খুঁজুন
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:১৭ পিএম
ফরিদপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের মধুখালীতে স্ত্রী ঝর্ণা ওরফে বন্যা হত্যার অভিযোগে স্বামী সৌরভ কুমার দাসকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বামী সৌরভ দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে একইদিন সকাল ৭ টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে (র‌্যাব-১০), সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম জানান, ‘গত ২০ অক্টোবর সকালে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পশ্চিম গাড়াখোলার নজরুল ইসলাম খোকন নামের এক ব্যক্তির ভাড়াটিয়া বাসায় ঝর্ণা ওরফে বন্যাকে (২১) বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী সৌরভ কুমার দাস। গত চার বছর পূর্বে ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদী এলাকার সৌরভ কুমার দাসের সাথে বিবাহ হয় বন্যার। তাদের পরিবারে সিদ্ধার্থ নামে দুই বছর ১০ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর হতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হতো।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘দাম্পত্য কলহের জের ধরে অনেকদিন ধরেই বন্যা বেশ কিছুদিন যাবৎ তার মা-বাবার সাথে থাকতো। ঘটনার দিন ভোর বন্যার মা শেফালী রানী পাশের বাড়ির জামশেদুর রহমানের বাসায় কাজ করতে যায়। সকাল অনুমান ১১ টার সময় কাজ শেষে বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে বন্যাকে ঘরের মেঝে বুকের উপর বালিশ রাখা অবস্থায় চিৎ হয়ে পরে থাকতে দেখেন। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে বন্যার মা বুঝতে পারেন তার মেয়েকে জামাই সৌরভ কুমার দাস বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন বন্যার মা শেফালী রানী মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।’

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জামাতের যুব বিভাগের সভাপতি নিহত 

হারুন আনসারী, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জামাতের যুব বিভাগের সভাপতি নিহত 

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াতের যুব বিভাগের পৌর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশির নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের বদরপুরে ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশির ২০১৮ সালে আইনজীবী হিসেবে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ লাভ করেন। এরপর কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায় মোসাদ্দেক ‘ল’ ফার্ম নামে একটি আইনজীবী চেম্বার গড়ে তুলেন। অল্পদিনেই তিনি জেলা শহরে আইনজীবী হিসেবে নামযশ লাভ করেন।

অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশির ফরিদপুর জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখাঁরহাটের মৌলভী ইসাহাক কাজীর সন্তান। ২০১৬ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও ছোট ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে গভীর শোক নেমে এসেছে।

নিহতের পরিচিত রাকিব নামে এক ব্যক্তি জানান, সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে একটি দলীয় কর্মসূচি শেষ করে তিনি কানাইপুরে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। এরপর তাঁর সহকারী মজিবুর রহমানকে সাথে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে শহরের দিকে ফিরছিলেন তাঁরা।
পথিমধ্যে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের বদরপুরে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়ির সামনে এলে পিছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে একটি অজ্ঞাত পরিবহন ধাক্কা দেয়। এতে তাঁরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক আরেকটি ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে তাঁর মাথার অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় তাঁর সঙ্গী মোটরসাইকেল চালক মজিবুর রহমানের হাত ভেঙ্গে গেছে।

দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাইওয়ে পুলিশের একটি দলও সেখানে পৌঁছে খবর পেয়ে। রিপোর্ট লেখার সময় নিহতের লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বদরুদ্দীন, নায়েবে আমীর ইমতিয়াজ আহমেদ ও সদর উপজেলা আমীর মাওলানা জসীমউদ্দিন হাসপাতালে যান।

নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মোটরসাইকেলযোগে কানাইপুর থেকে শহরের দিকে যাওয়ার পথে বদরপুর পৌঁছালে অজ্ঞাত একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

ফরিদপুরে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ৫ নারীকে আটক করে পুলিশে দিল জনতা

শ্রাবণ হাসান, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ৫ নারীকে আটক করে পুলিশে দিল জনতা

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে চলন্ত অবস্থায় একটি ব্যাটারীচালিত অটোগাড়িতে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ৫ নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তাঁদের সাথে একটি শিশুও রয়েছে। এছাড়া তাঁরা সঠিক পরিচয় জানাচ্ছে না বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর-চরভদ্রাসন আঞ্চলিক সড়কের গাজীরটেক ইউনিয়নের শীলডাঙ্গি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, একটি ইজিবাইকে চরভদ্রাসন থেকে এক নারী (৫৩) ফরিদপুর শহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে মৌলভীরচর এলাকা থেকে ওই ইজিবাইকে আরও ৫ নারী যাত্রীবেসে উঠেন। কিছুদূর এগোতেই রিশাত বেগের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নেওয়ার চেষ্টা করে ৫ নারী যাত্রী। এসময় তার শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ৫ নারীকে আটক করে। পরে আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

ভুক্তভোগী নারী রিশাদ বেগ বলেন, আমি অটোর পেছনে বসা ছিলাম। তাঁরা দুইজন আমার দুইপাশে বসে। প্রথমে আমার কানে টান দেয়, মনে করেছিলাম এমনেই টান লেগেছে। আবার গলায় চেইনে টান লাগে। তখন আমি চিৎকার দিলে গাড়ি দাঁড়ায় পড়ে, তখন মানুষ এসে ধরে ফেলে।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খান বলেন, স্থানীয় জনতা আটক করে আমাদের খবর দিলে ৫ নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তবে তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে এলোমেলো তথ্য দিচ্ছে, স্বামীর নামও বলতেছে না, ঠিকানা বলতেছে হবিগঞ্জে কিন্তু ভাষাগত মিল নেই। আমরা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে ছিনতাই বিরোধী অভিযানে আরও দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৩ পিএম
ফরিদপুরে ছিনতাই বিরোধী অভিযানে আরও দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে ছিনতাই বিরোধী বিশেষ অভিযান চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরও দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ওই দুই ছিনতাইকারীদের ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার ফেলা মোল্লার ছেলে দুদুমিয়া ওরফে সায়েম (২১) ও মুন্সিবাজার এলাকার মৃত সিদ্দিক বেপারীর ছেলে খাজা বেপারী (২০)।

এদিকে, এর আগে গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন ফরিদপুর প্রতিদিন’কে বলেন, ‘ফরিদপুর শহরে ছিনতাই বিরোধী বিশেষ অভিযান চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ছিনতাইকারী সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা গভীর রাতে এলোমেলো ঘুরাফেরা করছিল। তাদের প্রশ্ন করা হলে ঘুরাফেরার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনো ছিনতাইকারীকে ছাড় দেওয়া হবেনা।’