খুঁজুন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন দুই নারী 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:০৩ পিএম
ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন দুই নারী 

আসন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর চারটি সংসদীয় আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তাদের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর -১ সংসদীয় আসন স্থগিত রেখেছেন, দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটি পরে ঘোষণা করা হবে।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সারাদেশের বিএনপি ২৩২ টি আসনের ধানের শীষ প্রতীকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনে দুজন নারীকে দলীয় প্রতিকের জন্য মনোনীত করেছেন।

এরা হলেন, ফরিদপুর -২ সংসদীয় আসনের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে,এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা শামা ওবায়েদ ইসলাম। তিনি ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, ফরিদপুর সদর-৩ আসনে ধানের শীষ দলীয় প্রতীক পেয়েছেন সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম বাবুল। তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন।

ফরিদপুর ২ আসনের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এক প্রতিক্রিয়া শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেন, সর্বপ্রথম মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান,স্থায়ী কমিটির নীতি নির্ধারকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আমার দল এবং এ দেশের মানুষ বহু কষ্ট এবং ত্যাগের বিনিময় দেশ আজ নির্বাচনমুখী হয়েছে, আমিও সেই ত্যাগের একজন অংশীদার।

তিনি আরও বলেন, আল্লাহপাক যদি আমাকে নির্বাচিত করেন আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত ওবায়দুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেব।

ফরিদপুরে রেলওয়ের জায়গায় বালু ভরাট করে অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে রেলওয়ের জায়গায় বালু ভরাট করে অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা বাজারের পাশে মাদরাসা সংলগ্ন রেলওয়ের সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী দেলোয়ার মাতুব্বর নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানান, তালমা রেলওয়ে এলাকার পাশে বসতবাড়ি নির্মাণ করে স্থানীয় দেলোয়ার মাতুব্বর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের লোকদের ম্যানেজ করে রেলওয়ের একাধিক জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছে। বর্তমানে তালমা বাজারের পাশের মাদরাসা সংলগ্ন এলাকার একটি ড্রেন বন্ধ করে রেলওয়ের জায়গা দখল করে সেখানে বালু ভরাট করেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানানো হলেও, তারা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

রেলওয়ের জায়গা দখল করে বালু ভরাট করার বিষয়ে দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, আমি রেলওয়ের সরকারি জমি কৃষি কাজের জন্য লিজ নিয়েছি। জায়গাটি ডোবা (নিচু) হওয়ায় বালু দিয়ে ভরাট করেছি। এখন এই জায়গার নামে ব্যবসায়িক লিজ আনবো।

তালমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া বলেন, ‘রেলওয়ের জায়গায় বালু ভরাট করায়, তালমা বাজারের একটি ড্রেন দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তালমা বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ সময় রেলওয়ের জায়গা লিজ দেওয়ার সুযোগ নেই। তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংবাদিক এবং স্হানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তালমা রেল স্টেশনের পাশে রেলওয়ের জায়গা দেলোয়ার মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তি দখল করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যার মুঠোফোনেও যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সহযোগিতা চাই, তবে তাদর সহযোগিতা করা হবে। তবে, অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।’

ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের বউয়ের বটির কোপে প্রাণ গেল ভাসুরের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের বউয়ের বটির কোপে প্রাণ গেল ভাসুরের

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঘরে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের ধারালো বটির কোপে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দি গ্রামে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লার সাথে চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় লুৎফর রহমান টুকু মোল্লার হাঁস চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার ঘরে যায়। এর জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহাগ মোল্লার স্ত্রী সিমা আক্তারের (২৫) ধারালো বটির কোপে ভাসুর লুৎফর রহমান টুকু মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে টুকু মোল্লা নামক এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ও ঘরে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লা নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধা, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীকে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের লাভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সালথা থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘শরীফ ওসমান হাদী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার একজন সাহসী কণ্ঠস্বর। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।’

বিক্ষোভকারীরা হাদী হত্যার বিচার চাই, “সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলবে না এমন নানা স্লোগান দেন। এ সময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সালথা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সজিব আল ইসলাম, সদস্য সচিব সজিব মিয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ মিয়া, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ইমরান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই যোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল বাপ্পিসহ বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।