গে নিয়মিত গ্রুপ মিটিং করছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলায় তামাক আবাদ হয় ১০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছর জেলায় আবাদ হয়েছে ১৮ হেক্টর জমিতে।
আপনার মতামত লিখুন
Array