খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম
ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নারী পুরুষ সহ কমপক্ষে ৩০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটানাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারের ২টি দোকান ঘরের পজিশন কেনাবেচা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এঘটনা নিয়ে আজ (২৯ এপ্রিল) সকালে কয়েক গ্রামের মাতুব্বরদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শালির বৈঠক চলাকালে পশ্চিম আলগী গ্রামের আলী মাতুব্বরের লোকজনের সাথে ও একই গ্রামের দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজনের কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে সংঘর্ষে শুরু করে।
দুই দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, কাতরা, টেটা রামদা, ইট ও রেললাইনের পাথর নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আলী মাতুব্বরের লোকজন রেল রাস্তা থেকে পাথর এনে দেলোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। পরে দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় নারী পুরুষ সহ ৩০ জন লোক আহত হয়। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনায় দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, আলী মাতুব্বর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থাকাকালে হরিরহাট বাজার থেকে প্রায় ১০টা দোকানঘর দখল করে। পরে সে ধীরে ধীরে ৬/৭টি দোকান বিক্রি করে দেয়। আমাদের দুটি দোকান গোপনে পাশের এক গ্রামের লোকের কাছে বিক্রি করে দেয় এই ঘটনা নিয়ে আজকে সালিশ বৈঠক চলছিল। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলী মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সহ রেললাইন থেকে পাথর এনে আমাদের উপর হামলা করে। তাতে আমাদের ১৫/২০ জন লোক আহত হয়। তাছাড়া কমপক্ষে ১০/১৫  বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনা আলী মাতুব্বর বলেন, আমাদের লোকজনের উপর দেলোয়ারের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির একরপর্যায় সংঘর্ষ লেগে যায়। তারা আমাদের লোক জনের উপর হামলা করে ১০/১৫ জন লোককে আহত করে ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আলগী ইউনিয়নের হরির হাট বাজারে দোকানের পজিশন কেনাবেচা দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত  ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে এমপি প্রার্থীর প্রচারণার গেট-ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর, প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৩২ পিএম
ফরিদপুরে এমপি প্রার্থীর প্রচারণার গেট-ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর, প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার গেট, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাংচুরের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এ ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভিন্ন বয়সের সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুব সমাজ অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলকারীরা অভিযোগ করেন, ‘রায়হান জামিলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রচারণা সামগ্রী ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এসময় বক্তারা বলেন, “১০ টাকায় ইলিশ মাছ ও ১ টাকা কেজি গরুর মাংস বিতরণ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন রায়হান জামিল। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে কেউ কেউ নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে।”

প্রতিবাদ সভায় রায়হান জামিলের সমর্থকরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সালথায় আগুনে কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:২৪ পিএম
সালথায় আগুনে কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

ফরিদপুরের সালথায় আগুনে এক কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নকুলহাটি গ্রামের কৃষক মো. আজম মোল্যার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুনে সারাজীবনের কষ্টে অর্জিত সব হারিয়ে পাগলপ্রায় ওই কৃষক পরিবার।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আজম মোল্যা বলেন, আমি সারাজীবন কষ্ট করে টিনের একটি বসতঘর নির্মাণ করেছিলাম। আজ আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেল। বসতঘর, পাট, ধান, পেঁয়াজসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সালথা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আব্দুল জলিল বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়স্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে আনুমাণিক ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে৷

ফরিদপুরের খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৬ পিএম
ফরিদপুরের খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

আবহমান গ্রাম বাংলার সুপরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা। ফসলহীন মাঠজুড়ে, রাস্তার পাশে ডোবা-নালায় জমে থাকা পানিতে এই ফুলের সমাহার দেখা যায়। সবুজের মধ্যে সাদা, হালকা গোলাপী আর বেগুনি রংয়ের অযত্নে বেড়ে ওঠা এ ফুল মুগ্ধতা ছড়ায়। 

তেমনি ফরিদপুরের গ্রাম-গঞ্জের প্রায় প্রতিটি এলাকার খাল-বিল, বাড়ির পাশের ডোবায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল। কবি গুরুর ভাষায় ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া’। সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল, যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের কচুরি ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে।

তবে এ সময় কচুরিপানার ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরিপানা ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই ছবি তুলছেন, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা।

ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জলাশয় থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। গ্রামের শিশু-কিশোররাও আনন্দ করে তুলে নিয়ে খেলা করছে। কচুরিপানা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হলেও কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। মাটিতে শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে কচুরিপানা।

কৃষকেরা কচুরিপানা উঠিয়ে জমিতে ফলানো পেঁয়াজের ভূঁই, লালশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন কচুরিপানা। সেই সঙ্গে কচুরিপানা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কচুরিপানা থেকে এখন তৈরি হচ্ছে জৈব সার।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, “কচুরিপানা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাবার, জৈবসার হিসেবে খুবই শক্তিশালী, এটা ব্যবহার করে কৃষকগণ ভাসমান শাক-সবজির চাষ করে থাকে। পুকুর ও বিলে কাপ জাতীয় মাছের বাড়তি খাবার হিসাবে কাজে লাগে, এ জলজ উদ্ভিদকে রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কচুরিপানা ফুল সব বয়সি মানুষকে আকৃষ্ট ও মুগ্ধ করে।”