খুঁজুন
শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ১ ভাদ্র, ১৪৩২

ভাঙ্গায় সৎসঙ্গ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৩৫ পিএম
ভাঙ্গায় সৎসঙ্গ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পশ্চিম পাতরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সৎসঙ্গ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে বৃক্ষরোপন শেষে বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে ফলজ বৃক্ষ বিতরণ করা হয়।

লায়ন খন্দকার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সৎসঙ্গ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মরতুজা খান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিশেষ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোল্লা আল- মামুন, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান, পাট কর্মকর্তা এহসানুল হক, বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম, বিএনপি নেতা আইয়ুব মোল্লা, মিজানুর রহমান পান্না, ফজলে সোবাহান শামীম, এনসিপির উপজেলা সমম্বয়ক আশরাফ শেখ সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

মধুখালী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১০ পিএম
ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

ফরিদপুরের মধুখালীতে নানা আয়োজনে ও ফুল সজ্জিত গাড়িতে দুই শিক্ষক ও এক অফিস সহকারীকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ আয়োজন হয়।

এসময় বিদায়ী শিক্ষকদের গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে মঞ্চ থেকে গাড়িতে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে করতালির দিয়ে অভিবাদন জানান। পরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কাউট দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিদায়ীরা হলেন- সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস, সরজিৎ চক্রবর্তী ও অফিস সহকারী মহিউদ্দিন মৃধা। তাদের প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ সংবর্ধনা দেয়। বিদায় বেলায় এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারী।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস ১৯৮৭ সালে স্কুলে যোগদান করেন, সিনিয়র শিক্ষক সরজিৎ চক্রবর্তী ১৯৮৪ সালে স্কুলে যোগদান করেন। তারা দীর্ঘ কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন। দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে গর্ববোধ করেন তারা।

বিদায় অনুষ্ঠানে মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা সভাপতিত্ব করেন।

সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র কুন্ডুর সঞ্চালনায় বিদায়ী শিক্ষকরাসহ অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদায়ী শিক্ষকদের উপহার প্রদান করেন।

মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা বলেন, দীর্ঘদিনের কর্মজীবন শেষ করে গুণী শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন।

ফরিদপুরে চোর সন্দেহে আড়ায় ঝুলিয়ে যুবককে পিটুনি, গ্রেপ্তার-৩

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে চোর সন্দেহে আড়ায় ঝুলিয়ে যুবককে পিটুনি, গ্রেপ্তার-৩

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গত ১২ আগস্ট চোর সন্দেহে এক যুবককে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে পিটুনির ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে স্থানীয় থানায় মামলাটি দায়ের করেন চোর সন্ধেহে পিটুনি দেওয়া যুবক আহাদ শিকদার (৩০)। তাকে ঝুলিয়ে পিটুনির ঘটনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট চোর সন্দেহে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা গ্রামের সালাম সিকদারের ছেলে আহাদ সিকদারকে (৩০) আড়ার সাথে ঝুলিয়ে পিটুনি দেয় স্থানীয়রা। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বিভিন্ন আলোচনা ও উত্তেজনা শুরু হয়। পরে শুক্রবার দুপুরে আহাদ শিকদার বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামি সাদ্দাম শেখ (৩০), সুৃরুজ শেখ (২১) ও ইসমাইল শেখকে (২১) গ্রেপ্তার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এ মামলায় উপজেলা যুবদলের সদস্য কালাম শেখের নামও আসামির তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক শিমুল মোল্যা বলেন, আসামি সাদ্দাম ও সুরুজ দুই ভাইকে ডোবরা গ্রামের বাড়ি থেকে আর ইসমাইল শেখকে ডোবরা জনতা জুটমিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসমাইল শেখ আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের যোগিবরাট গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, আহাদ সিকদার থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তিনি একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রয়েছে। তবে সে চোর হোক আর যাই হোক তাকে তো অমানবিকভাবে পিটানো যাবেনা। তার জন্য আইন-আদালত আছে। এ ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

‘ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি আওয়ামী লীগ রক্ষা করতে পারে নাই’  –ফরিদপুরে রাশেদ খাঁন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৭:২৪ পিএম
‘ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি আওয়ামী লীগ রক্ষা করতে পারে নাই’    –ফরিদপুরে রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গত এক বছরে কোন পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে বলেছেন, ‘যার নিজেরই স্বাস্থের ঠিক নাই, যিনি ক্যানসারের রোগী এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তাকে বানানো হয়েছে ডাক্তার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। যার যেখানে অভিজ্ঞতা, তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে আমরা গত এক বছরে অনেক সংস্কার দেখতে পেতাম। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের  স্বজনপ্রীতির উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। আজকে শিক্ষাখাত ও চিকিৎসা খাতে সরকারের কি ভূমিকা? এই ফরিদপুর মেডিক্যালে আগেও যা ছিল, এখনো সেই অবস্থায় চলছে। কোন পরিবর্তন হয়নি।’

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ‌দুপুর দেড়টার দিকে‌ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে ‌‌জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ‌তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি আওয়ামী লীগ রক্ষা করতে পারে নাই। জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ সবাই মিলে এক সঙ্গে লড়াই করেছি। সেইদিন ফরিদপুরের মানুষ ঝাঁকে ঝাঁকে রাস্তায় নেমেছিল, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুন্ডাদের ঝাঁটা দিয়ে বিতাড়িত করেছিল। তার ফল হিসেবে আমরা পেয়েছি একটি গণঅভ্যুত্থান।’

তিনি গত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘ফরিদপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হলেও শেখ হাসিনা এখানে উন্নয়ন করেনি, উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডারদের। উন্নয়ন হয়েছে তাঁর বিয়াই সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। সাধারণ মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন কি করেছিলেন তা ফরিদপুর-ভাঙ্গা ৩২ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক দেখলে বোঝা যায়।’

রাশেদ খাঁন অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে আমাদের অনেক আশা ছিল। উপদেষ্টারা তাদের সম্পদের হিসাব দিতে চেয়েছিল, সেটা জনসম্মুখে দেয় নাই। সরকারের এক বছরে দেশে কোন রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয় নাই, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বন্ধ হয় নাই, দৃশ্যমান কোন সংস্কার হয় নাই।’

তিনি বলেন, আমরা গত এক বছর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সমালোচনা করি নাই। তিনি ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বন্দোবস্ত টিকিয়ে রেখে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। পুলিশে আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন দপ্তরে-সেক্টরে আওয়ামী লীগ। সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগকেই বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে। এর জন্য কি আমরা সংগ্রাম করেছি, এ জন্য কি ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে?

রাশেদ খান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের স্বজনপ্রীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর স্বজনপ্রীতির উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। যার নিজেরই স্বাস্থের ঠিক নাই, যিনি ক্যানসারের রোগি এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তাকে বানানো হয়েছে ডাক্তার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। যার যেখানে অভিজ্ঞতা, তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল (বিষয়টি হাসানত আব্দুল্লাহ বলেছিল)। তাহলে আমরা গত এক বছরে অনেক সংস্কার দেখতে পেতাম। আজকে শিক্ষাখাত ও চিকিৎসা খাতে সরকারের কি ভূমিকা? এই ফরিদপুর মেডিক্যালে আগেও যা ছিল, এখনো সেই অবস্থায় চলছে। কোন পরিবর্তন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভা দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে? থানায় দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে? কোন সেক্টরেই ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয় নাই। তাহলে কি সংস্কার হলো, মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার অভ্যুত্থানে যারা সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে তাদেরকে মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন যারা বলতেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নয়। নির্বাচন না দিয়ে সরকার কি করবে? এই সরকারের কি ক্ষমতা ধরে রাখার সক্ষমতা আছে, নাই। এই জন্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র সমন্বয়কদের সমালোচনা করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপরে সেই ছাত্র প্রতিনিধিরা চাঁদাবাজি ও ট্রেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে পড়লো। এর দায় কার? এর দায় উপদেষ্টা পরিষদের, এর দায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের। কারণ তিনি কখনোই বলেন নাই; তোমার দেশের গর্ব, তোমরা আমাদের গণঅভ্যুত্থান এনে দিয়েছো। তোমরা এখন ক্লাসে ফিরে যাও। তা না করে তিনি ছাত্রদের দল করার পরামর্শ দিয়ে মাথায় তুলেছেন।

তিনি বলেন, ডিসি-এসপি-রা সমন্বয়কদের নাম শুনলে, তাদেরকে (ছাত্রদের) আসেন আসেন ডেকে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসিয়েছেন। পারলে সমন্বয়কদের খুুঁশি করতে নিজের চেয়ারটা ছেড়ে দিতে পারলে বাঁচে। এইভাবে অতি ভক্তি, তেলামি করে ছাত্রদের বিভ্রান্তিতে ফেলানো হয়েছে। আমি সকল ছাত্রদের কথা বলছি না, যারা করেছে, তাদের বলছি। আজকে ছাত্ররা ডিসি অফিস ও এসপি অফিসে গিয়ে তারা খবরদারি করছে। আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে এইটা আশা করিনি। দেশে যা শুরু হয়েছে, এভাবে দেশ চলতে পারে না। তিনি সর্বশষে ১৪ দলের সহযোগী জাতীয় পার্টির জি.এম কাদের ও চুন্নুর গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

গণ অধিকার পরিষদের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি ‌মো. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ‌ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ মিয়া, বোয়ালমারী উপজেলা সভাপতি‌ লাবলু শরীফ, ফরিদপুর সদর উপজেলা সভাপতি রাজু আহমেদ, ভাঙ্গা উপজেলার আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ‌হৃদয় আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি ‌জুয়েল ভান্ডারী ও সালথা উপজেলা সভাপতি ‌ফারুক ফকির প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় জেলার নেতৃবৃন্দ রাশেদ খাঁনের মাধ্যমে ফরিদপুর নামেই বিভাগ ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।