খুঁজুন
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৩৮ পিএম
ফরিদপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি

ফরিদপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরা এ কর্মবিরতিতে অংশ নেন।

এতে করে ইপিআই টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বেশ কিছু কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, মাঠপর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য সহকারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ যোগ্যতা ও দায়িত্ব অনুযায়ী তারা ন্যায্য বেতন গ্রেড, পদমর্যাদা ও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত।

স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য দূর করে উপযুক্ত গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিত করা, পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

ফরিদপুর সদর উপজেলার এক স্বাস্থ্য সহকারী জানান, “আমরা বছরের পর বছর মাঠে কাজ করেও ন্যায্য অধিকার পাচ্ছি না। বারবার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা কর্মবিরতিতে নেমেছি।”

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা আরও বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে কর্মসূচি আরও কঠোর করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে কর্মবিরতির ফলে কিছু এলাকায় টিকাদান ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, জনগণের দুর্ভোগ তাদের কাম্য নয়; দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন হলে স্বাভাবিক হবে সব কার্যক্রম।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আলোচনা ও সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

শীতকালে ঠোঁটের যত্ন: রুক্ষতার বিরুদ্ধে কোমল সুরক্ষা

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ এএম
শীতকালে ঠোঁটের যত্ন: রুক্ষতার বিরুদ্ধে কোমল সুরক্ষা

শীত এলেই প্রকৃতি যেমন বদলে যায়, তেমনি আমাদের ত্বকেও তার ছাপ পড়ে। কনকনে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস আর কম আর্দ্রতার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগে ঠোঁট। ফেটে যাওয়া, কালচে ভাব, জ্বালা—এসব সমস্যায় শীতকাল অনেকের জন্যই অস্বস্তির সময় হয়ে ওঠে। অথচ সামান্য যত্ন আর সচেতনতা থাকলেই ঠোঁট রাখা যায় নরম, গোলাপি ও সুস্থ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠোঁটের ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ঠোঁটে প্রাকৃতিক তেলগ্রন্থি না থাকায় এটি দ্রুত শুষ্ক হয়। তাই প্রথম ও প্রধান শর্ত—নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং। বাইরে যাওয়ার আগে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো মানের লিপ বাম ব্যবহার করলে ঠোঁটে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। ভ্যাসলিন, শিয়া বাটার, নারিকেল তেল বা মধুসমৃদ্ধ লিপ বাম শীতে বেশ কার্যকর।

অনেকের অভ্যাস আছে ঠোঁট ভেজাতে জিভ ব্যবহার করার। এতে সাময়িক আরাম মিললেও দীর্ঘমেয়াদে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। কারণ লালার এনজাইম ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো।

শীতকালে পানি পান কমে যায়—এটাই বড় ভুল। শরীর হাইড্রেটেড না থাকলে ঠোঁটও শুষ্ক হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি ফল ও শাকসবজি খেলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়, যা ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভিটামিন বি ও ই সমৃদ্ধ খাবার ঠোঁটের জন্য উপকারী।

সপ্তাহে এক-দু’দিন হালকা স্ক্রাবিং করলে ঠোঁটের মৃত কোষ দূর হয়। ঘরে বসেই চিনি ও মধু মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করা যায়। তবে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করা যাবে না—এতে ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। ম্যাট লিপস্টিক শীতে ঠোঁট আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই ময়েশ্চারাইজিং লিপস্টিক বা লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। বাইরে বের হলে রোদ থেকেও ঠোঁট রক্ষায় এসপিএফযুক্ত লিপ বাম উপকারী।

সবশেষে বলা যায়, শীতকালে ঠোঁটের যত্ন মানেই বাড়তি সময় বা খরচ নয়—বরং নিয়মিত অভ্যাস আর সচেতনতা। একটু যত্নেই শীতের রুক্ষতা জয় করে ঠোঁট রাখা যায় নরম, সুন্দর ও প্রাণবন্ত।

‘চাঁদাবাজি করলে বিন্দু পরিমান কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ — ওসি বাবলু

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৬ পিএম
‘চাঁদাবাজি করলে বিন্দু পরিমান কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ — ওসি বাবলু

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নে পুলিশের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে সালথা থানা পুলিশ।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন সালথা থানার এএসআই শাহবুদ্দীন খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালথা থানার ওসি বলেন—
“সালথা থেকে মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। কোনো দলের আতি নেতা বা পাতি নেতা যদি চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকে, তাহলে বিন্দু পরিমাণ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসব অন্যায়ের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, তাদেরকে সালথার বুকে থাকতে দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।

কৃষি ও সামাজিক শান্তি প্রসঙ্গে ওসি মো. বাবলুর রহমান খান বলেন— “সালথা উপজেলা কৃষিতে ভরপুর একটি এলাকা। আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কৃষিজমি। কাইজ্যা-মারামারি বাদ দিয়ে সবাই যদি কৃষি কাজে মন দেয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে সালথা উপজেলা ‘সোনার সালথা’ হিসেবে গড়ে উঠবে।”

তিনি আরও বলেন—“আপনাদের সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সালথা গড়তে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বর, সালথা উপজেলা যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, সালথা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সালথা উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, আটঘর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মিঠু, যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম বিশু, মুরাদুর রহমান, শাফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খান, শিমুল মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আটঘর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা শওকত ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন আটঘর ইউনিয়নের সভাপতি কারী ওবায়দুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ভুট্টো মাতুব্বর, মাজেদ মাতুব্বর, ফিরোজ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা গণধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুক্ত ছাত্রদের সঙ্গে ফরিদপুরে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৩ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুক্ত ছাত্রদের সঙ্গে ফরিদপুরে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

ফরিদপুর জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভা করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নজরুল ইসলাম।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী ফরিদপুর জেলা শাখার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে সমসাময়িক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সমাজে বিদ্যমান অনিয়ম ও দুর্নীতি, অপরাধমূলক সিন্ডিকেট, মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্তি, কিশোর গ্যাংসহ নানা সামাজিক সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সচেতন ছাত্রসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে অপরাধ ও অনিয়ম প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং তথ্যভিত্তিক সহযোগিতা পুলিশ প্রশাসনকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।” তিনি যেকোনো অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সভায় উপস্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতারা মাদক, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের দাবি জানান এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শামছুল আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রায়হান গফুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমীর হোসেনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভাটি পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।