খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম
ফরিদপুরে নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রথম স্বামীর নির্যাতনে জুট মিলের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত সেই স্বামী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাদপুর গ্রামে ইউনুস শেখের কন্যা ময়না বেগমের (৩০) সালথা থানার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বলভরদিয়া গ্রামের
শরিফুল মল্লিকের সাথে (৩৫) ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তিন মাস সংসার করে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বোয়ালমারীর জয় পাশা গ্রামের শামীম মোল্যার সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এই ঘরে তার দুটি সন্তান হয়। পরে ময়নার স্বামী শামীম মোল্যা হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সর্বশেষ গত ২৫ মে ময়না বেগম চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার খরাদে মাঠপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের সাথে ৩য় বার বিয়ে হয়। ময়না বেগম দাদপুরের বাবার বাড়ি থেকে সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা জনতা জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতো।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রথম স্বামী শরিফুল মল্লিক সকাল ৮টার দিকে দাদপুর গ্রামে গিয়ে ময়না বেগমকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১২টার দিকে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলে। তখন শরিফুল ময়না বেগমের পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ময়নার বোন জামাই আলমগীর শেখ ও মামা দাদপুর গ্রামের লিয়াকত খলিফাসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে ময়নাকে নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে ময়নার স্বামী শরিফুল মল্লিক পালিয়ে যায়।পরে রাত ১০টার দিকে ময়না বেগমের মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায়।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মাহমুদুল হাসান বৃহস্পতিবার দুপুরে দাদপুর গ্রাম থেকে ময়না বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ময়না বেগমের মামা লিয়াকত খলিফা অভিযোগ করে বলেন, শরিফুল মল্লিক তার ভাগ্নিকে অপহরণ করে নিয়ে নির্যাতন চালাই। অমানুষিক নির্যাতনের ফলে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, লাশের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তার সাবেক স্বামী শরিফুল মল্লিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না বেগমের পরিবারের লোক লিখিত অভিযোগ দিলেই হত্যা মামলা হবে।

ফরিদপুরে এমপি প্রার্থীর প্রচারণার গেট-ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর, প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৩২ পিএম
ফরিদপুরে এমপি প্রার্থীর প্রচারণার গেট-ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর, প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার গেট, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাংচুরের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এ ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভিন্ন বয়সের সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুব সমাজ অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলকারীরা অভিযোগ করেন, ‘রায়হান জামিলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রচারণা সামগ্রী ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এসময় বক্তারা বলেন, “১০ টাকায় ইলিশ মাছ ও ১ টাকা কেজি গরুর মাংস বিতরণ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন রায়হান জামিল। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে কেউ কেউ নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে।”

প্রতিবাদ সভায় রায়হান জামিলের সমর্থকরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সালথায় আগুনে কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:২৪ পিএম
সালথায় আগুনে কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

ফরিদপুরের সালথায় আগুনে এক কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নকুলহাটি গ্রামের কৃষক মো. আজম মোল্যার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুনে সারাজীবনের কষ্টে অর্জিত সব হারিয়ে পাগলপ্রায় ওই কৃষক পরিবার।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আজম মোল্যা বলেন, আমি সারাজীবন কষ্ট করে টিনের একটি বসতঘর নির্মাণ করেছিলাম। আজ আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেল। বসতঘর, পাট, ধান, পেঁয়াজসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সালথা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আব্দুল জলিল বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়স্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে আনুমাণিক ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে৷

ফরিদপুরের খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৬ পিএম
ফরিদপুরের খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

আবহমান গ্রাম বাংলার সুপরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা। ফসলহীন মাঠজুড়ে, রাস্তার পাশে ডোবা-নালায় জমে থাকা পানিতে এই ফুলের সমাহার দেখা যায়। সবুজের মধ্যে সাদা, হালকা গোলাপী আর বেগুনি রংয়ের অযত্নে বেড়ে ওঠা এ ফুল মুগ্ধতা ছড়ায়। 

তেমনি ফরিদপুরের গ্রাম-গঞ্জের প্রায় প্রতিটি এলাকার খাল-বিল, বাড়ির পাশের ডোবায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল। কবি গুরুর ভাষায় ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া’। সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল, যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের কচুরি ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে।

তবে এ সময় কচুরিপানার ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরিপানা ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই ছবি তুলছেন, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা।

ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জলাশয় থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। গ্রামের শিশু-কিশোররাও আনন্দ করে তুলে নিয়ে খেলা করছে। কচুরিপানা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হলেও কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। মাটিতে শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে কচুরিপানা।

কৃষকেরা কচুরিপানা উঠিয়ে জমিতে ফলানো পেঁয়াজের ভূঁই, লালশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন কচুরিপানা। সেই সঙ্গে কচুরিপানা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কচুরিপানা থেকে এখন তৈরি হচ্ছে জৈব সার।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, “কচুরিপানা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাবার, জৈবসার হিসেবে খুবই শক্তিশালী, এটা ব্যবহার করে কৃষকগণ ভাসমান শাক-সবজির চাষ করে থাকে। পুকুর ও বিলে কাপ জাতীয় মাছের বাড়তি খাবার হিসাবে কাজে লাগে, এ জলজ উদ্ভিদকে রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কচুরিপানা ফুল সব বয়সি মানুষকে আকৃষ্ট ও মুগ্ধ করে।”