খুঁজুন
শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২

মধুখালীতে দু’জনকে কুপিয়ে সমিতির সাড়ে ১৫ লাখ টাকা লুট

হারুন আনসারী, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৭:১৯ পিএম
মধুখালীতে দু’জনকে কুপিয়ে সমিতির সাড়ে ১৫ লাখ টাকা লুট
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট বাজারে ইফতারি করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কয়লা ব্যবসায়ী সহ দু’জনকে কুপিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকা লুট করেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদে সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুরে মানববন্ধন করেছে বাগাট বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
ওই সমিতির কর্মী পংকজ বিশ্বাস বলেন, আগেরদিন রোববার বিকেলে বাগাট বাজারের অগ্রসর সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয়ে বসে  ইফতারির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলন শেখ (৩৮) ও তার মামা মোতালেব শেখ (৬০) এবং প্রতিষ্ঠানের আরো দুই কর্মী। এসময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের রড দিয়ে পিটিয়ে ও ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সমিতিতে রাখা ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। হামলায় ইকরাম শেখ  এবং পংকজ বিশ্বাসও আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- আহত মিলনের মা রুপসী বেগম, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান টিপু, বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান ঝন্টু, সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, আকরাম হোসেন, জাকির ফকির, আবীর হোসেন, মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদল নেতা কনক হাসান মাসুদ প্রমুখ।
বক্তাগণ অভিযোগ করেন, কাটাখালির আলোচিত সিদ্দিক হত্যা মামলার আসামী হাফিজুল, ইমদাদুল, মোজাফফর, মামুন, শিমুল ও ফুরাদ সহ তাদের দলবল এ হামলা চালায়। এর আগে তারা বাগাট বাজারেও ডাকাতি করে।
আহতের মা রুপসী বেগম বলেন, তার ছেলে সমবায় সমিতি ছাড়াও ইট ও কয়লার ব্যবসা করে। ভাটার ইট বিক্রি ও কয়লার টিটি করার জন্য অফিসে টাকা রাখা ছিলো। এসময় তার ছেলে ও ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা সেই টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
মানববন্ধনে বক্তাগণ অভিযোগ করেন, কাঠমিস্ত্রীর কাজের আড়ালে এই সন্ত্রাসীরা বাজারের একটি দোকানে হাতুড়ি, রামদ, ছ্যান সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র মজুদ করে রাখে। ৫ আগস্টের আগে তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের হয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের উপর হামলায় অংশ নেয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসীরা এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। আমরা এই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।
এদিকে, মানববন্ধনের পর আহতদের স্বজনেরা বাজারে বিক্ষোভ করার সময় পাশেই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয় বলে জানা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে মধুখালী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে। মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বিষয়টি সরাসরি দেখভাল করছেন। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেউ এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৩:২৯ পিএম
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (০২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকায় এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘের ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা হারুন-অর-রশীদ, সংগঠনটির সভাপতি তন্ময় রায়, সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া সুলতানা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব, সদস্য সোহেলা, মুক্তা, লাতিফুল খাবির প্রমূখ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছ রোপণ করে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মধ্যে গাছপালার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।

“ঘুম”

মাহমুদুল হাসান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৫ পিএম
“ঘুম”

ঘুম—সে কি কেবল জৈবিক নিঃশেষে এক নিথরতা? নাকি সময়ের অদৃশ্য ভারে গঠিত কোনো আধ্যাত্মিক বিন্দু, যার প্রতিটি নক্ষত্রজালেই ঘুমিয়ে থাকে একটি বিলুপ্ত আলো?
আমি জানি না। বরং জানি—ঘুম আসলে অনস্তিত্বের সীমানায় একটি নরম ছায়া, যাকে ধরা যায় না, ছুঁয়ে ফেলা যায় না, কেবল অনুভবে তার উপস্থিতির কম্পন মাত্র।

ঘুম কখনো আত্মার প্রান্তে অপেক্ষমাণ এক ছায়াপথ, আবার কখনো মস্তিষ্কের গহ্বর-জুড়ে এক বিপরীত সংবেদন। সে এসে চোখের পাতায় ফেলে নিরাকার শব্দের ধুলো। তখন সময়ও থেমে যায়—এক অনিয়মিত তালে, যেখানে ঘুম নিজেই নিজের সংজ্ঞা অস্বীকার করে।

ঘুম ঘুম নয়—সে এক অন্তর্বর্তী হ্রস্ব বিস্মৃতি।
সে ‘আমি’ থেকে ‘তুমি’ হয়ে যাওয়া, আবার ‘তুমি’ থেকে ‘কেউ নয়’ হয়ে পড়ার অনিবার্য অন্তর্বিপর্যয়।
সে নিদ্রা নয়, সে নিস্পন্দিত অনুপ্রাণ—এক পরাবাস্তব ঘূর্ণিপাকে অস্তিত্বের জরায়ুতে জমে ওঠা নিরুত্তর অবচেতনতা।

ঘুমের ভেতর আমি হারিয়ে ফেলি আমার ‘আমি’-কে। সেখানে আমার নাম থাকে না, মুখ থাকে না, থাকে কেবল রন্ধ্রে রন্ধ্রে রচিত অপার স্বপ্নাবিষ্টতা।
স্বপ্ন? না, স্বপ্নও নয়।
এ যেন এক বহুতল নিঃসরণ, যেখানে প্রতিটি স্তরেই চৈতন্য নিজেকে উল্টো করে তোলে, নিজের ভাষাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।

একটা প্রশ্ন—ঘুম কি নিঃশেষে বিস্মৃতি?
না, সে এক পলক-দীর্ঘ মুক্তিপত্র।
যেখানে জন্ম নেয় নীরব চিৎকার, শব্দহীন গল্প, আর অজানা কোনো পুরাকথার অসমাপ্ত অনুরণন।

ঘুম মানে কেবলই চোখ বুজে থাকা নয়।
ঘুম মানে শরীর থেকে মন ছিঁড়ে ফেলা।
ঘুম মানে একটি চলমান ট্রেন, যার গন্তব্য নেই—অথচ গন্তব্যহীনতাই তার একমাত্র পরিচয়।

ঘুম কি কখনো জেগে থাকে?
হ্যাঁ—ঘুম জেগে থাকে, অনেক সময়।
যখন আমাদের চোখ বুজে, কিন্তু চিন্তা ফুঁপিয়ে কাঁদে।
যখন আমরা সুতীব্র ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় পড়ি, কিন্তু অবচেতন চেতনায় ফিরে আসে হারিয়ে যাওয়া কোনো অনুক্ত আর্তনাদ।
তখন ঘুম আমাদের শরীরে আসে, মগজে নয়।
তখন ঘুম হয় এক নিষ্ফল অনুগ্রহ।

ঘুমের গভীরে আমি দেখি নিজেকে,
এক ফাঁকা আয়নায়, যেখানে মুখ নেই, ভাষা নেই—
শুধু অসীম সাদা কুয়াশার মধ্যে ডুবে থাকা এক বিকারগ্রস্ত সত্তা।
তুমি যদি সেখানে আমাকে চিনতে চাও—চিনতে পারবে না,
কারণ ঘুমের মাঝখানে মানুষ আর মানুষ থাকে না—থাকে কেবল অভিজ্ঞতার ছায়া, অনুভবের দংশন,
আর অনন্ত বিষণ্ন একাকীত্ব।

ঘুম হয়তো শেষ নয়, শুরুও নয়।
সে কেবলই একটি অন্তরীক্ষ—যেখানে নিজের ভেতরের আলো আর অন্ধকার একে অপরকে গ্রাস করে।

ফরিদপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
ফরিদপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুরের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভাঙ্গার এক্সপ্রেস ওয়ের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালায়।

এসময় একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা ২০ কেজি গাজা, দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গার চুমুরদী এলাকার সুমন শেখ ও নগরকান্দার ডাঙ্গী এলাকার জুলহাস মুন্সি।

ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও ২০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।