খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যুবদল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যুবদল

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে যুবদলের ২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে আজ আমরা একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও নীতিগত সিদ্ধান্ত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে এসেছি। আমরা সব সময় সুশৃঙ্খল ও আদর্শিক রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাসী এবং কোনো রকমের বেআইনি, অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেই না।

তিনি বলেন, সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৬০ জনের মতো যুবদল নেতাকে শোকজ এবং প্রায় ১৪০ জনের মতো নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা থাকায় জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের অবস্থান এখানে সীমাবদ্ধ নয়। সংগঠনের সুনাম ও আদর্শ রক্ষার্থে, যুবদলের পক্ষ থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে গতকাল তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, আমাদের দলে অন্যায় ও অপকর্মের কোনো স্থান নেই। অন্য দল যেখানে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের রক্ষা করে, বিএনপি সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার এই দৃঢ় নীতির আলোকে, যুবদল জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বেআইনি কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ পাবে না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সেজন্য জাতীয়তাবাদী যুবদল কঠোর নীতি নেবে।

সব নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন তারেক, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চরভদ্রাসন থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

থানাটির এস,আই রফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এসআই ফরহাদ হোসেন, এসআই মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য এজিএম বাদল আমীন, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক মৃধা, মো. কুদ্দুস আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সোলায়মান, সমাজ সেবক মো. মোস্তফা কবীর ও ছাত্রনেতা পিএম কামরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়া শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ফরিদপুরের চরভদ্রাসন শেষ সীমানা পাটপাশা সহ উপজেলার গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পুলিশ টহল জোরদারের পাশাপশি চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীপথে পুলিশ বোড দিয়ে টহলের জোর দাবী জানান।

এছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি বল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানানো হয়।

ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর সময় গরু ফেলে পালিয়ে যায় কসাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মাধবপুর গ্রামের এহসানুল হক কলি তার একটি গর্ভবতী গাভী গরু অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শওকত আলীকে জানান।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলা ১১ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি সিজার করে বাচ্চাটি বের করেন। বের করার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এহসানুল হক কলি মধুখালী উপজেলার এক কসাইয়ের নিকট ৩৫ হাজার টাকায় ওই অসুস্থ গরুটি বিক্রি করে দেন। কসাই গরু জবাই করে ছাড়ানোর সময় সাংবাদিক এসেছে এমন কথা শুনে গরু ফেলে পালিয়ে চলে যায়।

এহসানুল হক কলি বলেন, গরুটি ফুড পয়জন হয়েছিল তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

কসাইদের না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, গাভী গরুটি অসুস্থ ছিল যেহেতু তার পেটের বাচ্চা ৯ মাস বয়স হয়েছিল তাই সিজার করে বাচ্চাটি বের করা হয়েছিল। পরে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে তারা নিজেরা মাংস খেতে পারে। ওই মাংস বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে এহসানুল হক কলির বাড়িতে গিয়ে গরুটি দেখেশুনে বলে এসেছি মাংস যদি খেতে চান নিজেরা খেতে পারেন। এক টুকরা মাংস বাহিরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

মধুখালী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১০ পিএম
ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

ফরিদপুরের মধুখালীতে নানা আয়োজনে ও ফুল সজ্জিত গাড়িতে দুই শিক্ষক ও এক অফিস সহকারীকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ আয়োজন হয়।

এসময় বিদায়ী শিক্ষকদের গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে মঞ্চ থেকে গাড়িতে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে করতালির দিয়ে অভিবাদন জানান। পরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কাউট দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিদায়ীরা হলেন- সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস, সরজিৎ চক্রবর্তী ও অফিস সহকারী মহিউদ্দিন মৃধা। তাদের প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ সংবর্ধনা দেয়। বিদায় বেলায় এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারী।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস ১৯৮৭ সালে স্কুলে যোগদান করেন, সিনিয়র শিক্ষক সরজিৎ চক্রবর্তী ১৯৮৪ সালে স্কুলে যোগদান করেন। তারা দীর্ঘ কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন। দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে গর্ববোধ করেন তারা।

বিদায় অনুষ্ঠানে মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা সভাপতিত্ব করেন।

সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র কুন্ডুর সঞ্চালনায় বিদায়ী শিক্ষকরাসহ অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদায়ী শিক্ষকদের উপহার প্রদান করেন।

মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা বলেন, দীর্ঘদিনের কর্মজীবন শেষ করে গুণী শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন।