খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যুবদল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে যুবদল

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে যুবদলের ২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে আজ আমরা একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও নীতিগত সিদ্ধান্ত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে এসেছি। আমরা সব সময় সুশৃঙ্খল ও আদর্শিক রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাসী এবং কোনো রকমের বেআইনি, অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেই না।

তিনি বলেন, সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৬০ জনের মতো যুবদল নেতাকে শোকজ এবং প্রায় ১৪০ জনের মতো নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা থাকায় জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের অবস্থান এখানে সীমাবদ্ধ নয়। সংগঠনের সুনাম ও আদর্শ রক্ষার্থে, যুবদলের পক্ষ থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে গতকাল তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, আমাদের দলে অন্যায় ও অপকর্মের কোনো স্থান নেই। অন্য দল যেখানে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের রক্ষা করে, বিএনপি সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার এই দৃঢ় নীতির আলোকে, যুবদল জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বেআইনি কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ পাবে না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সেজন্য জাতীয়তাবাদী যুবদল কঠোর নীতি নেবে।

সব নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন তারেক, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

`সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে`

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম
`সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে`

নারীর মর্যাদা ও উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন নন্দিতা সুরক্ষা’র আয়োজনে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সমতায় তারুণ্য প্রকল্প, কিংডম অফ দ্যা নেদারল্যান্ডস, জাগো ফাউন্ডেশন এর সহায়তায়  ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন—‘ইনক্লুসিভ ইন্টারেক্টিভ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ডিস্কাশন।’

আলোচনা শেষে মুক্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী তরুণরা বলেন, ডিজিটাল সেইফটি এখন একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয় এবং এই বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তারা আরও বলেন, সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় নাগরিক ভূমিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার একটি সমতার ও নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

শনিবার (১০ মে) দিনব্যাপী  ফরিদপুর শহরের টেরাকোটা রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অংশ নেন তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, কমিউনিটি  লিডার এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আয়োজনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নন্দিতা সুরক্ষা–এর প্রতিষ্ঠাতা তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি। এরপর পরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের তরুণ সদস্যরা। জেন্ডার সমতা বিষয়ে বক্তব্য দেন সোমাইয়া জানাহ উর্মী, ডিজিটাল সেইফটি নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ তুষার আব্দুল্লাহ, স্ট্যান্ডআপ কমেডি পরিবেশন করেন মেহেজাবিন হোসেন দিবা। মিডিয়া স্বাক্ষরের প্রভাব নিয়ে কথা বলেন  তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট শাহরীন ইসলাম মাহিন এবং লবিং ও অ্যাডভোকেসি নিয়ে আলোচনা করেন তিহান আহাম্মেদ।

ডিস্কাশনের সঞ্চালিকা এবং সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী মিতু বলেন, আমাদের আয়োজনটি অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং আগামীর জন্য ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের পথ উন্মুক্ত করেছে বলে মনে করছি।

আওয়ামী লীগের ‌‌কর্মকাণ্ড ‌নিষিদ্ধ করায় ‌‌ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম
আওয়ামী লীগের ‌‌কর্মকাণ্ড ‌নিষিদ্ধ করায় ‌‌ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল
অন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ‌সকল রাজনৈতিক ‌কর্মকাণ্ড ‌নিষিদ্ধ করায় আনন্দ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছে ফরিদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌নেতাকর্মীরা। মিছিলে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়।
 ‌‌
শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে‌ শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে ‌একটি আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাব সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এ সময় মিষ্টি বিতরণ করেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ফরিদপুর শহর শিবিরের ‌সভাপতি মো. আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌মুখ্য সমন্বয়ক আনিসুর রহমান সজল, ‌ফরিদপুর জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি জিহাদুল ইসলাম রত্ন, হাসিবুল হাসান ও মোহাম্মদ আহমাদুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় বিজয়। আগামীতে কোন‌‌ ফ্যাসিবাদ ‌শক্তি যাতে ‌দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ না করতে পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের ‌বিগত দিনের বিভিন্ন কার্যক্রমকে‌‌ সমালোচনা করে তারা বলেন, ‌দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ করার পায়তারা করলে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম‌ নিষিদ্ধ হলেও তারা আগামীতে ‌ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে ‌এজন্য সবাইকে ‌ লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে ‌জুলাই ঘোষনা পত্র‌ প্রকাশ করার কথা জানান তারা।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে জেলার বোয়ালমারী পৌরসদরে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির।

ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৩১ পিএম
ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন খালাসী (১৬) নামে এক ওয়ার্কশপ শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় রায়হান ও সজীব নামে দুই যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১০ মে) দিনগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন খালাসী ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর খালাসীর ছেলে।
এদিকে ইয়াসিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ বাদশা শরীফের বাড়িসহ অন্তত ১০-১২টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থানমাত্তা গ্রামে বহু পুরাতন একটি বটগাছ রয়েছে। সেই বটগাছের নিচে স্থানীয় নুরা নামে একজন আসর বসিয়ে রাতভর গানবাজনা করতেন। গত দুই বছর হলো তিনি মারা যান। এরপর থেকে তার স্ত্রী হালিমা সেখানে বসবাস করেন। গত কয়েক মাস আগে বটগাছের একটি ডাল দোকানের ওপর পড়লে ডালটি কেটে ফেলেন শরীফ গ্রুপের দোকান মালিক। সেই ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে হালিমার পক্ষ নেন জাহাঙ্গীর খালাসী। অন্য গ্রুপের পক্ষ নেন বাদশা শরীফ ও আলমগীর শরীফ।
এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে শনিবার রাত ১০টার দিকে থানমাত্তা বটতলা এলাকা থেকে ইয়াসিন খালাসীকে পার্শ্ববর্তী কালামৃধা ইউনিয়নের ফুলমাল্লিক গ্রামের আউয়াল বেপারীর ছেলে ইসমাইল বেপারীকে দিয়ে ইয়াসিনকে ডেকে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী নির্জন এলাকায় ব্রিজের নিচে ধানক্ষেতে নিয়ে ইয়াসিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত ইয়াসিনের বাবা জাহাঙ্গীর খালাসি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে ধানক্ষেতে আমার ছেলেকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু খুনিদের ভেতরে দুইজন আহত হলে তাদের লোকজনের খবরে আমার ছেলেকে দেখতে পাই। তা না হলে ছেলের মরদেহও পাওয়া যেত না। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর সরদার বলেন, খুনে অভিযুক্তদের পক্ষে দুজন ঠেকাতে গিয়ে তারাও আহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন ওই গ্রামের ফকু শেখের ছেলে রায়হান শেখ (১৮) ও তার আত্মীয় সজীব মাতব্বর। তার বাড়ি কাশেমপুর এলাকায়।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান হাওলাদার বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ইয়াসিনের সঙ্গে কালামৃধা গ্রামের কয়েকজন কিশোরের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। পূর্ব শত্রুতার জেরে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে নিহতের মরদেহ এসে পৌঁছেনি। অফিসিয়াল কোনো কাগজপত্রও পাইনি। নিহতের মরদেহ আসার পর বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।