খুঁজুন
রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ়, ১৪৩২

ফরিদপুরে ১৭ মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞী বিন্দু মাসি গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ফরিদপুরে ১৭ মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞী বিন্দু মাসি গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী ১৭টি মাদক মামলার আসামি রেবেকা বেগম ওরফে বিন্দু মাসিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান। এর আগে রবিবার দিবাগত গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে পৌরসভার ছোলনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা গ্রামের মাদক সম্রাজ্ঞী রেবেকা বেগম ওরফে বিন্দু মাসি ও তার স্বামী আব্দুল কাইয়ুম মোল্যা বোয়ালমারীর মাদক সিন্ডিকেটের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘদিন যাবত পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছে তারা। বিন্দু মাসি ও তার স্বামীকে অর্ধশতাধিক বার মাদকসহ আটক করে পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এর মধ্যে একটি মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রেবেকা ওরফে বিন্দু মাসি। সে জামিনে বাইরে এসে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুনরায় মাদক কারবার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আব্দুল কাইয়ুুমের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৩৪টি ও বিন্দু মাসির বিরুদ্ধে ১৭টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত ) আল আমিন জানান, বিন্দু মাসির বিরুদ্ধে ১৭টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া বিন্দু মাসির স্বামী আব্দুল কাইয়ুম মোল্যার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মারামারি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ৩৪টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিন্দু মাসিকে সোমবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সদরপুরে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুর অফিস:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৬:১৭ পিএম
সদরপুরে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্তর বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, অসদাচরণ ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ঘুষ না দিলে নামজারি আবেদন বাতিলে করা সহ হয়রানির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগীর।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জাকেরের ডাঙ্গী গ্রামের আজগর চোকদার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সে জরিপের ডাঙ্গী মৌজার ১৯৭৫ নং খতিয়ানের তার জমির কর অনলাইনে দাখিল করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। এরপর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্ত উক্ত খতিয়ানের কর বাবদ তার নিকট ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। সে এতটাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি ভূমি কর্মকর্তা সুজিৎ কমিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে ১২ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে সে আবারও অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সে তার ভাতিজাকে সাথে গিয়ে যাওয়ার পর ১০ হাজার টাকার একটি রশিদ হাতে দেন সুজিৎ।

এরপর সে রশিদে দেখতে পায় ৩৩৮৯ টাকা অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে বলে রশিদে উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য ভাতিজাকে সাথে ইউপি ভূমি অফিসে গেলে তহশিলদার সুজিৎ ভক্ত তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও কর পরিশোধের রশিদ বাতিলের হুমকি দেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।
আজগর চোকদার বলেন, এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে হয়রানি করেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সরকার যে কয় টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোনো কাজ করবো না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন, সবার দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্ত বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে। সেবা নিতে আসা আজগর চোকদার যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। তিনি নিজে অনলাইনে আবেদন করে নিজেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করেছেন। এরপর ওনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিয়ে আছি, বিস্তারিত অফিসে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকা শহরে মিলছে নিজের ফ্ল্যাট ও দোকান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৫:৩৮ পিএম
মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকা শহরে মিলছে নিজের ফ্ল্যাট ও দোকান

ভিলেজ ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড ২০১৮ সাল থেকে ঢাকার শিক্ষানগরী নামে পরিচিত পশ্চিম উত্তরা বিরুলিয়া ঢাকা নামক স্থানে ”কম খরচে শেয়ারে নিজের বাড়ি নিজে করি” এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দেবার জন্য ৪০% কম খরচে ফ্ল্যাট ও দোকান তৈরী করার কাজ শুরু করে।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মিনু এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬ ষ্ঠ প্রজেক্টের সফল সমাপ্তির পরে প্রস্তাবিত ১২০ ফিট মেইন রোডের সাথে তিন দিকের রাস্তা সম্বলিত ২৮ কাঠা জমির উপরে ৭ম প্রজেক্ট ভিলেজ প্লাজা ১১ তলা বিশিষ্ট কমার্শিয়াল কাম রেসিডেন্সিয়াল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

বেসমেন্টে থাকছে গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ১ম থেকে ৩য় তলা পর্যন্ত ১২৮টি দোকান নিয়ে শপিংমল এবং ৪র্থ থেকে ১১ তম তলা পর্যন্ত ১২৮ টি ফ্ল্যাট থাকছে। যেখানে প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে ৩ রুম বিশিষ্ট ৯৮০ স্কয়ার ফিট এর একটি ফ্ল্যাট এর সাথে ২৪৪ স্কয়ারফিটের একটি দোকান। এছাড়া ৫ রুম বিশিষ্ট ১৯৬০ স্কয়ারফিট এর একটি ফ্ল্যাট এর সাথে ২৪৪ স্কয়ারফিটের দুইটি দোকান। মাত্র ২০০০ টাকা স্কয়ারফিট খরচে তৈরী হবে আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাট ও দোকান।

১২৮ টি শেয়ার এর মধ্যে ৬৮ টি শেয়ার বিক্রয় সম্পাদিত করে সাবকাবলা দলিলের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের জমির অংশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উক্ত প্রজেক্টে অগ্রীম কোন টাকা গ্রহণ করা হয় না, জমির দলিল বুঝে পাবার পরে টাকা গ্রহণ করা হয়। প্রজেক্ট এর পাশে রয়েছে ৭ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি, ফয়েজউল্লাহ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ।

ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর সাত বছরের কারাদণ্ড 

ফরিদপুর প্রতিদিন ডেস্ক:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ পিএম
ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর সাত বছরের কারাদণ্ড 
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড  এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আইয়ুব আলী (৫২) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামের মো. ইদ্রিস শেখের পুত্র। রায় ঘোষণার সময় আইয়ুব আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারী ফজরন বেগমের (৩০) বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পোয়াইল গ্রামে। বোন হত্যার দায়ে তার ভাই আইয়ুব শেখ ২০১৩ সালের ০৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন বোয়ালমারী থানায়। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে আমার বোনকে স্বামীর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্বামীর পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য মারধর করে হত্যা করে। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।