খুঁজুন
রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ২১ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকারসহ তিনজন গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৪ এএম
ফরিদপুরে ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকারসহ তিনজন গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রাইভেটকার ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার গাড়ীর চালক ইমরান শেখ বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের শেখর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে চালককে অস্ত্র ঠেকিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় তিনযাত্রী।
পুলিশ জানায়, মামলার পরেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাড়ী ও ছিনতাইকারী লোকেশন জানতে পেরে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় কাঁঠালিয়া থানা এলাকা থেকে গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তিন ছিনতাইকারীকেও গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের শাহিদ মোল্যার ছেলে রাকিবুল হাসান আশিক (২৬), একই ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মো. সামিউল ইসলাম (২২) ও চতুল রামদেবনগর গ্রামের মো. অহিদুজ্জামানের ছেলে মো. হামিম শেখ (২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তরার কাওলী থেকে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেট্রো-২২-২৩১৮ নম্বরের একটি প্রাইভেটকার ফরিদপুরের বোয়ালমারী বাজারে যাওয়ার কথা বলে ভাড়া করে তিন ব্যক্তি। ওইদিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শেখর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের সড়কে একটি ব্রিজের ওপর পৌঁছালে গাড়ির চালক ইমরানের গলায় ছুরি এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় গাড়ীতে থাকা তিন যাত্রী। এ সময় রশি দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে সড়কের পাশে চালক ইমরানকে ফেলে রেখে যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন চালক ইমরানকে দেখে পুলিশে খবর দিলে তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইমরান একটু সুস্থ্য হয়ে থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে মামলা করেন। মামলা নম্বর- ৩৪। আসামীদের মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাড়িটি ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাঠালিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার ফরিদপুর আদালতে চালান করা হয়েছে।

ফরিদপুর নিখোঁজের তিনদিন পর আখক্ষেতে মিলল নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৩:৫৩ পিএম
ফরিদপুর নিখোঁজের তিনদিন পর আখক্ষেতে মিলল নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের তিনদিন পর তুহিন আলী (১৫) নামে এক নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (০৪ মে) সকালে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (০৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের একটি আখক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তুহিন আলী ওই গ্রামের কৃষক আরব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হন তুহিন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই এলাকায় মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় একটি আখক্ষেতে ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা আরব আলী। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শামা ওবায়েদের গাড়ীবহরে হামলা : ফরিদপুরে ১৮ আ’লীগ নেতাকর্মী কারাগারে

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৩:৪৮ পিএম
শামা ওবায়েদের গাড়ীবহরে হামলা : ফরিদপুরে ১৮ আ’লীগ নেতাকর্মী কারাগারে
ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর গাড়ীবহরে হামলার মামলায় আ’লীগের ১৮ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (০৪ মে) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান ওই আ’লীগ নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে একইদিন দুপুরে ওই নেতাকর্মীরা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে পাঠানো আ’লীগ নেতাকর্মীরা হলেন, নান্নু মাতুব্বর, জাহাঙ্গীর মুন্সী, বিল্লাল মাতুব্বর, রাসেল মাতুব্বর, কামরুল মোল্যা, দেলোয়ার কাজী, সরোয়ার মাতুব্বর, সিরাজুল মাতুব্বর, ইউনুস মোল্যা, ফজলু মাতুব্বর, নজরুল মাতুব্বর, আইয়ূব আলী, উজ্জ্বল মাতুব্বর, আলেপ মাতুব্বর, রেজাউল মাতুব্বর, ইয়াসিন মোল্যা, ছানো মিয়া ও নূরুল ইসলাম। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা জজ কোর্টের দায়রা সহকারী মো. তমিজউদদীন বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের গাড়ী বহরে হামলার মামলায় দ্রুত বিচার আইনের সিআর নং: ১১২/২৪ ও ১১৩/২৪ মামলায় ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশ দেওয়ার সময় এরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত
ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর গ্রামের গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মে দুপুরের দিকে ঈশান গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় ঈশান সরকারের জমিদার বাড়িতে ওই বাড়ির সদস্য, গ্রামবাসী ও আশ্রয় নেওয়া ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, আশুতোষ সরকার, যোগেশ চন্দ্র ঘোশ, গৌরগোপাল ঘোষ, বাবলু ঘোষ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফরিদপুর শহরের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য ওই সরকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর এ গণহত্যায় মদদ দিয়েছিল ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী হাদনাদার বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। ফরিদপুরে প্রবেশের পথে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে কীর্তনরত নয় সাধুকে হত্যা করে।  ২ মে ঈশান গোপালপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে এ হত্যাকান্ড ছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রথম পরিকল্পিত গণহত্যা।
হত্যাকান্ডের পর পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী সরকার বাড়ির পুকুর পাড়ে ২৮ জনের মৃতদেহ গণসমাধি দেয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা চিত্ত ঘোষ বলেন, ২০১০ সালের ২মে শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সেখানে ২৮ শহীদের নাম ফলক সহ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে সরকারের উদ্যোগে গণহত্যার শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
এ গণহত্যার স্মরণে শুক্রবার (০২ মে) সকাল ৯টায় সমাধী ফলকের কাছে স্থাপিত মন্দিরে গীতাপাঠ ও নারয়াণ পূজার আয়োজন করা হয়। গীতা পাঠ ও পূজা করেন দীপক ঠাকুর। পরে সম্বলিত সৌধে ফুল অর্পণ করে এবং মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের আত্মার সগতি কামনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পূজার প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ক্ষিতিশ বিশ্বাস, অভী ঘোষসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।